চ্যাম্পিয়নস লিগ ড্র বিশ্লেষণ: কে জিতল, কে হারল?
চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় পর্বে কে কার বিপক্ষে খেলছে সেটা নির্ধারণ হয়ে গেছে। এখন থেকে দুই মাস পর ফিরবে চ্যাম্পিয়নস লিগ। এই সময়ের ভেতর বদলে যেতে পারে অনেক হিসাব-নিকাশই। তবে তার আগে কার কী অবস্থা ও কে কে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে এগিয়ে আছে সেই হিসাবটাই মিলিয়ে নেওয়া যাক।
ডর্টমুন্ড-পিএসজি: নেইমার ফিট থাকবেন তো?
থমাস তুখল ফিরছেন পুরনো ক্লাবে, এবার পিএসজির ম্যানেজার হয়ে। তবে শিরোনাম আরও একবার নেইমারকে ঘিরেই। সংশয়ও তাকে নিয়েই। নেইমার যোগ দেওয়ার পর পিএসজি দুইবারই চ্যাম্পিয়নস লিগে বাদ পড়েছে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে। প্রথমবার রিয়াল মাদ্রিদ, পরের বার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হেরে। দুই লেগ মিলিয়ে মোট চার ম্যাচের মাত্র একটিতে খেলতে পেরেছিলেন নেইমার। ইনজুরি তার পিছু ছাড়েনি এই দুই বছর। পিএসজির গেরো কাটানোর আগে তাই সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা আবারও সেই নেইমার। এই মৌসুমে এর ভেতর দুইবার ইনজুরির কারণে ছিটকে পড়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। এর পর চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে গ্যালাতাসারের বিপক্ষে প্রায় এক বছর পর ইউরোপে গোলও পেয়েছিলেন নেইমার।
মাউরো ইকার্দি, কিলিয়ান এমবাপ্পেরাও নিয়মিত গোলের যোগান দিয়ে গেছেন দলকে। গ্রুপের শীর্ষে থাকা পিএসজি ৬ ম্যাচে ড্র করেছে মাত্র একবার, তাও আবার রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে তাদের মাঠে। বাকি ৫ বারই জিতেছে তুখলের দল। রিয়ালের চেয়ে পুরো ৫ পয়েন্টে এগিয়ে গ্রুপ শেষ করেছিল পিএসজি। তবে আসল পরীক্ষাটা এই চ্যাম্পিয়নস লিগেই। ফ্রেঞ্চ লিগের মাঝপথে না এগুতেই এরই ভেতর শিরোপা দৌড়ে বাকি সবাইকে পেছনে ফেলে অনেকদূর এগিয়ে গেছে পিএসজি। আরও একবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফলই তাই তাদের মৌসুম বিচারক।
ইন্টার মিলানকে পেছন ফেলে ডর্টমুন্ড দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেছিল গ্রুপে বার্সেলোনার পেছনে থেকে। বুন্দেসলিগার ফর্মের বিচারে খুব বেশি ধারাবাহিক বলার সুযোগ নেই তাদের। দুই মাসে অবশ্য পরিবর্তন হতে পারে অনেক কিছুই। লড়াইয়ের ভেতরও লড়াই আছে- এমবাপ্পে বনাম জেডন সানচো, মার্কো ভেরাত্তি বনাম অ্যাক্সেল ভিটসেল। কিন্তু সব লড়াইয়ের মূল আকর্ষণ থাকবে পিএসজি আর নেইমারকে ঘিরেই।
প্রেডিকশন : এবার আর পা হড়কাবে না পিএসজি, এই টাইয়ে জিতবে তারাই।
রিয়াল মাদ্রিদ- ম্যান সিটি : এর চেয়ে কঠিন হতে পারত না গার্দিওলার জন্য
প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা ধরে রাখার সম্ভাবনা প্রায় শেষ ম্যানচেস্টার সিটির। চ্যাম্পিয়নস লিগই তাই একমাত্র ভরসা পেপ গার্দিওলার দলের জন্য। এমন পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ পেয়েছে তার দল। ১৩ বার ইউরোপ সেরা রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ২৬ ফেব্রুয়ারি সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে নামবে সিটিজেনরা। এর পর ১৭ মার্চ ইতিহাদে হবে দ্বিতীয় লেগ।
গতবার টটেনহামের কাছে হেরে সেমিফাইনালে পৌঁছাতে না পারার দুঃখ গার্দিওলা কেবল ভুলতে পারেন আরও একবার সেমিফাইনালে উঠে। গার্দিওলার অধীনে গত তিন মৌসুমে একবার ইউরোপের শীর্ষ চারে উঠতে পারেনি সিটি। আরও একবার এর আগেই সিটির যাত্রা থেমে গেলে পুরনো প্রশ্নটা নতুন করেই চাউর হবে। চ্যাম্পিয়নস লিগের হিসেবে ব্যর্থ গার্দিওলা?
রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার অভিজ্ঞতা অবশ্য ভালোমতোই আছে গার্দিওলার। ২০১১ সালে তার বার্সেলোনা সেমিফাইনালে রিয়ালকে বিদায় করে দিয়ে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিল। গার্দিওলারও সেবারই শেষবারের মতো জিতেছিলেন ইউরোপ সেরার পুরস্কার। বায়ার্ন মিউনিখের ম্যানেজার হিসেবে রিয়ালের বিপক্ষে গার্দিওলার স্মৃতি অবশ্য মোটেই সুখকর নয়। ২০১৪ এর সেমিফাইনালে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-০ গোলে রিয়ালের কাছে উড়ে গিয়েছিল গার্দিওলার দল।
দলের বিচারে অবশ্য সিটিকে পিছিয়ে রাখার সুযোগ নেই। সিটির এই মৌসুমে নড়বড়ে অবস্থার জন্য দায়ী দলের ডিফেন্ডারদের ইনজুরি। আইমেরিক লাপোর্তের ফেব্রুয়ারি নাগাদ ফেরার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। জানুয়ারির দলবদলের বাজারেও নতুন ডিফেন্ডার কেনার কোনো সংকেত দেননি গার্দিওলা। রিয়ালের বিপক্ষে গার্দিওলার দল চোখ ধাঁধানো-মন মাতানো ফুটবল খেললেও সেটা কতখানি যথেষ্ট হবে সেটা নিয়ে তাই বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন থেকেই যাচ্ছে।
বিশেষ করে রিয়ালের ডাগ আউটে যখন জিদান, তখন সেটা তো যে কোনো দলের জন্যই সমস্যার কারণ। গার্দিওলা ফুটবলের বড় পরিবর্তন এনেছেন, কিন্তু এর পরও তার ১০ বছরের ক্যারিয়ারে ইউরোপসেরা হতে পেরেছেন মাত্র দুইবার। অন্যদিকে জিদান তিন বছরে তিনবারই রিয়ালকে জিতিয়েছেন চ্যম্পিয়নস লিগ। আরও স্পষ্ট করে বললে, চ্যাম্পিয়নস লিগে থেকে এখনও জিদানের দলকে বাদ দিতে পারেননি কেউ। আহামরি কোনো ট্যাকটিকস বা কৌশল নয়, যেন ‘কালো জাদু’ জানেন জিদান!
জিদানের দল মূলত বড় খেলোয়াড়দের বড় পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে টানা তিনবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে ইতিহাস গড়েছে। রিয়ালের খেলোয়াড়রাও বড় ম্যাচে বড় কিছু করে দেখানো অভ্যাসে পরিণত করেছেন। জিদানের জাদুও সেটাই।
প্রেডিকশন : রক্ষণে নাটকীয় পরিবর্তন না এলে সিটির পক্ষে রিয়ালকে হারানো কঠিনই হবে। চ্যাম্পিয়নস লিগে গ্রুপের শীর্ষে থাকলেও সিটির খেলা এবারও প্রত্যাশামতো ছিল না ইউরোপে। আর জিদান ধীরে ধীরে রিয়াল মাদ্রিদকে আবারও শক্তিশালী দলে পরিণত করছেন, রিয়ালই উঠবে কোয়ার্টার ফাইনালে।
লিঁও-জুভেন্টাস : পথ পরিষ্কার রোনালদোর
ডিসেম্বরে এসে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ফর্মে ফিরেছেন। শেষ চার ম্যাচেই গোল পেয়েছেন রোনালদো। এর আগে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বেও খুব বেশি জ্বলে ওঠার সুযোগ হয়নি ৩৪ বছর বয়সীর, এবার মাত্র দুই গোল করেছেন। নক আউট পর্ব শুরু হতে বাকি আরও দুই মাস- এর ভেতর রোনালদো কেবল আরও আত্মবিশ্বাসীই হতে পারেন।
শিরোপা প্রত্যাশী দলগুলোর ভেতর সবচেয়ে সহজ প্রতিপক্ষ পেয়েছে বোধ হয় জুভেন্টাসই। লিঁওর জন্য গ্রুপ পর্ব পেরুনোই সাফল্য, এর ওপর আবার দলের মূল খেলোয়াড় মেম্ফিস ডিপাইকে ইনজুরির কারণে হারিয়ে ফেলেছে তারা। দলের মানের দিক দিয়েও অনেক পিছিয়ে লিঁও। সবমিলিয়ে মাউরিসিও সারির দলের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত রাস্তাটা পরিষ্কারই।
প্রেডিকশন : কোয়ার্টার ফাইনালে জুভেন্টাস।
