• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    বেতন কমানোর প্রস্তাবে রাজি হননি স্টোকসরা

    বেতন কমানোর প্রস্তাবে রাজি হননি স্টোকসরা    

    করোনা ভাইরাসের কারণে খেলাধুলা এখন বন্ধ। তাই দুর্যোগপূর্ণ এই সময়ে অর্থনৈতিক ভারসাম্য ঠিক রাখতে খেলোয়াড় এবং স্টাফদের বেতন কমিয়ে দেওয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে ফুটবল, ক্রিকেটসহ সব খেলাতেই। ফুটবলে তো বেশ কিছু ক্লাবে এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়ে গেছে। তবে এক্ষেত্রে বিপাকে পড়েছে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। ক্রিকেট বোর্ডের অন্য কর্মকর্তাদের বেতন কমাতে পারলেও কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটাররা আপাতত বেতন কমানোর প্রস্তাবে সায় দিচ্ছেন না।

    গত ২৯ মার্চ ইসিবির প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসন প্রফেশনাল ক্রিকেটারস অ্যাসোসিয়েশনের (পিসিএ) কাছে এই বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য একটি চিঠি পাঠিয়েছে। সেই চিঠির সূত্র ধরে ক্রিকইনফো জানিয়েছে, এপ্রিল এবং মে মাসে ক্রিকেটারদের ২০ শতাংশ কম বেতন নিতে অনুরোধ করেছিল ইসিবি। চিঠিতে হ্যারিসন নিজে অন্তত আগামী তিন মাস ২৫ শতাংশ বেতন কম নেওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। অবশ্য শুধু হ্যারিসনই নন, ইসিবির নির্বাহী পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাই এই সময়টাতে নির্দিষ্ট পরিমাণ বেতন কম নিচ্ছেন। এছাড়া খরচ কমাতে ইসিবির অনেক স্টাফকে সাময়িক বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে বুধবার থেকে।

    তবে খেলোয়াড়দের কাছ থেকে বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক উত্তর না পেয়ে ৩১ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে হ্যারিসন বলেন, “এ ধরনের সময়ে দৃষ্টান্ত তৈরি করাটা জরুরী। আধুনিক যুগে খেলার জগত এমন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়নি আগে কখনও। আমরা এই বিষয়ে খেলোয়াড়দের সহযোগিতা চাই, আশা করি তারা বিষয়টি বুঝতে পারবে। ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা সমাজের প্রয়োজনের সময়ে যেভাবে এগিয়ে আসছে, সেটা প্রশংসনীয়। তবে সাথে এমন চ্যালেঞ্জিং সময়ে সামনে থাকা সমস্যাগুলোর সমাধান খুঁজে বের কবরাটাও জরুরী।”

    ইংল্যান্ডের প্রথম শ্রেণির কাউন্টি দলগুলোর তরফ থেকে বেতন কমানো নিয়ে পিসিএর কাছে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠানো অবশ্য বাকি এখনও। সেটি পাঠানোর পরই বিষয়টি নিয়ে নিজেদের চূড়ান্ত অবস্থান পরিষ্কার করবে ক্রিকেটারদের স্বার্থ রক্ষার্থে নিয়োজিত এই সংস্থা। ধারণা করা করা হচ্ছে, পিসিএ শেষ পর্যন্ত বোর্ডের প্রস্তাব মেনে নেবে, তবে প্রথম সুযোগে ঐকমত্যে না পৌঁছানোর বিষয়টি অবশ্যই সংস্থাটির ইমেজকে প্রশ্নের মুখে ফেলবে।