কিক অফের আগে : 'সতর্ক' পিএসজির মাথাব্যথার নাম হালান্ড
কবে, কখন
বরুশিয়া ডর্টমুন্ড - পিএসজি
চ্যাম্পিয়নস লিগ শেষ ষোল (প্রথম লেগ)
সিগন্যাল ইদুনা পার্ক
১৯ ফেব্রুয়ারি, রাত ২.০০
ডর্টমুন্ডের মাঠে পিএসজির জন্য এই ম্যাচটি অনেকটা ফাঁড়া কাটানোর। চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ তিন মৌসুমে শেষ ষোলতে এসেই কাটা পড়েছে তারা। বছরের পর বছর ফ্রেঞ্চ লিগ শাসন করলেও চ্যাম্পিয়নস লিগে তাদের কোনো সাফল্য নেই। কাড়ি-কাড়ি অর্থ ব্যয় করেও ইউরোপিয় ফুটবলের সবচেয়ে বড় ট্রফিটি এখনো অধরাই রয়ে গেছে প্যারিসের ক্লাবটির।
শক্তিমত্তা আর সাম্প্রতিক ফর্ম, দু’দিক দিয়েই ডর্টমুন্ডের চেয়ে এগিয়ে আছে পিএসজি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ ৬ ম্যাচের কোনোটিতেই হারেনি তারা। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগে ফেবারিট হিসেবে মাঠে নেমেও শেষ হাসি হাসতে না পারার পুরনো বাতিকও রয়েছে তাদের। গত আসরেও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে ফেবারিট হিসেবে শুরু করেও শেষ পর্যন্ত বিদায় নিয়েছিল তারা। আর তাই ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে অতি সাবধানী হয়েই নামতে হবে থমাস টুখেলের শিষ্যদের।
তবে পিএসজির ম্যানেজার থমাস টুখেলের জন্য রাতটি বিশেষ। পিএসজিতে আসার আগে দুই মৌসুম যে এই ডর্টমুন্ডেই কাটিয়েছেন তিনি। ২০১৬-১৭ মৌসুমে তার হাত ধরে ডিএফবি-পোকাল কাপের শিরোপাও জিতেছিল ডর্টমুন্ড। চেনা মাঠে চেনা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জটি তাই কিছুটা অন্যরকম টুখেলের জন্য।
পিএসজি তারকা নেইমারের জন্যও ম্যাচটির মাহাত্ম্য বেশ। চোটাঘাতে গত আসরে শেষ ষোলর দুটি ম্যাচের একটিতেও মাঠে নামা হয়নি তার। এর আগের মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গেও চোটের কারণে এক লেগের বেশি খেলতে পারেননি। ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি তাই ইউরোপের সবচেয়ে বড় মঞ্চে নেইমারের নিজেকে প্রমাণ করারও। এই ম্যাচকে ভাবনায় রেখেই লিগে আমিয়ের বিপক্ষে তাদের বিশ্রাম দিয়েছিলেন টুখেল। কাল দলের দুই সেরা তারকার জ্বলে ওঠার অপেক্ষায় থাকবেন তিনি।
শেষ ষোলোয় পিএসজির সবচেয়ে বড় দুশ্চিনা অবশ্য ডর্টমুন্ড ফরোয়ার্ড এরলিং ব্রুট হালান্ডকে নিয়ে। জানুয়ারিতে ২০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে অস্ট্রিয়ার ক্লাব রেড বুল সালজবার্গ থেকে ডর্টমুন্ডে এসেছেন তিনি। এরই মধ্যে নতুন ক্লাবের হয়ে ৬ ম্যাচ খেলে ৯ গোল করেছেন তিনি। চ্যাম্পিয়নস লিগে এই মৌসুমে শুরু থেকেই সালজবুর্গের হয়ে মাঠ মাতাচ্ছেন ১৯ বছর বয়সী হালান্ড। ৮ গোল নিয়ে আসরের সবচেয়ে বেশি গোল করাদের তালিকায় রবার্ট লেভানডভস্কির পেছনেই রয়েছেন তিনি। ইউরোপের উঠতি খেলোয়াড়দের ভেতর হালান্ড জায়গা করে নিয়েছিলেন তখনই। তাকে নিয়ে বাড়তি চিন্তা করারই কথা টুখলের।
দলের খবর
এই ম্যাচে নেইমারকে পাওয়া নিয়ে কিছুটা শংকা থাকলেও শেষ পর্যন্ত দলের সঙ্গে ডর্টমুন্ডে গেছেন নেইমার। উরুর সমস্যা থাকার পরও প্রেসনেল কিমপেমবেও রয়েছেন দলের সঙ্গে। তবে চোটের কারণে কলিন দাগবা, আবদু দিয়ালোকে পাচ্ছেন না টুখেল। লিয়ান্দ্রো পারেদেস এবং এরিক ম্যাক্সিম চুপো মোটিং-কে স্কোয়াডে রাখা হয়নি। পিএসজির বিপক্ষে ম্যাচে মার্কো রেউস এবং থমাস ডেলানিকে পাচ্ছে না ডর্টমুন্ড, সঙ্গে হুলিয়ান ব্রান্টও অনিশ্চিত।
সম্ভাব্য একাদশ
বরুশিয়া ডর্টমুন্ড
বুরকি, পিসেক, আকানজি, হুমেলস, হাকিমি, এমরে চ্যান, উইটসেল, গেরেরো, সানচো, হালান্ড, থরয়ান হ্যাজার্ড
পিএসজি
নাভাস, মিউনিয়ের, মারকুইনোস, থিয়াগো সিলভা, বের্নাত, ডি মারিয়া, গায়া, ভেরাত্তি, নেইমার, ইকার্দি, এমবাপ্পে
হেড টু হেড
বরুশিয়া ডর্টমুন্ড এবং পিএসজি আগে মাত্র দু’বার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে। ২০১০-১১ ইউরোপা লিগের গ্রুপ পর্বে এই দু’দলের দুটি ম্যাচই ড্র হয়েছে।
প্রেডিকশন
বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ১-৩ পিএসজি