• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    নেইমারের রাতে 'আসল' লড়াইয়ের প্রস্তুতি সারল পিএসজি

    নেইমারের রাতে 'আসল' লড়াইয়ের প্রস্তুতি সারল পিএসজি    

    এমন নেইমারকেই তো দেখতে চেয়েছিল পিএসজি সমর্থকেরা। চ্যাম্পিয়নস লিগে গ্যালাতাসারের বিপক্ষে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে নেইমার যেন নতুন করে নিজেকে চেনালেন। 'আসল' নেইমার কতোখানি ভয়ঙ্কর সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়ে গেল তুরস্কের ক্লাবটি। পিএসজির ৫-০ গোলের বড় জয়ে নেইমার গোল করেছেন একটি আর সতীর্থদের দিয়ে গোল করিয়েছেন আরও দুইটি।

    প্রাক ডি প্রিন্সেসে নেইমার, কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে মাউরো ইকার্দিকে নিয়ে একাদশ সাজিয়েছিলেন থমাস তুখল। সেই ইকার্দি করেছেন প্রথম গোল। এমবাপ্পে আর নেইমারের দারুণ সমন্বয়ের পর বক্সের ভেতর ফাঁকায় বল পেয়ে সহজ ট্যাপ ইনে পোচারের মতোই গোল করেছেন ইকার্দি। এক্ষেত্রে এমবাপ্পে পেয়েছেন অ্যাসিস্ট।



    প্রথমার্ধেই ব্যবধান বাড়িয়ে নিয়েছিলেন পাবলো সারাভিয়া। নেইমারের পাস ধরেই বক্সের ভেতর ডানপাশ থেকে গোল করেছেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। নেইমারময় ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে পিএসজির আক্রমণও শুরু হয়েছিল নেইমারের পা থেকেই। ৪৭ মিনিটে অবশেষে প্রাপ্য আর আকাঙ্ক্ষিত গোলটি পেয়ে যান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। এবার এমবাপ্পের পাস বক্সের ভেতর বাম পাশে পেয়ে, এক পায়ে বল থামিয়ে বাম পায়ের নিচু ফিনিশে গোল করেন নেইমার। তাতে প্রায় এক বছর চ্যাম্পিয়নস লিগে গোলহীন থাকার গলার কাঁটাও নেমেছে তার।

    এমবাপ্পে আর নেইমার জুটি শেষ গিয়ে থেমেছেন একটি করে গোল ও দুইটি করে অ্যাসিস্ট করে। ৬৪ মিনিটে নেইমার গোল করিয়েছেন এমবাপ্পেকে দিয়ে। নেইমারের দুর্দান্ত এক থ্রু পাস থেকে ওয়ান অন ওয়ানে গোল করেন এমবাপ্পে।

    তিন ফরোয়ার্ডের গোল পাওয়ার রাতে এডিনসন কাভানিও বাদ যাননি। বদলি হিসেবে মাঠে নামার পর পিএসজির ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা গোল করেছেন পেনাল্টি থেকে। ৮৪ মিনিটে এমবাপ্পেকে ফাউল করে আরও একবার পিএসজিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল গ্যালাতাসারে। নেইমার পরে নিজে পেনাল্টি না নিয়ে বল তুলে দিয়েছিলেন কাভানিকে। উরুগুইয়ানের গোলের পর প্রাক ডি প্রিন্সেসে শোনা গেছে সবচেয়ে বড় গর্জন।

    পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পর সম্ভবত নিজের সেরা পারফরম্যান্সেরগুলোর একটির প্রদর্শনী দেখিয়েছেন নেইমার। সঙ্গে কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গ পিএসজিকে করে তুলেছে ভয়ঙ্কর। ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগে অভিষেক হওয়ার পর থেকে একই ম্যাচে গোল ও অ্যাসিস্ট করার দিক দিয়ে নেইমার (৯) পিছিয়ে আছেন কেবল লিওনেল মেসি (১০) ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর (১১) চেয়ে।

    নেইমার আর পিএসজি অবশ্য ভালো করেই জানে এসব মূল লড়াইয়ের আগে কেবল প্রেরণা। পিএসজির আসল লড়াই তো দ্বিতীয় পর্ব থেকে। ৬ ম্যাচে ৫ জয়, ১ ড্র নিয়ে দুইয়ে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ৫ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে গ্রুপ শেষ করেছে পিএসজি। বড়দলগুলোড় সঙ্গে এমন ব্যবধান নক আউট পর্বেও গড়তে চাইবে থমাস তুখলের দল। আর সেটার জন্য এই 'ভয়ঙ্কর' নেইমারকেও খুব প্রয়োজন পিএসজির।