• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    ফুটবলে দশকের সেরা ১০ ঘটনা

    ফুটবলে দশকের সেরা ১০ ঘটনা    

    শুরুটা হয়েছিল স্পেনের বিশ্বকাপ জয় দিয়ে, শেষটা হল ব্রাজিলের কোপা আমেরিকার শিরোপা ঘরে তোলা নিয়ে। গত দশকে ফুটবল চড়াই-উৎরাই পেরিয়েছে বেশ, অবসরে গেছেন শৈশবের প্রিয় ফুটবলাররা। চোখের সামনে দেখেছি মেসি-রোনালদোর অতিমানবীয় ধারাবাহিকতা, ব্রাজিলের কান্না, রোনালদোর আন্তর্জাতিক শিরোপা জেতা। গত দশকের ঘটনার অভাব নেই, কিন্তু কেমন হবে শীর্ষ ১০-এর তালিকা?


    স্পেনের সোনালী প্রজন্মের মুদ্রার দুপিঠ দেখা

    প্রতি বিশ্বকাপে দলগুলোর ফর্ম যেমনই হোক, ফেভারিটদের তালিকায় কিছু নাম যেন ধ্রুবক। জার্মানি, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিলরা যেন সব বিশ্বকাপেরই ফেভারিট অনেকের কাছে। কিন্তু ২০১০ সালে এই দলগুলোর সাথে যুক্ত হয়েছিল আরেক নাম, স্পেন। ইতিহাসের পাতা হাতড়ালে দেখা যায়, ফেভারিট হয়ে শিরোপা জেতা হয় না কারোই। কিন্তু ২০১০ সালে ক্যাসিয়াস-ইনিয়েস্তারা যেন বৃদ্ধাঙ্গুলিই দেখিয়েছিলেন এমন চিন্তাভাবনাকে।

    সুইজারল্যান্ডের কাছে হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করলেও একে একে পর্তুগাল, প্যারাগুয়েকে সেমিতে এসেছিল স্পেন। শিরোপাপ্রত্যাশী জার্মানিকে হারিয়ে ফাইনালে নেদারল্যান্ডস। অতিরিক্ত সময়ে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার সেই ভলি, বা নির্ধারিত সময়ে আরিয়েন রোবেনের ইকার ক্যাসিয়াসের ‘পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ’ সেভ- স্পেনকে যেন বিশ্বকাপ জেতা থেকে ফেরাতে পারত না কেউই। সেখানেই থেমে যাননি রামোস-পুয়োল-জাভিরা।

     

     

    ২০১২ ইউরোতে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট ধরে রাখল ভিসেন্তে দেল বস্কের দল। কিন্তু সব গল্পেরই শেষ আছে, এবং শেষটা সবসময় প্রত্যাশিত হয় না; হয়নি স্পেনেরও। ২০১৪ বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিল ‘লা রোহা’রা, অবসরে গেলেন এক ঝাঁক কিংবদন্তী। ২০১৬ ইউরোতেও ভরাডুবি, খোঁড়াতে থাকা ইতালির কাছে শেষ আটে হার। সব মিলিয়ে দশকের শুরুটা যত উজ্জ্বল ছিল স্পেনের শ্রেষ্ঠতম প্রজন্মের, শেষটা ছিল ততটাই হৃদয়বিদারক।

    মিনেইরাজো এবং ব্রাজিলের দীর্ঘশ্বাস

    এক যুগ। তিনটি বিশ্বকাপ। ২০০২ সালে পঞ্চমবারের মত বিশ্বকাপ জেতা ব্রাজিল আবারও স্বপ্ন দেখছিল ২০১৪ বিশ্বকাপ নিয়ে। দল আছে ফর্মে, সাথে আছে কোটি কোটি ব্রাজিল সমর্থকদের সমর্থন, খেলাও নিজের মাঠে। চিলি, কলম্বিয়াকে বিদায় করে সেমিফাইনালে আসল ব্রাজিল। প্রতিপক্ষ জার্মানি। কিন্তু যার ওপর এত ভরসা, সেই নেইমারই ছিটকে গেলেন মেরুদন্ডের ইনজুরিতে। কলম্বিয়ার সাথে হলুদ কার্ড দেখে সেমিতে থাকতে পারলেন না অধিনায়ক থিয়াগো সিলভা। সুযোগটা হাতছাড়া করেনি জার্মানি।

