পিএসএলের 'ভবিষ্যত' নিয়ে সংকটে পিসিবি, বিভক্ত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি
সপ্তাহ দুয়েক আগে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে প্লে-অফ পর্ব বাকি থাকতেই স্থগিত হয়ে গেছে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) পঞ্চম সংস্করণ। এখন এই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল ম্যাচগুলো নিয়ে পিসিবি কী সিদ্ধান্ত নেবে, এ নিয়ে বিশেষভাবে নেওয়া কোনও একটি সিদ্ধান্তে সব দলগুলো আদৌ একমত হতে পারবে কিনা- প্রশ্ন উঠছে সেসব নিয়ে।
যদি নভেম্বরের আগে করোনা মহামারী থেকে নিস্তার পায় বিশ্ব, তাহলে পিএসএলকে অবশ্যই আসরের বাকি অংশ আয়োজন করতে হবে, পিসিবির এমন বাধ্যবাধকতা আছে বলে জানাচ্ছে ক্রিকইনফো। সে সময়ে একটি নির্দিষ্ট স্লট খুঁজে বের করে পিএসএল আয়োজন করতে পারে পিসিবি। তবে সেক্ষেত্রে পিসিবিকে আসরের সাথে যুক্ত সব স্টেকহোল্ডারদের অন্তত ৩ দিনের জন্য একত্র করতে হবে, ১৬ জন বিদেশী খেলোয়াড় সহ। তবে তখন চাইলে পিসিবি ৩ দিনে ৪ ম্যাচের প্লে-অফ পর্বকে ছোট করে ২ দিনে নিয়ে আসতে পারে, সেক্ষেত্রে একদিনে দুটি সেমিফাইনাল খেলা হবে আর অপর পরের দিন ফাইনাল।
আর পিএসএলের প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী, যদি কোনও কারণে প্লে-অফ পর্বের খেলা আয়োজিত না হয়, তাহলে লিগ স্টেজ শেষে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা দলটির হাতেই উঠবে শিরোপা। সেই হিসেবে মুলতান সুলতানসের হাতে ওঠার কথা চ্যাম্পিয়নের ট্রফি, দলটির বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদও এই নিয়মটির সঙ্গেই একাত্মতা পোষণ করছেন, “পিএসএলের পঞ্চম সংস্করণের একটা যথাযথ সমাপ্তি প্রয়োজন। লিগ পর্বে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দলের কাছে শিরোপা হস্তান্তরের মাধ্যমে সেটা সম্পন্ন হওয়া উচিৎ। কারণ বর্তমান অবস্থায় পরবর্তী কোনও একটি সময়য় প্লে অফের জন্য নির্ধারণ করাটাকে আমরা বাস্তবসম্মত মনে করি না।”
এদিকে মুলতান বাদে প্লে-অফ পর্বের বাকি তিন দল করাচি কিংস, লাহোর কালান্দার্স এবং পেশোয়ার জালমি অবশ্য এই প্রক্রিয়ায় শিরোপা নির্ধারণের বিষয়টির সঙ্গে একমত হতে পারছে না। লাহোরের দলটির মালিক সামিন রানা সময় সুযোগ মতো টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলো আয়োজনের পক্ষে, “আমরা মনে করি, যখন সম্ভব হবে নতুনভাবে বাকি ম্যাচগুলো আয়োজন করতে হবে। সেখান থেকেই বিজয়ী দল বেরিয়ে আসবে।”
“আমরা প্রতিযোগিতায় বিশ্বাস করি, এটা বাদে ক্রিকেট খেলার আসলে কোনও মানে নেই। আমাদের শুধু একটা সময় খুঁজে বের করে কোনও সপ্তাহান্তে ২ দিনের জন্য ১৬ জন খেলোয়াড়কে একত্র করে বাকি ম্যাচগুলো আয়োজন করার মাধ্যমে সুন্দরভাবে আসরের ইতি টানতে হবে।”
বোঝাই যাচ্ছে, পিএসএলের ভাগ্য নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বেশ বেগ পেতে হবে পিসিবিকে।