শঙ্কা কাটিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে অ্যাটলেটিকো, জার্মানিতে রোনালদোর ১২৮
ফুলটাইম
অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ২-০ লোকোমোটিভ মস্কো
চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের ষোল দলের ১৫টিই নির্ধারণ হয়ে ছিল। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ-লোকোমোটিভ ম্যাচের আগে আর একটি জায়গা বাকি ছিল। অঘটন আর ঘটতে দেয়নি অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। ঘরের মাঠে লোকোমোটিভ মস্কোকে ২-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ 'ডি' -এর দ্বিতীয় স্থানটি নিশ্চিত করেছে ডিয়েগো সিমিওনের দল। শীর্ষ স্থান আগে থেকেই নিশ্চিত করা জুভেন্টাসও গ্রুপের শেষ ম্যাচে জিতে অ্যাটলেটিকোর জন্য পথ প্রস্তুত করে রেখেছিল। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো চ্যাম্পিয়নস লিগে করেছেন নিজের ১২৮ তম গোল। রোনালদোর সঙ্গে যোগ করা সময়ে গঞ্জালো হিগুয়াইন যোগ করেছেন আরেক গোল, জুভেন্টাস বেয়ার লেভেরকুসেনকে হারিয়েছে ২-০ ব্যবধানে।
অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের শঙ্কায় থাকার যথেষ্ট কারণ ছিল। এই মৌসুমে ড্র এর বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে তারা। আর গোলের সামনে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতাও ভোগাচ্ছিল অ্যাটলেটিকোকে। ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানোতে অবশ্য রাশিয়ান চ্যাম্পিয়নরা অ্যাটলেটিকোর স্নায়ুর পরীক্ষা নিতে পারেনি। এর আগেই অ্যাটলেটিকোর হাতে তারা তুলে দিয়েছিল ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ। ৩ মিনিটেই হোয়াও ফেলিক্সকে ফাউল করে অ্যাটলেটিকোকে পেনাল্টি পাইয়ে দিয়েছিলেন লোকোমোটিভ গোলরক্ষক অ্যান্টোন কশেনকভ।
কিয়েরান ট্রিপিয়েরের পেনাল্টি কিক ঠেকিয়ে দিয়ে অবশ্য নিজের ভুল শুধরে নিয়েছিলেন লোকোমোটিভ কশেনকভ। ট্রিপিয়েরের শট তার গায়ে লেগে এর পর বারপোস্টে বাধা পেয়ে ফিরে আসে। গোল মিসের হতাশা অবশ্য বেশিক্ষণ জেঁকে বসেনি অ্যাটলেটিকোর ওপর। ভিএআরের কল্যাণে ১৭ মিনিটে আরও একবার পেনাল্টি পেয়ে যায় অ্যাটলেটিকো, এবার বক্সের ভেতর লোকোমোটিভ ডিফেন্ডারের হাতে লেগেছিল বল।
ট্রিপিয়ের না পারলেও সফল হন ফেলিক্স। কশেনকভকে কোনো সুযোগ না দিয়েই বটম কর্নারে বল জড়ান তিনি। ২৫ মিনিটে ব্যবধানটা দ্বিগুণ করেও আবার সেই ভিএআরের জন্যই গোল বাতিল হয়েছিল অ্যাটলেটিকোর। আলভারো মোরাতার আর তাই গোল পাওয়া হয়নি। আর দ্বিতীয় গোলের জন্য শেষ পর্যন্ত অ্যাটলেটিকোকে অপেক্ষা করতে হইয়েছে ৫৪ মিনিট পর্যন্ত। কোকের ক্রস থেকে ফেলিপের ভলিতে গোল করে ওয়ান্ডার গুমোট ভাবের অবসান ঘটান।
লোকোমোটিভ অ্যাটলেটিকোর মাঠে আক্রমণেই উঠতে পারেননি সেভাবে। ম্যাচে তাদের শট অন টার্গেটও শূন্য। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা তাই হয়েছে একপেশেই।
গ্রুপের অন্য ম্যাচে জার্মান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে গোলের সংখ্যা আরও বাড়িয়ে নিয়েছেন রোনালদো। এই নিয়ে ২৫ ম্যাচে তার গোল সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭টি। চ্যাম্পিয়নস লিগের ৬ ম্যাচ অবশ্য মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো গোলের দেখা পেলেন রোনালদো। আরেকটিও করেছিলেন জার্মান এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। তবে সবমিলিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে রোনালদোর গোল সংখ্যা দাঁড়াল ১২৮টি, আপাতত তার ধারে কাছেও নেই কেউ।
রোনালদো ম্যাচের প্রথম গোল করেছেন ৭৫ মিনিটে। আর হিগুয়াইন যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে। এর আগে বদলি হিসেবে নেমে আরও একবার খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে বড় অবদান রেখেছেন পাউলো দিবালা। দুই গোলেই অ্যাসিস্ট তার। বাম দিক থেকে রোনালদোকে ক্রস করেছিলেন দিবালা ৭৫ মিনিটে, রোনালদোর শুধু গোলের সামনে থেকে বলটা ঠেলে দিতে হত। ভুল করেননি রোনালদো। আর যোগ করা সময়ে দিবালার সঙ্গে বক্সের ঠিক বাইরে ওয়ান টু করার পর বাম পায়ের জোরালো নিচু শটে জুভেন্টাসের দ্বিতীয় গোলটি করেছেন হিগুয়াইন।
৬ ম্যাচ শেষে মাউরিসিও সারির জুভেন্টাসের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১৬ পয়েন্ট। জুভেন্টাসের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ। এর আগে ১৯৯৬-৯৭ ও ২০০৪-০৫ মৌসুমেও গ্রুপপর্বে সমান পয়েন্ট পেয়েছিল বিয়াঙ্কোনেরিরা।