    সেহরি খেতে উঠতে সে রাতে হয়তো দেরি করেছিলেন অনেকেই। টিভি খুলে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে না পারা লোকের সংখ্যাও কম হবে নেয়া নেহায়েতই। বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের মত ম্যাচের প্রথম ৩০ মিনিটে ‘সেলেসাও’দের জালে জার্মানি বল পাঠাল ৫বার। বেলো হরিজন্তেতে তখন কান পাতলে হয়তো শোনা যেত সমর্থকদের হৃৎপিন্ডও। ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ ব্রাজিল সমর্থক ক্লোভিস ফার্নান্দেজের বিশ্বকাপ রেপ্লিকা জড়িয়ে সে কান্না আজও তাড়িয়ে বেরায় ব্রাজিলকে। ক্লোভিস পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন আগেই, কিন্তু মিনেইরোতে ৭-১ গোলে হারের সেই দুঃস্মৃতি হয়তো এই জনমেও ভুলবে না ব্রাজিল সমর্থকরা।

    ক্রোয়েশিয়া ফাইনাল

    রাশিয়া বিশ্বকাপে ফেভারিটদের তালিকা করলে ক্রোয়েশিয়ার হয়তো জায়গা হত না শীর্ষ দশেও। নিজেদের সোনালী প্রজন্মের শেষ টুর্নামেন্টে জ্বলে উঠলেন মদ্রিচ-রাকিটিচ-মানজুকিচরা। আর্জেন্টিনা, ইংল্যান্ডের মত দলকে হারিয়ে ফাইনালেও চলে গেল দালিচের দল। যে লুকা মদ্রিচ একসময় ঘুমোতেন শরণার্থী শিবিরের অদূরে ভারী গোলাবর্ষণের বিকট আওয়াজে, সে মদ্রিচ বিশ্বকাপের শিরোপা জয় থেকে তখন মাত্র ৯০ মিনিট দূরে।

    মানজুকিচের আত্মঘাতী গোলে ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালে পিছিয়ে পড়লেও ইভান পেরিসিচের গোলের সমতায় ফিরল তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পগবা-এমবাপ্পেদের আটকাতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। ৪-১ গোলে হারের পরও মাথা উঁচু করে ফিরলেন ক্রোয়াটরা। মদ্রিচ হলেন বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলার, একই বছর জিতলেন ব্যালন ডি’অরই। এর চাইতে বেশি কিছু হয়তো স্বপ্নেও দেখেননি রাকিটিচরা।

    মেসি, আর্জেন্টিনা এবং তীরে এসে তরী ডোবা

    ‘দেশের হয়ে কিছু করতে পারেন না’- এই অপবাদ ক্যারিয়ারের একটা বড় সময় সইতে হয়েছিল লিওনেল মেসিকে। বার্সেলোনার জার্সিতে মেসি যতটা দুর্ধর্ষ, ‘আলবিসেলেস্তে’দের জার্সিতে ঠিক ততটাই সাধারণ- খোদ আর্জেন্টাইন সমর্থকরাই ভাবতেন সেটা। অনেকেই মনে করেন, সেজন্যই হয়তো জন্মভূমি আর্জেন্টিনাতেই তার নিন্দুকের আছেন অসংখ্য। কিন্তু ২০১৪ বিশ্বকাপে সেসব অপবাদ এবং নিন্দুকদের মুখে কুলুপ এঁটে দেওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন লিও।