আটালান্টা-ভ্যালেন্সিয়া : স্বপ্ন বুনতেই পারে আটালান্টা
লাইপজিগ নয়, ভ্যালেন্সিয়া- আটালান্টা হয় এই দুইদলেরই প্রার্থনা করছিল। মিলে গেছে সেটা। ইতালিয়ার ক্লাবটি নতুন স্বপ্ন বুনতেই পারে। গ্রুপ পর্বে প্রথম চার ম্যাচ না জিতেও দ্বিতীয় পর্বে ওঠার রেকর্ড গড়েছে তারা। আটালান্টার রূপকথার গল্পটা আরেক ধাপ এগিয়ে নেওয়াটা অসম্ভব কিছু নয়।
ভ্যালেন্সিয়া অবশ্য এই ম্যাচে পরিষ্কার ফেভারিট। চেলসি, আয়াক্সকে পেছনে ফেলে গ্রুপ পর্বে শীর্ষস্থান বগলদাবা করেছিল স্প্যানিশ ক্লাবটি। এর পর আটালান্টার কাছে পা হড়কানো তাদের জন্য ‘অঘটন'-ই হবে।
প্রেডিকশন : আটালান্টার অবিশ্বাস্য যাত্রাটা চলবে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত।
অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ-লিভারপুল : ওয়ান্ডারফুল লিভারপুল
ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানোতে চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা উঁচিয়ে ধরার ৯ মাস পর আবারও সেখানে ফিরছে লিভারপুল। এবার অবশ্য সমর্থন পুরোটাই যাবে তাদের বিপক্ষে। প্রথম লেগের ফল যাই হোক না কেন অ্যানফিল্ডের শেষ লেগ এখনই এগিয়ে রাখছে লিভারপুলকে।
বর্তমান ফর্মের বিচারে এই টাইয়ে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে এগিয়ে রাখা কঠিনই। দলের চারজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ক্লাব ছাড়ার পর ডিয়েগো সিমিওনে নতুনদের নিয়ে শুরুর করেছেন নতুন যাত্রা। অ্যাটলেটিকো ম্যানেজারের যাত্রাপথটা মোটেই মসৃণ হয়নি এখন পর্যন্ত। গোল করাও যেন ভুলে গিয়েছে তার দল। তবে অ্যাটলেটিকোর মূল শক্তি তো রক্ষণেই। আর লিভারপুলের শক্তি আক্রমণ। দুর্দান্ত একটি ম্যাচের জন্য ফুটবল সমর্থকেরা তাই ক্ষণ গণনা শুরু করতে পারেন এখন থেকেই।
লিভারপুল এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ম্যাচ হেরেছে মাত্র একটি। তবে তাদের খেলার ধরন বদলে গেছে। লিভারপুলের পাফরম্যান্স মাঠে যেমনই হোক না কেন জয় নিয়ে ফিরে আসা শিখে গেছে এই দল। চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার পর আত্মবিশ্বাসে ভরপুর দলটার চেহারাও বদলে রূপ নিয়েছে ‘অপরাজেয়’ দলে।
প্রেডিকশন : অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে ‘লাকি এস্কেপটা’ হবে না লিভারপুলের। বর্তমান ফর্ম লিভারপুলের পক্ষে কথা বললেও লেখকের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বলছে অ্যাটলেটিকো জিতে যাবে টাইটি।
টটেনহাম-লাইপজিগ : এবার পারবেন তো মরিনহো?
উঠতি অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, পিএসজি, শেষবার সেভিয়া- এই তিন ক্লাবের বিপক্ষে শেষ তিনবার নক আউট পর্বে বিদায় নিয়েছিল হোসে মরিনহোর দল। এবার লাইপজিগের বিপক্ষে সেরকম কিছুর পুনরাবৃত্তি হলে মরিনহোর সামর্থ্য নিয়েই প্রশ্ন উঠে যেতে পারে। বিশেষ করে প্রতিপক্ষ যখন লাইপজিগ।
তুলনামুলক বেশ সহজ প্রতিপক্ষ পেয়েছে গতবারের রানার্স আপরা। অবশ্য লাইপজিগকে ছোট করে দেখার উপায়ও নেই। এই মুহুর্তে বুন্দেসলিগায় শীর্ষে আছে তারা। টিমো ভার্নারকে নিয়েও আলাদা করে ভাবতে হবে মরিনহোকে। সে যাই হোক, যত ঝামেলাই থাক, লাইপজিগকে টপকাতে পারবে না টটেনহাম?
