দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে বার্সা-নাপোলি ম্যাচ, স্থগিত সিরি আ
ইউরোপজুড়ে ফুটবল মাঠকে প্রায় স্থবির করে দিয়েছে করোনা ভাইরাস। বেশ কয়েকটি ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করার পর সিরি আ কর্তৃপক্ষ ৩ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের ম্যাচ স্থগিত করেছে। চ্যাম্পিয়নস লিগ কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো ম্যাচ স্থগিত না করলেও বার্সেলোনা ঘোষণা দিয়েছে, নাপোলির সঙ্গে ন্যু ক্যাম্পের ম্যাচটা হবে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। তার আগে পিএসজি-ডর্টমুন্ডের ম্যাচটাও রুদ্ধদ্বার স্টেডিয়ামে হওয়ার ঘোষণা এসেছে।
করোনা ভাইরাসের জন্য ইতালিতে এখন জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে। সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ সেখানে। এই সপ্তাহে কিছু খেলা দর্শকশূন্য মাঠে হলেও সেটিও বন্ধ হয়ে গেছে এখন। জুভেন্টাস-ইন্টারের ম্যাচের পর আপাতত সিরি আর সব খেলা স্থগিত। শুধু ফুটবল নয়, ইতালিতে সব ধরনের খেলার আয়োজন বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সরকার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম সিরি আ তে খেলা বন্ধ হলো।
ডর্টমুন্ডের সঙ্গে পিএসজির ম্যাচটা অবশ্য দর্শকভরা মাঠেই হওয়ার কথা ছিল। সেজন্য পুরো পার্ক দি প্রিন্স স্টেডিয়াম জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করলেও তাতে লাভ হয়নি। ফ্রান্স সরকার, ১ হাজারের বেশি মানুষ হতে পারে এমন জায়গায় জনসমাগম নিষিদ্ধ করেছে।
শুধু পিএসজির ম্যাচ নয়, আজ ভ্যালেন্সিয়া-আটালান্টার ম্যাচটাও হবে রুদ্ধদ্বার স্টেডিয়ামে। টতেনহাম-লাইপজিগ আর কাল লিভারপুল-অ্যাটলেটিকোর ম্যাচটা অবশ্য দর্শকদের সামনেই হওয়ার কথা এখন পর্যন্ত।
তবে বার্সেলোনার ম্যাচটাও দর্শকশূন্য মাঠে হওয়া ন্যু ক্যাম্পের দর্শকদের জন্য একটা ধাক্কা হয়েই এসেছে। এর আগে রাজনৈতিক ডামাডোলে ২০১৭ সালে লাস পালমাসের সঙ্গে বার্সার একটি ম্যাচ হয়েছিল ফাঁকা গ্যালারির সামনে। তবে এবার পরিস্থিতিটা অন্যরকম। করোনা ভাইরাসের মাত্রা স্পেনে ইতালির মতো না হলেও কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছে না স্প্যানিশ সরকার। যদিও নাপোলি শেষ পর্যন্ত দেশ ছাড়তে পারে কি না সেটি নিয়েই প্রশ্ন। ইতালিতে আসা যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সে দেশের সরকার।