     

     

    কিন্তু জার্মানির কাছে স্বপ্নের জলাঞ্জলী দিতে হয়েছে তাকে। রাগের চেয়ে মেসির প্রতি সহানুভূতিই দেখিয়েছেন বেশিরভাগ মানুষ। কিন্তু পরের দুই বছর টানা দুই কোপা আমেরিকা ফাইনাল হারে সেই সহানুভূতি পরিণত হয়েছে ক্ষোভে, রাগে। বিশেষ করে চিলির বিপক্ষে কোপার শততম আসরের ফাইনালের টাইব্রেকারে মেসি নিজেই মিস করেছিলেন পেনাল্টি। হতাশ মেসি নিয়েছিলেন অবসরও, ফিরে এসেছেন দেশবাসীর টানেই। এ বছরও ব্রাজিলের কাছে কোপার সেমিতে হার মেসির আন্তর্জাতিক শিরোপাক্ষুধা বাড়িয়েছে শুধু। 

    পর্তুগিজদের ‘প্রথম’ (এবং দ্বিতীয়) রোনালদোর হাত ধরেই

    ফুটবলে তাদের দ্বৈরথটা শুরুই হয়েছিল মূলত ক্লাব ফুটবলের ফর্ম দেখেই। মেসির মত জাতীয় দলের জার্সিতে রোনালদোকে চেনা দায়- অনেকের বিশ্বাস ছিল এমনটাই। ক্যারিয়ারের শুরুতে ইউরো ২০০৪ ফাইনাল হেরেছিলেন নিজেদের মাঠে। কিন্তু ২০১৬-তে আর খালি হাতে ফিরতে হয়নি তাকে।

    অথচ সেবার গ্রুপপর্বই পেরুনোর কথা ছিল না পর্তুগিজদের। আইসল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি- তিন দলের বিপক্ষেই ড্র। ফার্নান্দো সান্তোসের দল শেষ ষোলতে আসে গাণিতিক মারপ্যাঁচে। এরপর একে একে ক্রোয়েশিয়া, ওয়েলসকে হারিয়ে ফাইনালে। কিন্তু রোনালদো এবং অধরা আন্তর্জাতিক শিরোপার মাঝে তখন দাঁড়িয়ে আছে স্বাগতিক ফ্রান্স। প্যারিসে ম্যাচের শুরুতেই ধাক্কা খেল পর্তুগাল, হাঁটুর ইনজুরিতে পড়লেন রোনালদো। খেলা চালিয়ে যেতে চাইলেন, কিন্তু পারলেন না।

    শেষ পর্যন্ত উঠে যেতে হল তাকে। প্যারিসে সে রাতে যেন রোনালদো বনে গেলেন এডার। দুর্দান্ত এক গোলে অতিরিক্ত সময় শেষে ফ্রান্স নয়, হাসল পর্তুগাল। প্যারিসে সে রাতে রোনালদোর অশ্রুই প্রমাণ করছিল, ঠিক কতটা নির্ভার ছিলেন তিনি। বছর তিনেক বাদে আবারও দেশকে শিরোপা জেতালেন রোনালদো। ইউয়েফার নেশনস লিগের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল, সেমিতে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ‘সিআর৭’। 

    জাদুকরী জিদানের ‘হ্যাটট্রিক’

    রাফায়েল বেনিতেজকে বরখাস্ত করে ২০১৬ সালে জিনেদিন জিদানকে ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। অনেকেই বলেছিলেন, রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আবেগের বশবর্তী হয়ে। কিন্তু নিন্দুকদের ভুল প্রমাণ করতে এতটুকু সময় নেননি ‘জিজু’। ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮- টানা তিন বছর রিয়ালকে জেতালেন চ্যাম্পিয়নস লিগ। ২০১৩-১৪ মৌসুমে রিয়ালের ‘লা ডেসিমা’ জয়ের সময় ছিলেন সাবেক ম্যানেজার কার্লো আনচেলত্তির সহকারী। এবার জিতলেন নিজেই।

