চন্দরপলকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডের "জুতা দান"
১৯৯৪ সালে শুরু। আর আনুষ্ঠানিকভাবে শেষটা হলো এবছরের জানুয়ারিতে এসে। ক্রিকেট থেকে চন্দরপলের বিদায়টা অনেকটা নিঃশব্দেই হয়ে গেল। প্রায় এক বছর ধরে দলে সুযোগ না পান নি শিব। আর তাই দীর্ঘ ২১ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টেনে জানিয়ে দিলেন ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার কথা। চিরচেনা ক্রিকেট মাঠ থেকেই হয়ত বিদায় নেয়ার সুযোগটা দেয়া যেত চন্দরপলকে। কিন্তু, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড থেকে প্রাপ্য সম্মানের ছিটেফোঁটাও পেলেন না এই ক্যারিবিয়ান।
ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট বোর্ডের এমন আচরণের ব্যাপারে ইতিমধ্যেই ক্রিকেটবিশ্বে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। হয়ত সমালোচনার চাপে পড়েই শিবনারায়ণ চন্দরপলকে যথাযথ সম্মানের সাথে বিদায় জানানোর কথা জানিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট। তবে ক্যারিবিয়ান বোর্ডের এমন আচরণ ঠিক গরু মেরে জুতা দান করার মতই ঠেকছে! ক্যারিবিয় ক্রিকেটকে চন্দরপল এতো কিছু দিয়েছেন, অথচ আনুষ্ঠানিকভাবে টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায়টাই নিতে পারলেন না।
টেস্ট ক্রিকেটে চন্দরপল সবশুদ্ধ করেছেন ১১৮৮৭ রান। আর ১২৩ রান করলেই ১২ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলতে পারতেন। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড সেই সম্মান তাঁকে দেয়নি। অবসরের ঘোষণা দেওয়ার সময় খানিকটা অভিমান ভরেই তাই চন্দরপল বলেছেন, মনে মনে একটা সুযোগের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। সেই সুযোগ আর আসেনি। চন্দরপলেরও তাই আক্ষেপ থেকে গেছে।
চন্দরপলকে যথাযথ সম্মানের সাথে বিদায় না জানানোর অজুহাত হিসেবে ক্যামেরন জানালেন, “চন্দরপলকে সর্বোচ্চ সম্মানটুকু দেয়ার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, আমরা আগে থেকে এটা করতে পারি নি কারণ শিব জানিয়েছিল যে সে অবসর নেয় নি। যখন আমরা তাঁর জন্য কিছু করতে চাইলাম সে আমাদের এটাই জানিয়েছিল। আমরা তাঁর সাথে আলোচনা করবো। এবং এটা করার জন্য সবচেয়ে ভালো সময়টা বের করবো। আর এটা উপযুক্তভাবেই করা হবে।”
কিন্তু চন্দরপল কি সেই সম্মান নেবেন ?