৪৬ বছর বয়সে ক্লিন শিট!
৪৬ বছর বয়সে একজন ফুটবলারের তো মাঠ ছেড়ে ডাগআউটেই থাকার কথা। ব্যারি রিচার্ডসনও গোলরক্ষক কোচ হয়ে নেপথ্যের কাজটাই করছিলেন। কিন্ত কে জানত, এই বয়সেও তাঁকে আবার নেমে পড়তে হবে মাঠে। আরেকটু নির্দিষ্ট করে বললে গোলপোস্টের নিচে। পরশু ইংল্যান্ডের তৃতীয় বিভাগের দল ওয়াইকম্ব ওয়ান্ডারার্সের হয়ে আবারও গ্লাভস পরতে হলো রিচার্ডসনকে। তার চেয়েও অবাক করা ব্যাপার, এই বয়সে নেমেও কোনো গোল খাননি, ৭৫ মিনিট গোলপোস্ট অক্ষত রেখেছেন।
প্লাইমাউথের সঙ্গে ম্যাচে ১৫ মিনিটেই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ওয়াইকম্বের অ্যালেক্স লিঞ্চ। কিন্তু তখন ওয়াইকম্বের অতিরিক্ত কোন গোলরক্ষকই ছিল না। আগের সপ্তাহেই দ্বিতীয় গোলরক্ষক ম্যাট ইনগ্রামকে বিক্রি করে দিয়েছিল কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের কাছে। কী আর করা, বাধ্য হয়েই গ্লাভস পরতে হলো রিচার্ডসনকে। এই বয়সেও বুঝিয়ে দিয়েছেন, খেললে খুব একটা খারাপ করতেন না। বেশ কয়েকটি সেভ করেছেন, ফ্রি কিকও ঠেকিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ক্লিন শিট নিয়েই তাই মাঠ ছাড়তে পেরেছেন।
২০০৫ সাল থেকে গোলরক্ষক কোচের কাজ করছেন রিচার্ডসন। এরপর ডনকাস্টার, নটিংহাম, পিটারবরোর মতো আরও অনেক ক্লাবের গোলরক্ষক কোচ ছিলেন। ম্যাচের আগে বেশ কয়েক বার দলের স্কোয়াডেও ছিলেন। কিন্তু নামতে হয়নি কখনো। পরশু আর শেষ রক্ষা হলো না!
ওয়াইকম্বের কোচ গ্যারেথ এইন্সওর্থ নিজেই রিচার্ডসনের চেয়ে বয়সে ছোট। ওয়াইকম্বের খেলোয়াড়দের বলে দিয়েছিলেন, রিচার্ডসনের কাছে যাতে বল না যায় সে জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে। শেষ পর্যন্ত রিচার্ডসন হয়ে গেছেন ওয়াইকম্বের হয়ে নামা সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড়। শুধু তাই নয়, এই মৌসুমে প্লাইমাউথের মাঠে কেউ আর গোলপোস্ট অরক্ষিত রাখতে পারেননি।