রদ্রিগো-ভিনিসিয়াসের গোলে জিতল রিয়াল মাদ্রিদ
ফুল-টাইম
ক্লাব ব্রুজ ১-৩ রিয়াল মাদ্রিদ
চ্যাম্পিয়নস লিগ শেষ ম্যাচডে’র আগেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল ‘এ’ গ্রুপের ভাগ্য। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ডে যাচ্ছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই, রানার্স আপ হয়ে তাদের সঙ্গী রিয়াল মাদ্রিদ- নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগের রাউন্ডেই। গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচটা তাই দু’দলের জন্যই ছিল নিছক আনুষ্ঠানিকতার। তাতেই কপাল খুলেছে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের, রদ্রিগো গোজের মত গোল করেছেন তিনিও। দুই তরুণ ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের গোলে ক্লাব ব্রুজকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল।
ইয়ান ব্রেইদেল স্তাদিওনে ম্যাচের শুরু থেকেই রোমাঞ্চ ছিল বেশ। নিয়মরক্ষার ম্যাচেও গোলের সুযোগ তৈরি করছিলেন রিয়ালের ফরোয়ার্ডরা, খর্বশক্তির রিয়ালের বিপক্ষে থেমে থাকেনি ব্রুজের রক্ষণভাগও। ফরোয়ার্ডরা গোলের সুযোগ তৈরি করলেও প্রথমার্ধে খুব সম্ভবত দু’দলেরই সেরা ফুটবলার ছিলেন তাদের গোলরক্ষক। মূল গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়ার অনুপস্থিতিতে আবারও নিজেকে প্রমাণ করেছেন আলফন্স আরিওলা। অসাধারণ সব দক্ষ সেভে প্রথমার্ধে দলকে গোল হজম করতে দেননি তিনি।
সাবেক লিভারপুল গোলরক্ষক সিমন মিনিওলে অন্তত দুটি নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছেন রিয়ালের। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আর রিয়ালকে দমিয়ে রাখতে পারেননি মিনিওলেও। ৫৩ মিনিটে আলভারো ওদ্রিওজোলার পাস থেকে বাঁ-পায়ের চমৎকার হাফ ভলিতে গোল করেন রদ্রিগো। তবে লিড নেওয়ার স্বস্তি আক্ষরিক অর্থেই দু’মিনিটও স্থায়ী হয়নি রিয়ালের। ৫৪ মিনিটেই দলকে সমতায় ফেরান ভ্যানাকেন। সান্তিয়াগো বার্নাব্যু থেকে ব্রুজের পয়েন্ট ছিনিয়ে আনার ম্যাচের নায়ক এমানুয়েল ডেনিসের ক্রস থেকে চমৎকার নিয়ন্ত্রণে দলকে সমতায় ফেরান তিনি।
ড্রয়ের দিকে এগুনো ম্যাচে এরপর জ্বলে উঠেন ভিনিসিয়াস। ৬৪ মিনিটে লুকা ইয়োভিচের হেড গোল লাইন থেকে ফিরিয়ে দেয় স্ক্রিভার্স; কিন্তু ফিরতি বল একেবারে গোলের সামনে থেকে জালে পাঠাতে ভুল করেননি ভিনিসিয়াস। ব্রুজের মাঠে পেয়ে যান নিজের প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ গোল। ম্যাচের বাকিটা সময় চেষ্টা করে গেছে ব্রুজ, কিন্তু কাজের কাজটা আর হয়নি। উলটো দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে দূরপাল্লার মাপা শটে গোল করে জয় নিশ্চিত করেন লুকা মদ্রিচ।