করোনাভাইরাস: দেশে ফিরে সমালোচিত রিয়াল স্ট্রাইকার ইয়োভিচ
করোনাভাইরাস বৈশ্বিক দুর্যোগে পরিণত হয়েছে। এমন সময়ে স্পেন থেকে দেশে ফিরে সমালোচিত হচ্ছেন রিয়াল মাদ্রিদ স্ট্রাইকার মিলা ইয়োভিচ। বৃহস্পতিবার ক্লাবের কাছে থেকে অনুমতি নিয়ে সার্বিয়ায় ফিরে গেছেন তিনি। কিন্তু সেলফ আইসোলেশনে থাকার কথা থাকলেও সে নির্দেশ ইয়োভিচ অমান্য করেছেন বলে দাবি করছে সার্বিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলো।
লা লিগা বন্ধের ঘোষণা আসার আগ থেকেই পুরো রিয়াল মাদ্রিদ দল সেলফ আইসোলেশনে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় ক্লাবের কাছ থেকে ইয়োভিচের ছাড়পত্র মিলেছে। তবে শর্ত অনুযায়ী সার্বিয়া ফিরেও সেলফ আইসোলেশনে থাকার কথা তার। শর্ত ভেঙে বেলগ্রেড ফিরে বান্ধবীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে নিজ দেশেই কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন ইয়োভিচ। সার্বিয়ার একাধিক গণমাধ্যম দাবি করেছে স্পেন থেকে ফিরেই বান্ধবীর জন্মদিনের ওই অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ স্ট্রাইকার।
নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় ইয়োভিচ পরে দাবি করেছেন, সার্বিয়ার জরুরী অবস্থা নিয়ে ধারণা ছিল না তার, "স্পেনে করোনাভাইরাস টেস্টের পর আমার শরীরে এর সন্ধান মেলেনি। তাই আমি ক্লাবের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এ সময়ে আমার দেশের মানুষ ও পরিবারের পাশে থাকতে এখানে এসেছি।"
"সার্বিয়ায় ফিরেও করোনা টেস্টের পর তার ফল নেগেটিভ এসেছে। আমি খুবই দুঃখিত, কিছু মানুষ অপেশাদার কাজ করেছে- তারা আমাকে সেলফ আইসোলেশনে থাকার সঠিক নিয়ম-নীতি সম্পর্কে অবগত করেনি।"
স্পেনে থাকতে আমাদের মুদি দোকান ও ফার্মেসিতে যাওয়ার অনুমতি ছিল। কিন্তু এখানের (সার্বিয়া) পরিস্থিতি পুরোপুরি ভিন্ন। আমি যদি কাউকে হুমকির মধ্যে ফেলে থাকি সে কারণে অত্যন্ত দুঃখিত। আশা করি আমরা সবাই মিলে এই দুর্যোগের মোকাবেলা করতে পারব।"
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে ইতালিতে। সবার আগে লিগ বন্ধের সিদ্ধান্তও নিয়েছিল তারা। ইয়োভিচের মতো ছাড়পত্র নিয়ে ক্লাব ছেড়ে গেছেন জুভেন্টাসের গঞ্জালো হিগুয়াইন, সামি খেদিরা ও মিরালেম পিয়ানিচ। আর্জেন্টাইন সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী অসুস্থ্য মাকে দেখতে ইতালি থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে আর্জেন্টিনা গেছেন হিগুয়াইন। আর খেদিরা ফিরেছেন নিজ দেশ জার্মানিতে, পিয়ানিচ পরিবারের সঙ্গে রয়েছেন লুক্সেমবার্গে। তাদের সতীর্থ জুভেন্টাসের ব্লেইজ মাতুইদি ও দানিয়েলে রুগানি করোনায় আক্রান্ত হয়ে সেরে ওঠার পথে রয়েছেন।