বড় জয়েই বছরের শেষটা করল পিএসজি
পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দলের মুখোমুখি অবনমনের সঙ্গে লড়া দল। ফলাফল যা হওয়ার কথা তা-ই হয়েছে। আমিয়েন্সকে ৪-১ গোলে উড়িয়েই দিয়েছে পিএসজি, ফ্রেঞ্চ লিগে নিজেদের শীর্ষস্থানটা সুসংহত করেছে। আরেকটি ম্যাচেও গোল পেয়েছেন নেইমার-এমবাপ্পে-ইকার্দি ত্রয়ী।
প্রথম গোলের জন্য পিএসজিকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ১০ মিনিট পর্যন্ত। প্রতি আক্রমণে ইকার্দির কাছ থেকে বল পেয়েছিলেন নেইমার, তাঁর দুর্দান্ত থ্রু বলটা খুঁজে নেয় এমবাপ্পেকে। আমিয়েন্সের গোলরক্ষক সামনে এসেও আটকাতে পারেননি, এমবাপ্পে পেয়ে গেছেন ম্যাচের প্রথম গোল। এরপর বেশ কিছু আক্রমণ করেছে পিএসজি, কিন্তু আমিয়েন্সের গোলরক্ষকের জন্য প্রথমার্ধে আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অবশ্য আরেকটি গোল পেয়ে যায় পিএসজি। এবার ডি মারিয়ার পাস থেকে বক্সের বাঁয়ে বল পেয়েছিলেন ইকার্দি। ভেতরের দিকে দারুণভাবে ঢুকে কোনোমতে বলটা বাড়িয়ে দেন নেইমারকে। অত কাছ থেকে ফাঁকায় পাওয়া সুযোগটা মিস করেননি। ৬৫ মিনিটে তৃতীয় গোলটাও পেয়ে যায় পিএসজি। এবার ডি মারিয়ার পাস থেকে বল পেয়ে বল পেয়ে কাট করে ভেতরে ঢুকেছিলেন এমবাপ্পে, এরপর জোরালো শটে বল জড়িয়ে দিয়েছেন জালে। পেয়েছেন ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল। এই বছর ৩০ গোল হয়ে গেল এমবাপ্পের। এক বছরে কোনো ফ্রেঞ্চ ফুটবলারের এত গোল করার সর্বশেষ কীর্তি সেই ১৯৩১ সালের, করেছিলেন হার্ভে র্যাভেলি।
আমিয়েন্স যে আক্রমণ এর মধ্যে একদমই করেনি তা নয়। বার বাধা না হলে ব্যবধান কমাতে পারত আগেই। শেষ পর্যন্ত ৭০ মিনিটে স্টিভেন মেনডোজা গোল করে ব্যবধান কমান। কিন্তু ব্যবধান আবার তিন গোলে নিয়ে যান ইকার্দি। ৮৪ মিনিটে বেরনাতের বাড়ানো ক্রস থেকে দূরের পোস্টে পা লাগিয়ে ইকার্দি পেয়ে যান দলের চতুর্থ ও নিজের প্রথম গোল।
এই জয়ের পর ১৮ ম্যাচে পিএসজির পয়েন্ট হলো ৪৫। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে মার্শেই।