এম্বাপ্পের জোড়া গোল, নেইমারের জোড়া অ্যাসিস্টে পিএসজির বড় জয়
ফুল-টাইম
সেইন্ট-এঁতিয়ে ০-৪ পিএসজি
এই মৌসুমে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের হয়ে সবচেয়ে ধারাবাহিক পারফর্ম করেছেন কিলিয়ান এম্বাপ্পে। নেইমার, মাউরো ইকার্দি, এডিনসন কাভানিরা ফর্ম হারিয়েছেন, কিন্তু এম্বাপ্পে পুরো মৌসুমজুড়েই খেলছেন দুর্দান্ত। সেন্ট-এঁতিয়ের মাঠেও আবারও সেই এম্বাপ্পের জোড়া গোলেই বড় জয় পেয়েছে ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়নরা। পিএসজির জার্সিতে ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ডের গোলসংখ্যা এবং ৭০। গত অর্ধশতকে ফ্রেঞ্চ লিগে এত দ্রুত যে মাইলফলক স্পর্শ করতে পারেনি কেউ গোল পেয়েছেন মাউরো ইকার্দিও। পেনাল্টি থেকে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন নেইমারও, কিন্তু ১২ গজ থেকে সুযোগ হাতছাড়া করেছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। কিন্তু পিএসজির দুটি গোল এসেছে তার পা থেকেই।
নেইমার-ইকার্দি-এম্বাপ্পের রাতে পিএসজিকে অবশ্য লিড এনে দিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার লিয়ান্দ্রো পারেদেস। মিনিট দুয়েক পরই গোল করেছিলেন এম্বাপ্পে, কিন্তু অফসাইডে বাতিল হয় গোলটি। এম্বাপ্পের গোলটি বাতিল না হলে হয়তো হ্যাটট্রিকটাও পেতে পারতেন তিনি। শুধু গোল নয়, দুর্দান্ত ড্রিবল এবং ক্ষীপ্র গতি দিয়ে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের কাঁপিয়ে তুলেছিলেন তিনি। এক প্রান্তে এম্বাপ্পে, অন্য প্রান্তে নেইমার, মাঝে ইকার্দি। প্যারিসের ত্রিফলা সামলাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হয়েছে সেইন্ট-এঁতিয়েকে।
২৫ মিনিটে মার্কিনিয়োসকে বাজে ট্যাকেল করে লাল কার্ড দেখে দলের জন্য কাজটা আরও কঠিন করে তুলেন আহোলু। ১০ জন নিয়ে আর প্রতিরোধ গড়তে পারেনি তারা। পুরো ম্যাচে নেইমার এবং এম্বাপ্পের বোঝাপড়া ছিল দুর্দান্ত। দলের সেরা দুই ফরোয়ার্ডদের বোঝাপড়াতেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেছে থমাস তুকেলের দল। ৪৩ মিনিটে নেইমারের থ্রু পাস থেকে গোল করেন এম্বাপ্পে।
প্রথমার্ধে গোল না পেলেও খুব সম্ভবত পিএসজির সেরা ফুটবলার হয়েছিলেন নেইমারই। ৬২ মিনিটে গোলের সুযোগটাও পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ম্যাথিউ দেবুশির ফাউলে পেনাল্টি পায় পিএসজি। কিন্তু ১২ গজ থেকে সেইন্ট-এঁতিয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেও নেইমারের পেনাল্টি ফিরে আসে বারপোস্টে প্রতিহত হয়ে। এম্বাপ্পে-নেইমারের পারফরম্যান্সে পুরো ম্যাচে কিছুটা পাদপ্রদীপের বাইরে চলে গিয়েছিলেন ইকার্দি। ৭২ মিনিটে গোল পেয়ে যান তিনিও, সেইন্ট-এঁতিয়ের ভুলে ডিবক্সের ভেতর থেকে হাফভলিতে গোল করেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার।
ম্যাচের শুরুটা হয়েছিল নেইমার-এম্বাপ্পের আলো ছড়ানো দিয়েই, শেষটাও হল ঠিক সেভাবেই। আবারও নেইমারের থ্রু থেকে প্রতিপক্ষের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন এম্বাপ্পে। আরও এক বড় জয়ে ফ্রেঞ্চ লিগের শীর্ষস্থানটা আরও সুসংহত করল তুকেলে দল। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মার্শেইয়ের চেয়ে (১৮ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট) এক ম্যাচ কম খেলে তাদের সংগ্রহ ৪২ পয়েন্ট।