• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    ভের্নারের গোলে টটেনহাম থেকে জয় নিয়ে গেল লাইপজিগ

    ভের্নারের গোলে টটেনহাম থেকে জয় নিয়ে গেল লাইপজিগ    

    ফুলটাইম
    টটেনহাম হটস্পার ০-১ লাইপজিগ


    হ্যারি কেইন নেই, হিউং মিন সনও নেই- টটেনহাম হটস্পার ম্যাচের আগেই পিছিয়ে পড়েছিল অনেকটা। লাইপজিগের সঙ্গে ম্যাচ শেষে টটেনহাম পিছিয়ে থাকল এক গোলে। তবে ম্যাচে দুই দলের যে ফারাক ছিল- স্কোরলাইন সেটা বলছে না। আর শেষদিকে গিয়ে টটেনহামের একজন জাত স্ট্রাইকারের অভাবটা আরও স্পষ্ট হয়েছে ম্যাচে।

    টটেনহাম হটস্পার স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই মুহুর্মুহু আক্রমণে মরিনহোর দলকে দিশেহারা করে দিয়েছিল ‘মিনি মরিনহো’ নাগেলসমানের দল। প্রথমার্ধ জুড়ে মোট ১৩ টি শট নিয়ে টটেনহাম রক্ষণকে তটস্থ রাখে লাইপজিগ। কিন্তু ফিনিশিংয়ে অপটুতা আর টটেনহাম গোলরক্ষক হুগো লরিসের দৃঢ়তায় গোলশূন্য অবস্থাতেই বিরতিতে যায় তারা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে টটেনহাম নিজেই গোল পাতে তুলে দেয় লাইপজিগকে। বেন ডেভিসের গাছাড়া ট্যাকলের সুবাদে পাওয়া পেনাল্টি থেকে ম্যাচের জয়সূচক গোলটি পায় তারা। স্পট কিক থেকে নিখুঁত শটে স্পার্স গোলরক্ষক হুগো লরিসকে পরাস্ত করে দলের জয় নিশ্চিত করেন টিমো ভের্নার।


    লাইপজিগ ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই চেপে ধরেছিল টটেনহামকে। ঝড়ের বেগে ধেয়ে আসে লাইপজিগের আক্রমণ, অ্যাঞ্জেলিনো এবং ভের্নার দুটি শট নেন গোলমুখে, তবে লরিসের দৃঢ়তায় সে যাত্রায় বেঁচে যায় টটেনহাম। কিন্তু গোল করতে না পারলেও পুরো প্রথমার্ধ টটেনহামকে বিন্দুমাত্র সুযোগ দেয়নি নাগেলসমানের দল। হোসে মরিনহোর দলের অতি ধীর গতির শুরুর ফলেই মূলত তাদের চেপে ধরার সুযোগ পায় লাইপজিগ।

    ম্যাচে টটেনহামের সবচেয়ে পরিষ্কার সুযোগটি আসে শুরুর সেই লাইপজিগ ঝড়ের পর। ৮ মিনিটে জানুয়ারিতে দলে আসা টটেনহামের ডাচ ফরোয়ার্ড স্টিভেন বার্গউইন জিওভানি লো সেলসোর দারুণ নাটমেগ পাস ধরে গোলমুখে শট নেন। বাঁ দিকে ঝাপিয়ে পড়ে সেই শট ঠেকান লাইপজিগ গোলরক্ষক পিটার গুলাকসি। তবে প্রথমার্ধে টটেনহামের আক্রমণের গল্প ছিল ঐটুকুই।

    প্রথমার্ধে বেশি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেললেও লাইপজিগ গোলের দেখা পায় দ্বিতীয়ার্ধে। পেনাল্টি থেকে ভের্নারের সেই গোলের মিনিট পাঁচেকের মাঝেই ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পায় লাইপজিগ। অ্যাঞ্জেলিনোর ক্রস থেকে প্যাট্রিক শিকের ডান পায়ের বুলেট গতির শট লরিস বাধা টপকে জালে আশ্রয় করে নিতে পারেনি।

    এরপর মরিনহো দলে দুটি পরিবর্তন এনে টটেনহামকে খেলায় ফেরানোর চেষ্টা করেন। ডেলে আলি এবং ফার্নান্দেসকে উঠিয়ে এরিক লামেলা এবং টঙ্গি এনদোম্বেলেকে মাঠে নামান। গোলমুখে টটেনহামের বিচরণও কিছুটা বাড়ে প্রথমার্ধের চেয়ে। গোল হজমের পর ৭৩ মিনিটে লো সেলসোর বাঁ পায়ের নিখুঁত ফ্রি-কিক হাতের আলতো ছোঁয়ায় ফিরিয়ে দেন গুলাকসি। ৮৫ মিনিটে লামেলার গোলমুখী শটও গুলাকসিকে ফাঁকি দিতে পারেনি।

    মূলত লাইপজিগ গোলরক্ষক পিটার গুলাকসির দৃঢ়তা এবং একজন জাত স্ট্রাইকারের অভাবেই শেষ পর্যন্ত টটেনহামকে হারের মুখ দেখতে হয়েছে। বিশেষভাবে ম্যাচের ৩৯ মিনিটে ডান দিক থেকে জেডসন ফার্নান্দেসের দারুণ ক্রসে মাত্র ৫ মিটার দূর থেকে যখন ডেলে আলি মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন, আক্রমণভাগে একজন স্ট্রাইকারের অভাব তখন ফুটে ওঠে পরিষ্কারভাবে।

    ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে অবশ্য খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যে থাকার সুযোগ নেই লাইপজিগের। ১১ মার্চ ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগেই হবে লাইপজিগের আসল পরীক্ষা।

    ভ্যালেন্সিয়াকে উড়িয়ে দিয়ে চলছে আটালান্টার স্বপ্নযাত্রা
    চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথমবার খেলতে আসা আটালান্টার রূপকথার গল্প চলছেই। সান সিরোতে প্রথম লেগে তারা উড়িয়ে দিয়েছে ভ্যালেন্সিয়াকে। ৪-১ গোলের জয় দিয়ে তাই এখনই কোয়ার্টার ফাইনাল দেখছে তারা। ৬২ মিনিটের ভেতর ৪ গোল দিয়ে ফেলেছিল আটালান্টা। হানস হাতেবোর করেছেন জোড়া গোল। তবে মিনিট চারেক পর ডেনিস চেরিশেভ এক গোল শোধ করেছেন। প্রথম লেগে বড় ব্যবধানে হেরে এক অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা পরের লেগে ভ্যালেন্সিয়া কতোখানি কাজে লাগাতে পারে সেটাই এখন দেখার বিষয়।