সাবেক ক্লাব পেনারোলকে দিয়ে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু ফোরলানের
পেনারোলের বয়সভিত্তিক দলে ফুটবলের হাতেখড়ি হয়েছিল ডিয়েগো ফোরলানের। সেই ক্লাব দিয়েই পেশাদার কোচ হিসবে নতুন অধ্যায় শুরু হচ্ছে ফোরলানের জীবনে। উরুগুয়ের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়ার নামকরা সব ক্লাবে খেলার অভিজ্ঞতাও সঙ্গী হয়েছে তার। বিভিন্ন দেশে ফুটবল খেলার এই অভিজ্ঞতা কোচিংয়েও সাহায্য করবে বলে জানিয়েছেন ফোরলান, "পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ফুটবল খেলে আমি অনেক কিছু শিখেছি- কীভাবে প্রতিটি দেশ ফুটবল নিয়ে বাঁচে, কীভাবে প্রতিদিন তারা খেলার জন্য প্রস্তুত হয়, সংস্কৃতি কীভাবে ট্যাকটিক্সের ওপর প্রভাব ফেলে। এর পর মাঠে এগারো জন বনাম এগারো জনের খেলা। আপনাকে বুঝতে হবে, সবকিছু জাপান, স্পেন বা উরুগুয়েতে একইরকম হবে না।"
"এই দলের কোচ হতে পেরে আমি প্রচন্ড আনন্দিত। এই ক্লাবের সঙ্গে আমার আর আমার পরিবারের সম্পর্কটা গভীর।"
এ বছর আগস্টে ৪০ বছর বয়সে পেশাদার ফুটবলার ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছিলেন ২০১০ বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল জেতা ফোরলান। আর্জেন্টিনার ক্লাব ইন্ডিপেন্ডিয়েন্টের হয়ে পেশাদার ফুটবলের সূচনা ফোরলানের। দীর্ঘ ২১ বছরের ক্যারিয়ারে খেলেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, ইন্টার মিলানের মতো ক্লাবে। ৫২৫ ক্লাব ম্যাচে তার গোল ২২২ টি। ইউনাইটেডের হয়ে জিতেছেন প্রিমিয়ার লিগ, এফ এ কাপ; অ্যাটলেটিকোর হয়ে জিতেছেন ইউরোপা লিগ।
জাতীয় দলের হয়ে ১১২ ম্যাচে ৩৬ গোল করেছেন ফোরলান। ক্যারিয়ারের বড় সাফল্য এসেছে ২০১০ সালের বিশ্বকাপে। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সেই চতুর্থ হয় উরুগুয়ে। সেবার পাঁচ গোল করেছিলেন তিনি, জিতেছিলেন টুর্নামেন্ট সেরা ফুটবলারের খেতাবও। পরের বছর উরুগুয়ের হয়ে কোপা আমেরিকা জেতেন ফোরলান।