ইউনাইটেডকে হারিয়ে আর্টেটার প্রথম জয়ে নতুন বছর শুরু করল আর্সেনাল
ফুল-টাইম
আর্সেনাল ২-০ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
গত সপ্তাহে এমিরেটসে নিজের ‘হোম’ অভিষেকে চেলসির বিপক্ষে ৮০ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল আর্সেনাল ম্যানেজার মিকেল আর্টেটাকে। কিন্তু নতুন বছরের প্রথম ম্যাচেই ‘গানার’দের হয়ে নিজের প্রথম জয়ের দেখা পেয়ে গেলেন স্প্যানিশ ম্যানেজার। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আর্সেনাল। তিন মাস পর প্রিমিয়ার লিগে ক্লিনশিট রেখেছে আর্সেনাল, টানা জয়হীন থাকার রেকর্ডটা ১৩-তেই থামল তাদের। প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের ১০-এ উঠে আসল আর্সেনাল, হারের পরও ৫-এই আছে ইউনাইটেড।
দায়িত্ব নেওয়ার পরই আর্টেটা বলেছিলেন, আর্সেনালের খেলায় জয়ের ক্ষুধা এবং হার না মানা মনোভাব ফিরিয়ে আনবেন তিনি। প্রথম দুই ম্যাচে ম্যানেজারের কথা সেভাবে প্রমাণ করতে পারেননি ডেভিড লুইজরা। কিন্তু ইউনাইটেডের বিপক্ষে এমিরেটসে দেখা মিলল রীতিমত ভিন্ন এক আর্সেনালের, যাদের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ধরাশায়ী হয়েছে ওলে গানার সোলশারের দল। প্রথমার্ধে রক্ষণ, মাঝমাঠ, আক্রমণ- কোনো অংশেই ইউনাইটেডকে পাত্তা দেয়নি আর্সেনাল। লিড নিতেও দেরি করেনি আর্টেটার দল। পিয়ের-এমেরিক অবামেয়াংয়ের পাস থেকে বাঁ-প্রান্তে বল পান লেফটব্যাক সিড কোলাসিনাচ। তার মাইনাস ভিক্টর লিন্ডেলফের পায়ে লেগে আসে নিকোলাস পেপের দিকে। ওয়ান টাচ ফিনিশে ইউনাইটেড গোলরক্ষক ডেভিড ডি গেয়াকে পরাস্ত করেন আইভরি কোস্ট ফরোয়ার্ড।
লিড নিয়ে ইউনাইটেডকে আরও চেপে ধরে আর্সেনাল। প্রথমার্ধে গোলের আরও তিনটি সুযোগ তৈরি করেছিল আর্সেনাল, তিনবারই উৎস ছিলেন পেপে। প্রথমার্ধে ইউনাইটেড লেফটব্যাক লুক শ’কে রীতিমত নাচিয়ে ছেড়েছেন তিনি। পেপে সুযোগ তৈরি করলেও অবামেয়াং-লাকাজেতদের কেউই গোল করতে পারেনি। ৩৮ মিনিটে ভাগ্য সহায় হলে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারতেন পেপে নিজেই, কিন্তু প্রায় ২৫ গজ থেকে তার বাঁকানো শট ডি গেয়াকে পরাস্ত করলেও প্রতিহত হয় ক্রসবারে। তবে প্রথমার্ধের শেষদিকে দ্বিতীয় গোল ঠিকই পেয়েছিল আর্সেনাল। পেপের কর্নারে লাকাজেতের হেড ফিরিয়ে দেন ডি গেয়া। ফিরতি বল লিন্ডেলফের গায়ে লেগে আসে আর্সেনাল ডিফেন্ডার সক্রেটিসের দিকে। ডানপায়ের শটে ডি গেয়াকে পরাস্ত করেন তিনি।
ইউনাইটেডের বিপক্ষে খুব সম্ভবত এই মৌসুমের সেরা প্রথমার্ধই কাটিয়েছে আর্সেনাল। প্রথমার্ধ শেষে আর্টেটার দল মাঠ ছেড়েছে ‘গানার’দের জোর করতালিতে। প্রথমার্ধে ইউনাইটেডকে চেপে ধরলেও দ্বিতীয়ার্ধে আর্সেনাল আক্রমণে ছিল বেশ নিষ্প্রভ। অবামেয়াং-লাকাজেতরা গোলের সুযোগ পাননি, রাশফোর্ড-মার্শিয়ালরা ফিরেছিলেন স্বরূপে। কিন্তু আর্সেনাল গোলরক্ষক বার্নড লেনো ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। দ্বিতীয়ার্ধে আন্দ্রেয়াস পেরেইরা এবং ফ্রেডের দুটি প্রচেষ্টা দুর্দান্তভাবে ফিরিয়ে দিয়েছেন জার্মান গোলরক্ষক।
শেষ পর্যন্ত ক্লিনশিট এবং জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে আর্সেনাল। প্রতিপক্ষের মাঠে আরও এক বিবর্ণ পারফরম্যান্সে শীর্ষ চার থেকে দূরে সরে গেল ইউনাইটেড। চার-এ থাকা চেলসির সাথে পয়েন্ট ব্যবধান দাঁড়াল ৫-এ। চেলসি, টটেনহাম পয়েন্ট হারানোর সুযোগটা কাজে লাগাতে পারল না ‘রেড ডেভিল’রা। ওদিকে আর্টেটার অধীনে নতুন যুগে অবশেষে জয় পেল আর্সেনাল।