    বায়ার্ন মিউনিখ, লিভারপুল, জুভেন্টাস, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ- রিয়ালের ‘হ্যাটট্রিক’ চ্যাম্পিয়নস লিগের পথে বাধা হতে পারেননি কেউই।

    লেস্টার সিটি: যে গল্প রূপকথাকেও হার মানায়

    ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসির পেট্রোডলারের ঝনঝনানি, গ্লেজার্সের পরিবারের অর্থে পুষ্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। পিছিয়ে নেই আর্সেনাল, লিভারপুল, টটেনহাম হটস্পারও। একবিংশ শতাব্দীতে যখন ফুটবলে দিনশেষে পার্থক্যটা অনেকাংশেই হয় আর্থিক অবস্থার, সেখানে অন্য দলগুলোর চেয়ে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল লেস্টার সিটির প্রিমিয়ার লিগ জেতার স্বপ্ন দেখাও যেন মানা। ২০১৫-১৬ মৌসুমে ‘ফক্স’দের প্রিমিয়ার লিগ জয়ের বাজির দর ছিল ৫০০০/১। কিন্তু কিছু রূপকথা আছে, যা হার মানায় বাস্তবতাকেও। ২০১৬-তে এমনই এক রূপকথা উপহার দিয়েছিল ক্লদ্বি রানিয়েরির লেস্টার।

     

     

    সিটি, ইউনাইটেড, লিভারপুল, আর্সেনাল- কেউ বাদ যায়নি তাদের হাতে ভুক্তভোগী হওয়া থেকে। প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা প্রত্যাশীদের বেঞ্চে যেখানে বসে থাকেন ৫০-৬০ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে কেনা তারকা, সেখানে লেস্টারের সবচেয়ে বড় দুই তারকা রিয়াদ মাহরেজ এবং জেমি ভার্ডিকে কিনতে ৫ মিলিয়ন ইউরোও খরচ হয়নি লেস্টারের। রক্ষণে খেলেছেন ত্রিশোর্ধ্ব রবার্ট হুথ এবং ওয়েস মরগান। আর পুরো রূপকথার নীলনকশা এঁকেছিলেন রানিয়েরি। আর্থিক শক্তি ছাড়াও কীভাবে রূপকথা লেখা যায়, সেটাই করে দেখিয়েছিল লেস্টার। এই রূপকথার হয়তো আর পুনরাবৃত্তি হবে না, কিন্তু লেস্টার সিটির প্রিমিয়ার লিগ জয় খুব সম্ভবত সর্বকালের সেরা ‘আন্ডারডগ স্টোরি’ হিসেবেই মুখে মুখে ফিরবে আজীবন।

    আকাশচুম্বী ট্রান্সফার ফি-এর মূলে মূল্যস্ফীতি

    মূল্যস্ফীতির হাত থেকে রক্ষা পায়নি ফুটবলারদের দলবদলের ট্রান্সফার ফি-ও। ২০১৩ সালে গ্যারেথ বেলকে দলে ভেড়াতে ১০০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করাল রিয়াল। এরপরই যেন শুরু হয়ে গেল আকাশচুম্বী ট্রান্সফার ফি-এর ‘ডমিনো ইফেক্ট’। বার্সেলোনায় মেসির ছায়া থেকে বের হতে নেইমারকে দলে ভেড়াতে রীতিমত বিশ্বরেকর্ড গড়ল পিএসজি। একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দশকে যখন ৬০ মিলিয়ন ইউরোতে দলে ভেড়ানো যেত লুইস ফিগোকে, সেখানে এখন ডিয়েগো কস্তার দামও প্রায় ৬৩ মিলিয়ন। ৫০ মিলিয়ন ইউরো এখনকার দলবদলের যেন ন্যূনতম ফি।

