• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    'দোষ ফন গালের একার নয়'

    'দোষ ফন গালের একার নয়'    

    রেড ডেভিলদের মন্দা সময়টায় সব দায় এসে পড়ছে তাঁর ঘাড়েই। ফন গাল নিজেও আত্মসমর্পণের সুরে সমর্থকদের বলে চলেছেন, গাল যা দেবার আমাকেই দাও! কিন্তু স্বয়ং গুরু যখন পিঠ পেতে দিচ্ছেন, তখন শিষ্যদের কি আর মুখে কুলুপ এঁটে থাকা চলে? অন্তত ওয়েইন রুনি আর নিরব দর্শকের ভূমিকায় বসে থাকলেন না। ইউনাইটেড অধিনায়ক সরাসরিই বলে দিলেন যে ব্যর্থতার দায়ভার কখনই এককভাবে কোচের হতে পারে না, প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই তাতে ভাগ আছে।

     

     

    গত সপ্তাহে সাউদাম্পটনের কাছে ঘরের মাঠে হেরে যাবার ম্যাচে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে নিজের সবচেয়ে বাজে দিনটা কাটান ফন গাল। ওইদিন গ্যালারি থেকে অবিরাম ভেসে আসা দুয়ো তাঁর জীবনের অন্যতম বাজে অভিজ্ঞতা বলেও স্বীকার করেন। এরপর গতকাল এফএ কাপের ম্যাচে ডার্বির জালে রুনিদের তিন গোল ডাচ কোচের উপর ক্রমেই বাড়তে থাকা চাপ কিছুটা হলেও কমাতে পেরেছে। কিন্তু কেন এই চাপটুকু ম্যানেজারকে একাই বইতে হচ্ছে? প্রশ্নটা স্বয়ং রুনির, “শুধু তাঁকে দোষ দিয়ে যাওয়াটা অন্যায়। আমরা মাঠে খেলি, সুতরাং পারফরম্যান্স আর ফলাফল দুটোর জন্যই আমাদেরকেও দায় নিতে হবে। যখন সমালোচনা হয় তখন সেটা আমাদের সবাইকে উদ্দেশ্য করেই হওয়া উচিৎ। আমরা তো জিততে চাই-ই, সবসময়ই জিততে চাই এবং আমরা চেষ্টাও করে যাচ্ছি। কিন্তু আপনি শতভাগ উজাড় করে দিয়েও সবসময় প্রত্যাশিত ফল পাবেন না এটাই স্বাভাবিক।”

     

    গ্যালারি থেকে ভেসে আসা ‘আক্রমণ, আক্রমণ’ আওয়াজটা কানে তুলেই ফন গাল তাঁর রক্ষণাত্মক কৌশলে কিছুটা পরিবর্তন এনেছেন জানিয়ে রুনি বলছেন কোচ তাঁদের সম্ভব সবটুকু স্বাধীনতাই দিচ্ছেন, “আমার মনে হয় পরিবর্তনটা আপনারাও চোখে দেখতে পাচ্ছেন। আমরা সেটা উপভোগ করছি, ভালো কিছু গোলও আদায় করে নিয়েছি। এই ম্যাচে জয়টা আমাদের প্রাপ্যই ছিল। আশা করছি পরবর্তী ম্যাচগুলোতেও এই ইতিবাচক পরিবর্তন ধরে রাখতে পারবো।”

     

    ওদিকে এতো সমালোচনার মুখেও কারও প্রতি কোন অভিযোগ নেই ফন গালের। উল্টো গালভরে প্রশংসা করে যাচ্ছেন খেলোয়াড়-সমর্থক সবারই, “ওরা আমাকে গাল দিচ্ছে এটা এমন গুরুত্বপূর্ণ কোন ব্যাপার নয়। বরং গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে খেলোয়াড়দের প্রতি ওদের ভালোবাসাটা। আর খেলোয়াড়রাই তো সবচেয়ে কঠিন কাজটা করে। এরকম চাপের মুখে দাঁড়িয়ে তাঁদেরকে গোল বের করে আনতে হয়... না পারলে অজুহাত দেয়ারও কোন সুযোগ নেই।”

     

    আয়াক্স, বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখের সাবেক এই কোচ বলছেন এ ধরণের চাপ তাঁর জন্য তেমন কিছু নয়, “জানি এখানে আমি এখন আগের মতো জনপ্রিয় নেই আর। কিন্তু এমনটা তো আমার সাথে এই প্রথম ঘটছে না। আগেও সামলে নিয়েছি, এখনও পারবো।”

     

    গোলখরায় ভোগা ইউনাইটেডের খেলা ‘একঘেয়ে’ হয়ে যাচ্ছে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে অনেকদিন ধরেই। ডার্বিকে তাঁদের মাঠেই তিন গোল দিয়ে তাই টিপ্পনিটা কাটতে ছাড়লেন না ফন গাল, “এইরকম অপবাদের পরও এতো এতো দর্শক ইউনাইটেডের খেলা দেখলো গ্যালারিতে বসে, দেখতে ভালো লেগেছে। অবশ্য তাঁদের কাছে আবার এই গোলগুলোই একঘেয়ে লেগেছে কিনা!”