মেসির 'হাফসেঞ্চুরি' এবং সুয়ারেজ, গ্রিযমানে বড় জয় বার্সেলোনার
ফুল-টাইম
বার্সেলোনা ৪-১ আলাভেস
গত সপ্তাহের এল ক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে বার্সেলোনার তিন ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি, আঁতোয়া গ্রিযমান এবং লুইস সুয়ারেজের মধ্যে বোঝপড়ার অভাবটা বেশ ভুগিয়েছিল কাতালানদের। কিন্তু দিন তিনেক পরই নিজেদের মাঠে বার্সেলোনার আক্রমণত্রয়ী যেন নিজেদের খুঁজে পেলেন নতুন করে। আর তাতে ছিন্নবিন্ন হল আলাভেস। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের পর বার্সেলোনার নতুন ‘এমএসজি’ ত্রিফলায় বিদ্ধ হল তারা। ন্যু ক্যাম্পে গোল করলেন তিনজনই, বার্সেলোনাও জিতল ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে। ২০১৯ সালে ৫০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করলেন মেসি, শেষ ১০ বছরের ৯ বছরই গোলের 'হাফসেঞ্চুরি' পূরণ করলেন 'লা পুলগা'।
ম্যাচের শুরু থেকেই আলাভেসকে এতটুকু থিতু হতে দেয়নি বার্সেলোনা। ১০ মিনিটেই সার্জিও বুস্কেটসের পাস থেকে জাল খুঁজে পেয়েছিলেন মেসি, কিন্তু অফসাইডে বাতিল হয় গোলটি। তবে লিড নেওয়ার জন্য খুব একটা অপেক্ষা করতে হয়নি কাতালানদের। ১৪ মিনিটে আর্তুরো ভিদালের পাস থেকে আলাভেস ডিবক্সের ডানপ্রান্তে বল পেয়ে যান সুয়ারেজ। তার মাইনাস থেকে ডানপায়ের নিচু শটে গোল করেন গ্রিযমান। ম্যাচের শুরুটা দুর্দান্ত হলেও সময় যত গড়িয়েছে, বার্সার আক্রমণ রং হারিয়েছে তত। আলাভেসও কম যায়নি, গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল তারাও।
কিন্তু গোলমুখে ফরোয়ার্ডদের ভুলে আর সমতায় ফেরা হয়নি তাদের। প্রথমার্ধের শেষদিকে অবশ্য আলাভেস ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতার সুযোগ কাজে লাগায় বার্সা। মেসির পাস থেকে বল পান সুয়ারেজ, এবার তার মাইনাস থেকে গোল করেন ভিদাল। প্রথমার্ধে গোল না পেলেও খুব সম্ভবত কাতালানদের সেরা ফুটবলার ছিলেন সুয়ারেজই। প্রথমার্ধের মত দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও গোল পেয়ে যায় বার্সা। ৫১ মিনিটে মেসির বুদ্ধিদীপ্ত চিপে জাল খুঁজে পান গ্রিযমান। কিন্তু প্রথমার্ধে বার্সা অধিনায়কের মত ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ডের গোলও বাতিল হয় অফসাইডে। প্রথমার্ধে চেষ্টা করেও ম্যাচে ফিরতে না পারা আলাভেস দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বল পাঠায় কাতালানদের জালে। ৫৩ মিনিটে রুবেন দুয়ার্তের ক্রসে হেড করে দলকে ম্যাচে ফেরান পেরে পন্স।
এরপর আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে বার্সার পুরনো সমস্যা, রক্ষণ। সার্জি রবার্তোর ভুল পাসে বার্সা গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগানকে একা পেয়ে যান অ্যালেক্স ভিদাল। কিন্তু সাবেক বার্সেলোনা ফুলব্যাককে ফিরিয়ে দেন জার্মান গোলরক্ষক। প্রথমার্ধের মত এবারও আলাভেসের গোলের সুযোগ হাতছাড়া করার চড়া মাশুলই দিতে হয়েছে। ৬৭ মিনিটে আলাভেসের তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বাঁ-পায়ের দুর্দান্ত বাঁকানো শটে জাল খুঁজে পান মেসি।
এই গোলের পরই মূলত ম্যাচে ফেরার ইচ্ছাশক্তি হারিয়ে ফেলে আলাভেস। ম্যাচের বাকিটা সময় যেন আর গোল হজম না করার দিকেই নজর ছিল তাদের। তাতে অবশ্য লাভ হয়নি খুব একটা। ৭৫ মিনিটে সুয়ারেজের ক্রস মার্টিন আগিরেগাবিরিয়ার হাতে লাগলে পেনাল্টির বাঁশি দেন রেফারি। ১২ গজ থেকে এবার গোল করেন সুয়ারেজ। শেষ পর্যন্ত ন্যু ক্যাম্পে আরও এক বড় জয়ে তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে এর্নেস্তো ভালভার্দের দল।