শেষ ১৬ মিনিটের ঝড়ে পিএসজিকে জেতালেন নেইমার-এমবাপ্পে-ইকার্দি
ম্যাচের ৭৩ মিনিটে মপেঁলিয়ের সঙ্গে পিএসজির স্কোরলাইন দেখলে একটু অবাক হওয়ার কথা আপনার। আর খেলা শেষে দেখলে আরও বেশি চমকে যাওয়ার কথা। ৭৩ মিনিট পর্যন্ত ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিল পিএসজি, সেখান থেকে শেষ ১৬ মিনিটে তিন গোল দিয়ে ম্যাচটা জিতে গেল। নেইমার, এমবাপ্পে, ইকার্দি- গোল পেয়েছেন সবাই।
অবশ্য জয় পেলেও পিএসজির ক্ষতি যা হওয়ার সেটা প্রথমার্ধে হয়েই গেছে। ১৮ মিনিটে চোটের জন্য মাঠ ছেড়েছেন প্রেসনেল কিমপেম্বে। এর সাত মিনিট পর ইদ্রিসা গায়েকেও চোটের জন্য ছাড়তে হয়েছে মাঠ। ২৫ মিনিটের মধ্যে দুইটি বদলি করে ফেলতে হয়েছে থমাস তুখলকে।
এসবের ভেতর নেইমাররা অবশ্য সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি। উলটো ৪১ মিনিটে গোল খেয়ে যায় পিএসজি। কর্নার থেকে লাফিয়ে উঠে হেড করেছিলেন মঁপেলিয়ের কনগ্রে, পিএসজির লিয়ান্দ্রো পারেদেস কিছু বুঝে ওঠার আগেই সেটা তাঁর গায়ে লেগে জড়িয়ে গেছে জালে। প্রথমার্ধে চেষ্টা করেও আর কোনো গোল পায়নি পিএসজি।
দ্বিতীয়ার্ধের অনেকটা সময়ও গোলের কোনো পরিষ্কার সুযোগ পায়নি পিএসজি। ৬৮ মিনিটে ইকার্দির পাস থেকে ভালো জায়গায় বল পেয়েছিলেন সারাবিয়া, কিন্তু বাজে ফার্স্ট টাচে সুযগটা হারিয়ে ফেলেন। তবে ৭২ মিনিটের একটা ঘটনায় বদলে যায় ম্যাচের মোড়। বক্সের মাথায় পেদ্রো মেন্দেস ফাউল করেন নেইমারকে, ফ্রিকিকের বাঁশি বাজান রেফারি। তার ওপর দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় মেন্দেসকে। দুর্দান্ত ফ্রি কিক থেকে গোল করে নেইমার সমতা ফেরান। পরের গোলটা পেতে মিনিট দুয়েকের বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি পিএসজিকে। নেইমারের পাস থেকে বাঁদিকে বল পেয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, বক্সে ঢুকে ভেতরের দিকে কাট করে বল জড়িয়ে দেন ডান দিকের জালে। আগের ম্যাচেও পিএসজিকে জয় এনে দিয়েছিলেন নেইমার-এমবাপ্পে। এইবার পিছিয়ে পড়ার পর দরকারের সময় জ্বলে উঠেছেন দুইজনই।
১০ জনের মপেঁলিয়েকে চেপে ধরে তৃতীয় গোলটাও এরপর পেয়ে যায় পিএসজি। এবার বাঁ দিক থেকে এমবাপ্পের বুটের সামনের দিক দিয়ে বাড়ানো ক্রসটা ভলি করে জালে জড়িয়ে দেন ইকার্দি। এরপর বার বাধা না হয়ে দাঁড়ালে নেইমার পেতে পারতেন আরেকটি গোল।
এই জয়ে ১৬ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আরও সংহত হলো পিএসজির অবস্থান। দুইয়ে থাকা মার্শেই সমান ম্যাচ খেলে আছে ৮ পয়েন্ট পেছনে।