প্রেডিকশন : টানা দ্বিতীয়বারের মতো শেষ ষোল উতরে যাবে টটেনহাম।
চেলসি-বায়ার্ন মিউনিখ : অস্থায়ীরাই হাসবেন শেষে?
৮ বছর পর আলিয়াঞ্জ অ্যারিনায় ফিরবেন ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। এই মাঠেই ক্যারিয়ারের আর চেলসির একমাত্র চ্যাম্পিয়নস লিগটি জিতেছিলেন তিনি। তাও বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়েই। ল্যাম্পার্ডের চেলসির তাই সঙ্গী হচ্ছে সুখস্মৃতিও। তবে চেলসির তরুণ দলটি বায়ার্নকে এবার হারিয়ে দিলে সেবারের মতো এবারও সেটা বড় ‘চমকই’ হবে। গ্রুপ পর্বে সবগুলো ম্যাচ জিতেছে বায়ার্ন, সবচেয়ে বেশি গোলও করেছে তারা। রবার্ট লেভানডফস্কি একাই করেছেন ১০ গোল। ফিলিপ কুতিনিয়ো, সার্জ গ্যানাব্রিদের সামনে এই চেলসি বেশ ধূসর। অস্থায়ী কোচ হলেও হান্স ফ্লিকের অধীনে থাকা বায়ার্ন পথ হারাবে না বলেই মনে হচ্ছে এবার। আরও একবার বায়ার্ন-চেলসির ম্যাচে তাই অস্থায়ী ম্যানেজারের দলকেই এগিয়ে রাখতে হচ্ছে।
প্রেডিকশন : কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখ।
নাপোলি-বার্সেলোনা : ম্যারাডোনার শহরে মেসি
প্রথমবারের মতো কোনো অফিসিয়াল ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে নাপোলি আর বার্সেলোনা। লিওনেল মেসি তাই যাচ্ছেন কিংবদন্তী ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে ঈশ্বর মানা আরেক শহর নেপলসে। এই নাপোলিকেই ইউরোপসেরা করে ইতালির ফুটবলে নিজের স্বাক্ষর রেখে গিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। যার সঙ্গে তার এতো তুলনা সেই মেসি অবশ্য এখন নাপোলির চক্ষুশূলই হবেন।
মেসি বাদেও অবশ্য নাপোলির নিজেদের নিয়েই দুশ্চিন্তার শেষ নেই। ক্লাবকে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠিয়েও বরখাস্ত হয়েছেন কার্লো আনচেলত্তি। তার জায়গায় আসা জেনেরো গাত্তুসোর অধীনে প্রথম ম্যাচেই হেরেছে নাপোলি। মাঠে আর মাঠের বাইরে নানান সমস্যায় জর্জরিত নাপোলি এরই মধ্যে সিরি আ-র শিরোপা দৌড় থেকেও ছিটকে পড়েছে। পরের দুই মাসে নাপোলির উন্নতি হোক আর না হোক, বার্সেলোনার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বড় একটি পুঁজি সঙ্গী হচ্ছে নাপোলির। এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত লিভারপুলকে হারানো একমাত্র দল তারা। ঘরের মাঠে লিভারপুলকে হেনস্তা করতে পারলে বার্সেলোনাকে কেন নয়?
রোমার হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনার বিপক্ষে গোল করা সেই কস্তাস মানোলাস এখন খেলেন নাপোলির হয়ে। নাটকীয় কিছু না হোক- এর্নেস্তো ভালভার্দের বার্সেলোনার দুর্বলতা অজানা থাকা কথা নয় তার।
এসব কিছু বাদ দিলে অবশ্য বার্সেলোনাই নাপোলির চেয়ে এগিয়ে। আর দেল মেসির মতো ফুটবলার থাকা তো যে কোনো ম্যাচেই বার্সেলোনাকে এগিয়ে রাখে। বার্সেলোনার ভয় একটাই, আগের দুইবারের মতো ঐতিহাসিক ব্যর্থতায় না পড়লেই হয়! এখানেও স্বস্তি আছে, দ্বিতীয় লেগ তো ন্যু ক্যাম্পে!
প্রেডিকশন : নাপোলিকে সহজেই হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে যাবে বার্সেলোনা।