• সিরি আ
  • " />

     

    রোনালদোর রেকর্ড ছোঁয়ার রাতে উজ্জ্বল জুভেন্টাসও

    রোনালদোর রেকর্ড ছোঁয়ার রাতে উজ্জ্বল জুভেন্টাসও    

    একটা ম্যাচে আর কী কী অভিজ্ঞতা হতে পারত ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর?

    গোল পেয়েছেন, সেটা তো সব সময় পান। গোল মিস করেছেন, পোস্ট ঘেঁষে একটুর জন্য শট চলে গেছে বাইরে। আবার ফ্রিকিক ফিরে এসেছে পোস্টে লেগে, ফিরতি শটে কীভাবে যেন ভলি করে টার্গেটেও রেখেছিলেন। তবে আজকের ম্যাচটা রোনালদো মনে রাখবেন অন্য আরও কয়েকটি কারণে। সেসব অবশ্য মনে রাখতে পেরেছেন আসলে দল জেতায়। স্পালের সঙ্গে ২-১ গোলের জয়টা না পেলে নিজের এতসব অর্জনের দিনও যে ম্লান হয়ে যেত!

    একটা রেকর্ড হয়ে গেছে ম্যাচের একাদশে থাকার পরেই। সেই স্পোর্টিং লিসবন থেকে শুরু। এরপর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ হয়ে জুভেন্টাস, আর ওদিকে দেশ পর্তুগালের হয়ে খেলেছেন। পেশাদার ক্যারিয়ারের হাজারতম ম্যাচটা খেলে ফেললেন আজ, যে স্বপ্ন দেখে সব পেশাদার ফুটবলার।


    তবে রোনালদোর রেকর্ড বাকি ছিল আরও। প্রথম দিকে সেটা কতটা পাবেন তা নিয়ে ছিল সংশয়। স্পাল ম্যাচের শুরুটা ভালোই করেছিল, শুরু থেকে চাপে রেখেছিল স্লথ জুভেন্টাসকে। রোনালদোদের আক্রমণ ঠিক দানা বাঁধছিল না। ১১ মিনিটে অবশ্য প্রথম পরিষ্কার সুযোগ পেয়ে যান কুয়াদ্রাদো, কিন্তু তার ভলি গোলে রাখতে পারেননি। এরপর স্পালও হেড থেকে সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু সেটা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে যায়।

    ৩৮ মিনিটে গোলের খুব কাছাকাছি যায় জুভেন্টাস। দারুণ কারিকুরি দেখিয়ে পেনাল্টি বক্সের ভেতর ঢুকে পড়েছিলেন দিবালা, পড়ে যেতে যেতে শটও নিয়ে ফেললেন। কিন্তু পোস্টের ভেতরের দিকে লেগে তা ফিরে আসে, একটুর জন্য গোল পাননি। প্রথমার্ধ শেষের আগেই অবশ্য রোনালদোর রেকর্ডটা হয়ে যায়। এবার দারুণ একটা আক্রমণ থেকে। দিবালার পাস ডান দিকে খুঁজে নেয় কুয়াদ্রাদোকে, তার নিখুঁত ক্রস এসে পড়ে রোনালদোর পায়ে। ডান পায়ের শতে বল জালে জড়িয়েই উল্লাসে ফেটে পরেছেন রোনালদো। সিরি আ তে টানা ১১ ম্যাচে গোল করেছেন, ছুঁয়ে ফেলেছেন গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা ও ফাবিও কোয়ালারেল্লার টানা গোল করার রেকর্ড। সেই অঙ্গে রুই কস্তাকে ছাড়িয়ে সিরি আতে পর্তুগিজদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোলের কীর্তিও এখন রোনালদোর।

    দ্বিতীয়ার্ধে অনায়াসেই গোল বাড়তে পারত রোনালদোর। একবার ডান দিক থেকে ভেসে আসা ক্রসটা পা লাগিয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি। আরেকবার বল চলে গেছে পোস্টে বাতাস লাগিয়ে, শেষ দিকে দারুণ ফ্রিকিক পোস্টে লেগে ফিরে আসার পর আক্ষেপও করতে হয়েছে। তবে ম্যাচে এর মধ্যে হয়েছে অনেক কিছু। জুভেন্টাসের দ্বিতীয় গোলটা আসে ৬০ মিনিটে, ছবির মতো সুন্দর এক দলীয় আক্রমণ থেকে। ডান দিক থেকে দুজন ডিফেন্ডারকে ছিটকে বল নিয়ে বের হয়ে গিয়েছিলেন দিবালা, তাঁর পাস খুঁজে নেয় বক্সে ঢুকে যাওয়া অ্যারন রামসেকে। নিখুঁত একটা চিপে গোলরক্ষকের মাথার ওপর বল জড়িয়ে দিয়েছেন জালে।

    ৯ মিনিট পরেই সমতা ফেরায় স্পাল। সেখানেও হয়েছে নাটক। বক্সের ভেতর স্পালের একজন পড়ে গেলে শুরুতে পেনাল্টির বাঁশি বাজাননি রেফারি। তবে ভিআর লম্বা সময় পর পেনাল্টির পক্ষে রায় দিয়েছে, তা থেকে গোল করে ব্যবধান কমিয়েছেন আন্দ্রেয়া পেতাগনা। এরপর অবশ্য জুভেন্টাস চেষ্টা করেও আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। তাতে অবশ্য ক্ষতি হয়নি, ২৫ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে জুভেন্টাস আছে সবার ওপরেই।