    ইতালি, নেদারল্যান্ডস, এবং মুদ্রার দু’পিঠ

    বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের পরবর্তী আসরে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের অভিশাপ থেকে বের হতে পারেনি ইতালি। ২০০৬-এর চ্যাম্পিয়নরা বিদায় নেয় ২০১০-এর গ্রুপপর্ব থেকেই। ২০১২ ইউরোতে ফাইনাল খেললেও ২০১৪ বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বের গেরোই পেরোতে পারেনি তারা। ২০১৮ বিশ্বকাপে তো মূল আসরেই ওঠা হয়নি ইতালির। বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের এমন পতনের সময় ‘আজ্জুরি’দের জন্য আলো হয়ে আসলেন রবার্তো মানচিনি। সাবেক ম্যানচেস্টার সিটি ম্যানেজারের জাদুতে রীতিমত খোলনলচে বদলে গেল তারা। দেখা মিলল সেই জমাট রক্ষণের, আক্রমণেও ক্ষীপ্রতা আনলেন ইমোবিলে-বেলোত্তিরা। মানচিনির জাদুতে বদলে যাওয়া ইতালি ইউরো ২০২০ মূলপর্বের টিকেট নিশ্চিত করেছিল জার্মানি, ফ্রান্সদেরও আগে। সবমিলিয়ে আশঙ্কার কালো মেঘ নিয়ে দশক শুরু করা ইতালি এখন স্বপ্ন দেখছে নতুন সম্ভাবনাময় ভোরের।

     

     

    ইতালির মত অবশ্য দশকের শুরুটা হতাশার ছিল না নেদারল্যান্ডসেরও। অল্পের জন্য বিশ্বকাপের শিরোপা হাতছাড়া হলেও ফাইনালে আসাটাই ছিল সবচেয়ে বড় চমক। ২০১২, ২০১৬ ইউরোর মূলপর্বেই যেতে পারেনি তারা। মাঝে ২০১৪ বিশ্বকাপে ৩য় হওয়া ডাচদের পুনর্জাগরণের ইঙ্গিত দিয়েছিল অবশ্য। তবে নেশনস লিগ এবং ২০২০ ইউরো বাছাইপর্বে দেখা মিলেছে নতুন এক নেদারল্যান্ডসের। পর্তুগালের কাছে ফাইনাল হারলেও ডাচ ফুটবলে প্রাণের সঞ্চার করেছেন ভ্যান ডাইক, ডি ইয়ংরা।

    লিভারপুলের পুনরুত্থান

    শিরোপা জেতা একটা সময় সোনার হরিণই হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তাদের। প্রিমিয়ার লিগ, বা চ্যাম্পিয়নস লিগ তো দূরে থাক; এফএ কাপও ঘরে তোলা হচ্ছিল না লিভারপুলের। কিন্তু ইয়ুর্গেন ক্লপের জাদুতে রীতিমত বদলে গিয়েছে তারা। গত মৌসুমে অল্পের জন্য প্রিমিয়ার লিগ হাতছাড়া হয়েছিল। কিন্তু এবার হয়তো ৩০ বছরের অপেক্ষা অবসান ঘটতে যাচ্ছে অবশেষে। চ্যাম্পিয়নস লিগটাও ঘরে তোলা হয়েছে ক্লপের দলের, ইতি টেনেছেন এক যুগের অপেক্ষার। আশির দশকে ইংল্যান্ড রাজত্ব করা লিভারপুলের হারানো জৌলুস ফিরতে শুরু করেছে ক্লপের অধীনে। তাদের সামনে পাত্তাই পাচ্ছে না ম্যানচেস্টার সিটি, আর্সেনাল, চেলসিরা। শুরুটা একেবারেই গড়পড়তা হওয়া লিভারপুল এই দশককে বিদায় জানাচ্ছে খুব সম্ভবত বিশ্বসেরা ক্লাব হিসেবেই।