'আসল' সব্যসাচী
রিভার্স সুইপের যুগ পেড়িয়ে এখন সময় সুইচ হিটের। যেখানে ব্যাটসম্যানের স্ট্যান্স পরিবর্তন হয়ে যায়, বদলে যায় গ্রিপও। ডানহাতি ব্যাটসম্যান হয়ে যান বাঁহাতি, কিংবা উল্টোটা। স্টিভ ওয়াহ, হ্যান্সি ক্রনিয়ে বা অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসরা আবার করতে পারতেন মিডিয়াম পেস বা অফস্পিন, দুটোই। ঘরোয়া ক্রিকেটে পেসার মাশরাফি বনে গিয়েছিলেন স্পিনার। ব্যাটসম্যানদের 'সত্ত্বা'র পরিবর্তন হরহামেশাই হলেও, বোলারদের ক্ষেত্রে এ ‘পরিবর্তন’টা ছিল মূলত গতিরই। তবে আজ মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে অন্যরকম এক ‘সুইচ বোলার’কেই দেখা গেল!
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচে একই ওভারে দুই হাতেই বল করেছেন শ্রীলঙ্কান স্পিনার কামিন্ডু মেন্ডিস। ২৭তম ওভারের প্রথম চারটি বলে মেন্ডিস ছিলেন ‘বাঁহাতি অর্থোডক্স’, সে ওভারেই সেই মেন্ডিসই হয়ে গিয়েছিলেন ‘ডানহাতি অফস্পিনার’! এমনিতে ‘আন-অর্থোডক্স’ ক্রিকেটারের আনাগোনা শ্রীলঙ্কাতে কম নয়, তবে কামিন্ডু মনে হয় ছাড়িয়ে গেলেন অনেককেই!
৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৯৮ সালে গলে জন্ম নিয়েছিলেন কামিন্ডু। লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলেছেন একটি, গত বছরের নভেম্বরে, গল ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে।
পাড়ার ক্রিকেটে হয়তো এমন অনেকেই আছেন, ডানহাতি বা বাঁহাতি, ব্যাট করতে পারতেন দুভাবেই। অনেকে আবার বলও করতে পারেন, সময়ের বিবর্তনে কেউ আবার ডানহাতি থেকে বাঁহাতি হয়ে গেছেন, বা বাঁহাতি থেকে ডানহাতি! তবে কামিন্ডু রেখে দিয়েছেন তাঁর দুইরকম প্রতিভাকেই। তা আবার কাজে লাগালেন শীর্ষ পর্যায়েও!
কামিন্ডু শুধু দুই হাতে বল করেন না, আবার টপ-অর্ডারে ব্যাটও করেন।
দলে জায়গা ধরে রাখতে কামিন্ডুর হাতে ‘অস্ত্র’ কিন্তু কম নয়!
কামিন্ডু মেন্ডিসকে সব্যসাচী বলবেন না তো কাকে বলবেন?