• সিরি আ
  • " />

     

    ব্রেসিয়াকে হারিয়ে শিরোপার পথে রইল রোনালদোবিহীন জুভেন্টাস

    ব্রেসিয়াকে হারিয়ে শিরোপার পথে রইল রোনালদোবিহীন জুভেন্টাস    

    একদল লড়ছে শিরোপার জন্য, আরেক দল লড়ছে অবনমন থেকে বাঁচতে। ম্যাচটা একপেশে হতে পারে, সেটা অনুমিত ছিল, তবে সেটা হলো একটু অন্যভাবে । দশ জনের ব্রেসিয়ার বিপক্ষে দিবালা এবং কুয়াদ্রাদোর দুই অর্ধের দুই গোলে পাওয়া জয়ে আপাতত সিরি আ'র শীর্ষে জুভেন্টাস।

    এই ম্যাচের আগে শেষ চার ম্যাচে জুভেন্টাসের জয় ছিল মোটে একটি। টানা ১০ ম্যাচে গোল করে ক্লাবটির ইতিহাসে জায়গা করে নেওয়া রোনালদোও নেই। মূলত টানা খেলার ধকল থেকে দলের গোল মেশিনকে কিছুটা বিশ্রাম দিতেই আজ রোনালদোকে স্কোয়াডের বাইরে রেখেছিলেন সারি।


    ম্যাচের প্রথম ৬ মিনিটের মধ্যেই হিগুয়াইন বক্সের মাঝে পাওয়া দুটি সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায় দারুণ ফর্মে থাকা রোনালদোর অভাব কিছুটা হলেও যেন বোধ হচ্ছিল। প্রথম বিশ মিনিটে বেশ কিছু কর্নার পেয়ে সেগুলোও কাজে লাগাতে পারেনি তারা। তবে ৩২ মিনিটে প্রথমার্ধের সেরা সুযোগটি মিস করেন পাওলো দিবালা। বক্সের মধ্যে হিগুয়েন দারুণ দক্ষতায় বল নিয়ন্ত্রণ করে দিবালাকে কাট ব্যাক করেন। কিন্তু দশ মিটার দূর থেকে বাইরে মারেন দিবালা। 

    তবে পাপমোচন করতে খুব বেশি সময় নেননি তিনি। ৩৩ মিনিটে প্রথম হলুদ কার্ড দেখেছিলেন ব্রেসিয়ার ফরোয়ার্ড ফ্লোরিয়ান আয়ে। মিনিট চারেক পর বক্সের বাইরে রামসেকে পিছন থেকে ট্যাকল করে দেখলেন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড। আর সেই ফাউল থেকে পাওয়া ফ্রি-কিক থেকেই দিবালা জুভেন্টাসকে এগিয়ে দেন। বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের নিখুঁত ফ্রি কিকে ব্রেসিয়ার বদলি গোলরক্ষককে বোকা বানান তিনি। এই মৌসুমে লিগে এই নিয়ে এখন পর্যন্ত ৬ গোল করেছেন দিবালা।

    গোল পাওয়ার পর থেকেই দশজনের ব্রেসিয়াকে চেপে ধরেন দিবালা-হিগুয়াইনরা। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে রুগানি এবং দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বনুচ্চির দুটি গোলমুখি হেড সেভ করে বিয়ানকোনেরিদের ব্যবধান বাড়াতে দেননি ব্রেসিয়া গোলরক্ষক আন্দ্রেনাচ্চি। এই দুই সেভের মাঝে হিগুয়েনের একটি শট গোল লাইন থেকে ফিরিয়ে দেয় ব্রেসিয়া রক্ষণ। তবে একপেশে ম্যাচে জুভেন্টাসের গোলমুখ খুঁজে নিতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি এরপর।  ৭৫ মিনিটে দারুণ একটা আক্রমণ থেকে বক্সের ভেতর বদলি হিসেবে নামা ফ্রেঞ্চ মিডফিল্ডার ব্লেইস মাতুইদির অসাধারণ ফ্লিক পাস ধরে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কুয়াদ্রাদো।  তবে জুভেন্টাসের সমর্থকেরা আরও একটা উদযাপন করার সুযোগ পেয়েছে এরপর। ৭৮ মিনিটে প্রায় ছয় মাস পর মাঠে নেমেছিলেন জর্জো কিয়েলিনি। হাঁটুর চোটে সেই আগস্টে ছিটকে পড়েছিলেন, আজ তার মাঠে নামার সময় সোল্লাসে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন ঘরের মাঠে দর্শকেরা। 

    ৮১ মিনিটে দিবালার ফ্রি কিকে মাথা ছুঁইয়ে বল জালে পাঠিয়েছিলেন হিগুয়েইন, তবে অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সাদা-কালো জার্সিধারীরা।


    এই ম্যাচের পর ২৪ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে জুভেন্টাস উঠে গেল শীর্ষে। ২৩ ম্যাচে ইন্টার মিলানের পয়েন্ট ৫৪, রাতে লাৎসিওকে হারাতে পারলে গোল ব্যবধানে শীর্ষে উঠে যাবে তারা।