কিক অফের আগে : চোটজর্জর মরিনহোর টটেনহাম, আটালান্টার সান সিরো গল্প
হোয়েন হ্যারি মেট সন
টটেনহাম হটস্পার-আরবি লাইপজিগ
চ্যাম্পিয়নস লিগ দ্বিতীয় পর্ব, প্রথম লেগ
টটেনহাম হটস্পার স্টেডিয়াম
২০ ফেব্রুয়ারি, রাত ২.০০
হ্যারি কেইন লম্বা সময়ের জন্য ছিটকে গিয়েছিলেন ইনজুরিতে। এই খবর পুরনো। নতুন করে তাঁর সঙ্গে যোগ হয়েছেন হিউং মিন সনও। দক্ষিণ কোরিয়ান ফরোয়ার্ডের সম্ভবত মৌসুমটাই শেষ হয়ে গেছে। হোসে মরিনহোর টটেনহাম হটস্পার চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে মাঠে নামার আগেই বড় হোঁচট খেয়ে বসেছে।
অথচ মরিনহোর অধীনে ধীরে ধীরে গুছিয়ে উঠছিল টটেনহাম। ৭ ম্যাচ ধরে অপরাজিত তারা, কেইন না থাকলেও সনে ভর করে টানা তৃতীয় জয়ও তুলে নিয়েছিল সপ্তাহের শুরুতে।
টটেনহামের প্রথম লেগ অবশ্য ঘরের মাঠে। তবে জার্মান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগের স্মৃতিটা ভয়াবহ টটেনহামের জন্য। গ্রুপপর্বে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল গতবারের রানার্সআপরা। এবার খেলতে হবে লাইপজিগের বিপক্ষে। যারা বায়ার্নের সঙ্গে বুন্দেসলিগায় টক্কর দিচ্ছে তাল মিলিয়ে। ১ পয়েন্টে পিছিয়ে থেকে লিগে তারা আছে দ্বিতীয় স্থানে। গ্রুপপর্বে লাইপজিগ মোট গোল দিয়েছে ২০টি। এর বেশিরভাগই এসেছে টিমো ভার্নার আর এমিল ফর্সবার্গের কৃতিত্বে। মরিনহোকে তাই আলাদা করেই ভাবতে হচ্ছে এই দুইজনকে নিয়ে। আর ডাগ আউটে জুলিয়েন নাগেলসমানের সঙ্গে তার লড়াইটাও উত্তাপ ছড়ানোর কথা।
সন আর কেইনবিহীন টটেনহামকে তাই আক্রমণভাগে ভরসা করতে হচ্ছে লুকাস মউরার ওপর। মউরার অবশ্য একক কৃতিত্বে দলকে জেতানোর রেকর্ড আছে। আয়াক্সের বিপক্ষে সেমিফাইনালের নায়কের মতো হ্যাটট্রিকের স্মৃতি তো এখনও সতেজ। সেই টটেনহামের ডাগআউটে অবশ্য ছিলেন মাউরিসিও পচেত্তিনো। টটেনহামকে নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে নতুন শুরু হচ্ছে তাই মরিনহোর। গতবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে গ্রুপপর্ব পার করিয়েও দ্বিতীয় রাউন্ডের আগেই সেখান থেকে ছাঁটাই হয়েছিলেন পর্তুগিজ কোচ। গল্পটা এবার ঘুরিয়ে, দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে শুরু মরিনহোর নতুন অধ্যায়।
আটালান্টার সান সিরো যাত্রা
আটালান্টা-ভ্যালেন্সিয়া
চ্যাম্পিয়নস লিগ দ্বিতীয় পর্ব, প্রথম লেগ
সান সিরো
২০ ফেব্রুয়ারি, রাত ২.০০
প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলতে এসেছিল আটালান্টা। গ্রুপপর্বে প্রথম তিন ম্যাচে খালি হাতে ফেরার পর চতুর্থ ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট জুটেছিল তাদের কপালে। শেষ দুই ম্যাচ জিতে রূপকথার গল্প সত্যি করে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে ইতালির ক্লাবটি। এবার তাদের প্রতিপক্ষ ভ্যালেন্সিয়া।
এসি মিলান তো এবার ইউরোপিয়ান কোনো প্রতিযোগিতাতেই নেই, ইন্টার মিলানও বাদ পড়েছে গ্রুপ পর্ব থেকে। তবে মিলানের ঐতিহাসিক সান সিরো এখনও চ্যাম্পিয়নস লিগে টিকে আছে আসলে আটালান্টার কারণে। ঘরোয়া লিগে আটালান্টা যে মাঠ ব্যবহার করে সেটা ইউয়েফার জমকালো টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়নস লিগের মান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়নি। তাই আটালান্টাকে বাধ্য হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলতে হচ্ছে সান সিরোতে। মিলানের রাজা-বাদশারা যখন দর্শক, তখন 'পুঁচকে' আটালান্টার চ্যাম্পিয়নস লিগে সান সিরোতে খেলা তাদের জন্য অস্বস্তিকরই হওয়ার কথা।
প্রতিপক্ষ ভ্যালেন্সিয়া বলেই হয়ত কোয়ার্টার ফাইনালের স্বপ্ন দেখতে পারছে আটালান্টা। লা লিগায় সপ্তম অবস্থানে থাকা ভ্যালেন্সিয়ার পার করছে অধারাবাহিক এক মৌসুম। এর ওপর আটালান্টার বিপক্ষে দুই ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল পলিস্তা ও এজিকুয়েল গারায়কেও পাচ্ছে না তারা। ভ্যালেন্সিয়ার ভয় থাকলেও, এই আটলান্টার হারানোর ভয় নেই।