• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৫
  • " />

     

    বিস্ময়কর নির্লিপ্ততা

    বিস্ময়কর নির্লিপ্ততা    

    দ্বিপাক্ষিক বা ত্রিপাক্ষিক লড়াইয়ে অধিকাংশ সময়েই জেতে বীরদর্পে। অথচ বহুজাতিক কোন যুদ্ধে প্রতিবারই দেখা যায়, তালিকার তিন-চার নম্বরেই থাকে দলটির নাম। এহেন চিত্রের পুনরাবৃত্তি হতে থাকলে ক্রিকেট-বিশ্বে তাদের নাম হয়ে যায় একসময় ‘চোকার’। দলটির নাম অনুমান করে নিতে আশা করি কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

     

    গত ৬টি বিশ্বকাপের প্রায় প্রতিটি আসরেই দেখা গেছে কোন না কোন একটা পর্যায়ে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে ‘চোকার’ নামকরণটা সম্ভবত ৯৯’য়ের সেই সেমিফাইনালের পরই পায় তারা। অস্ট্রেলিয়ার সাথে সেদিন জেতা ম্যাচ ড্র করে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়েছিল প্রোটিয়ারা। ৪ বলে ১ রান নিতে না পারার দুঃখ আজও পোড়ায় সেই দলের অনেককে, ডারিল কালিনান তাঁদের একজন।

     

    “টানা চার জয় দিয়ে চমৎকারভাবেই শুরুটা হয়েছিল আমাদের। ঝামেলাটা হয় যখন মাঝপথে এসে ছেদ পড়ে সেই ধারায়। আমাদের প্রথম পরাজয়টা এল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, যেটার কারণে পরবর্তীতে গিয়ে অনেক মূল্য দিতে হয়েছিল।” সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার সাথে ঐ ম্যাচটায় ড্র করলেও রান-রেটের ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে বাদ পড়ে যাওয়ার ঘটনার দিকেই ইঙ্গিত করেছিলেন কালিনান।

     

    ২১৪ রানের মামুলি লক্ষ্যের পিছু নিয়ে শেন ওয়ার্ন তোপে পড়ে প্রোটিয়াদের নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে এলওয়ার্দি যখন আউট হলেন, জিততে তখনও ১৬ রান প্রয়োজন তাঁদের, অথচ বল ছিল মাত্র ৮টি। দক্ষিণ আফ্রিকানদের একমাত্র ভরসা ছিল পুরো টুর্নামেন্টে অসাধারণ খেলে আসা অলরাউন্ডার ল্যান্স ক্লুজনার। উইকেটে ইতিমধ্যেই ‘সেট’ ক্লুজনার ৪ বলে তুললেন ১৫। প্রয়োজন দাঁড়াল ৪ বলে ১।

     

    এরকম সময়ে একটা বলকে ডাউন দা গ্রাউন্ডে এসে মারতে গিয়ে ঠিকমত ব্যাটে-বলে করতে পারলেন না তিনি। তবে ‘সিঙ্গেল’ নেওয়ার সুযোগ ছিল। দৌড় দিলেন ক্লুজনার, পৌঁছেও গেলেন অপরপ্রান্তে। কিন্তু ওপ্রান্তে একাদশ ব্যাটসম্যান অ্যালান ডোনাল্ড যে কি বুঝে দৌড় দিলেন না, তা এখনও রহস্যের মত লাগে।