• ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান
  • " />

     

    অর্ধেক বেতন কমে যাচ্ছে নেইমারদের?

    অর্ধেক বেতন কমে যাচ্ছে নেইমারদের?    

    করোনাভাইরাসের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সামাল দিতে এবার খেলোয়াড়দের বেতন কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান। মূলত এ মাসে লিগের অফিসিয়াল ব্রডকাস্টার ক্যানাল প্লাস এবং বিইন স্পোর্টস টিভি মানি আটকে দেওয়ার ফলে লিগ ওয়ানকেও খেলোয়াড়দের বেতন কর্তনের কথা ভাবতে হচ্ছে। খেলোয়াড়দের মূল বেতনের হিসেবে তাদের বেতন কর্তনের পরিমাণ নির্ধারিত হবে বলে জানাচ্ছে ইএসপিএন, আর সেই হিসেবে লিগে সবচেয়ে বেশি আয় করা নেইমার-এমবাপ্পেদের বেতনের ৫০ ভাগ কাটা যেতে পারে।

    করোনাভাইরাসের কারণে মাঠের ফুটবল তো থমকে আছেই, তবে সার্বিক ফুটবল অর্থনীতির চাকা সচল রাখাটাও এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিচ্ছে। টিভি মানি, টিকিট মানি বন্ধ হয়ে যাওয়া এমনকি স্পনসরদের সাথে চুক্তি বাতিলের মতো ঘটনার ফলে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে ইউরোপের ছোট-বড় সব ক্লাব এবং লিগ। ফ্রেঞ্চ ক্লাব বোর্দোর মূল স্পনসর সম্প্রতি ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে।

    ইএসপিএনের সূত্রমতে, ফ্রান্সের খেলোয়াড়দের সংগঠন ন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ প্রফেশনাল ফুটবল প্লেয়ারস (ইউএনএফপি) এবং দেশটির অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাঝে বিষয়টি নিয়ে একটি চুক্তি হয়েছে, যাতে সাময়িকভাবে নির্ধারিত হারে খেলোয়াড়দের বেতন কর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।

     সূত্র জানিয়েছে, মাসে ১০ থেকে ২০ হাজার ইউরো আয় করা খেলোয়াড়রা ২০ ভাগ বেতন কম পাবেন, ২০ থেকে ৫০ হাজার ইউরো আয় করা ফুটবলাররা পাবেন ৩০ ভাগ কম। ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ ইউরো আয় করাদের বেতন কমবে ৪০ ভাগ আর ১ মাসে ১ লাখের ওপর আয় করাদের বেতনের অর্ধেকটাই কাটা পড়বে। আর পিএসজির অধিকাংশ খেলোয়াড়ই মাসে ১ লাখ ইউরোর বেশি আয় করায় তাদের বেতন অর্ধেক কমে যাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

    বিষয়টি নিয়ে এএফপি-র সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে খেলোয়াড়দের সংগঠন ইউএনএফপি-র সভাপতি ফিলিপে পিয়াত এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে খেলোয়াড়রা একমত হবে বলেই আশা করছেন, “ক্লাবগুলোকে সচল রাখার জন্য খেলোয়াড়রা যাতে তাদের এপ্রিল মাসের বেতনের কিছু অংশ ছেড়ে দেন ,সেজন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা কাউকে বাধ্য করছি না, তবে আমি মনে করি বেশিরভাগ খেলোয়াড় এই সিদ্ধান্তের পক্ষেই থাকবে। আমি তাদেরকে এটাই বলব যে, এর ফলে অনেক চাকুরি বাঁচবে। এটা না করলে এই পেশাটাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”