জয়ে শুরু যুবাদের
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ, ১ম ম্যাচঃ বাংলাদেশ বনাম দ. আফ্রিকা
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ বাংলাদেশ ২৪০/৭, ৫০ ওভার (নাজমুল হোসেন ৭৩, জয়রাজ ৪৬, পিনাক ৪৩; মুল্ডার ৩/৪২); দ. আফ্রিকা ১৯৭/১০, ৪৮.৪ ওভার (লিয়াম স্মিথ ১০০; মিরাজ ৩/৩৭, সাইফউদ্দিন ৩/৩০)
ফলঃ বাংলাদেশ ৪৩ রানে জয়ী
ম্যাচসেরাঃ নাজমুল হোসেন শান্ত (বাংলাদেশ)
দেশের মাঠের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অন্যতম ফেভারিট বিবেচনা করা হচ্ছে বাংলাদেশকে। আর সে আয়োজনের উদ্বোধনী ম্যাচটা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দ. আফ্রিকার বিপক্ষে অনায়াস জয় দিয়েই শুরু করলো মেহেদী হাসান মিরাজরা। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের করা ২৪০ রানের জবাবে প্রোটিয়া যুবাদের রানের চাকা থেমে যায় ১৯৭ রানে।
ম্যাচের আগে বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন মিরাজ বলছিলেন আড়াইশ’ রানের লক্ষ্যমাত্রাই যথেষ্ট হবে জর্জি বাহিনীকে বধ করতে। নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহে অবশ্য অধিনায়কের সেই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দশ রানের ঘাটতি থেকে যায়। তথাপি অতীত পরিসংখ্যান বিচারে এটুকুই যথেষ্ট মনে করা হচ্ছিল। দিনশেষে হলও তাই, ৪৩ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লো বাংলাদেশ।
তৃতীয় ওভারেই দ. আফ্রিকার ইনিংসে প্রথম আঘাতটি হানেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মিরাজ। এরপর নিয়মিত বিরতিতে সাইফউদ্দিন, সাঈদ সরকার, সালেহ আহমেদ শাওনরা উইকেটের পতন ঘটিয়ে গেলে দ্রুতই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়তে শুরু করে প্রোটিয়ারা। তবে একপ্রান্ত আগলে লড়াই চালিয়ে যান ওপেনার লিয়াম স্মিথ। শাওনের বলে মিরাজের দুর্দান্ত একটি ক্যাচের শিকার হওয়ার আগে এই তরুণ হাঁকিয়ে যান টুর্নামেন্টের তৃতীয় শতক। তবে বাকিদের ব্যর্থতায় ১৯৭ রানেই গুটিয়ে যায় দ. আফ্রিকার ইনিংস। মিরাজ ও সাইফউদ্দিন ৩টি করে উইকেট দখলে নেন, ২টি করে শিকার করেন সালেহ আহমেদ শাওন ও সাঈদ সরকার।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুর দিকে ওপেনার সাইফ ইসলামকে হারালেও আরেক ওপেনার পিনাক ঘোষ ও জয়রাজ খেলতে থাকেন দারুণ স্বচ্ছন্দেই। পিনাক আশা জাগিয়েও ৪৩ রানের বেশী করতে পাননি। জয়রাজও দারুণ কিছু শটে বড় ইনিংসের প্রতিশ্রুতি দেখাচ্ছিলেন, কিন্তু তিনিও শেষ পর্যন্ত আউট হয়ে যান ৪৬ রান করে।
এরপর দলের হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। চতুর্থ উইকেটে দুজনের ৬৯ রানের জুটিতে বাংলাদেশ নিরাপদ অবস্থানেই চলে যায়। মিরাজ ২৩ রানে আউট হয়ে গেলেও নাজমুল ছিলেন অবিচল। শেষ পর্যন্ত ৭৩ রান করে ৪৯তম ওভারে মুল্ডারের দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে ফিরে যান। শেষ দিকে দ্রুত কিছু উইকেট হারিয়ে ফেলায় সংগ্রহটা ২৪০ রানের বেশী হয় নি।
৭৩ রানের অনবদ্য ইনিংসটির জন্য ম্যাচসেরা হন নাজমুল হোসেন শান্ত।