এবার কর্মচারীদের বেতন কাটছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া
অর্থনৈতিক ভারসাম্য টিকিয়ে রাখতে আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে চলতি অর্থবছরের বাকিটা সময় (৩০ জুন) পর্যন্ত বোর্ডের অধিকাংশ কর্মচারীর বেতন কর্তনের ঘোষণা দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক অচলাবস্থার প্রভাব টের পাচ্ছে বিশ্বের প্রায় সব দেশ। অর্থনীতির কিছু ক্ষেত্রে করোনার অর্থনৈতিক প্রভাব মারাত্মক আকার ধারণ করছে, যার মাঝে অন্যতম ক্রীড়া ক্ষেত্র। খেলাধুলা বন্ধ থাকায় বিশ্বজুড়ে ক্লাব, লিগ এবং বিভিন্ন ক্রীড়া নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানগুলো বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে। আর তাই কর্মীদের বেতন কমিয়ে দিয়ে, বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়ে এমনকি খেলোয়াড়দের বেতন কর্তন করে সেই ক্ষতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সেই পথে হাঁটছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও।
বৃহস্পতিবার কর্মচারীদের সঙ্গে লাইভ স্ট্রিমের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তাদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী কেভিন রবার্টস। মূলত অস্ট্রেলিয়ার ফুটবল এবং রাগবি লিগের উদাহরণ অনুসরণ করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিষয়টি নিয়ে দেওয়া আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “করোনাভাইরাসের কারণে অন্য যেকোনো শিল্পের চেয়ে ক্রীড়া ক্ষেত্রে বেশি ক্ষতি হয়েছে। আবারও ক্রিকেট মাঠে গড়াক এটাই বোর্ডের চাওয়া, তবে বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় সেটা কবে নাগাদ সম্ভব হবে তা অনিশ্চিত। করোনার কারণে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে যে প্রভাব পড়তে যাচ্ছে, তা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য বোর্ড বদ্ধপরিকর।”
“আর এজন্যেই আইসোলেশনের এই সময়ে তথা আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে এই অর্থবছরের বাকি সময়ে কিছু সংখ্যক কর্মচারী বাদে বাকি সবার বেতন কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
এদিকে করোনাভাইরাসের ফলে এরই মধ্যে সাউথ অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন তাদের কাজের পরিধি অনেকটা কমিয়ে এনেছে। কর্মীদের অনেককে ছুটিতে পাঠানোর সাথে অনেক কর্মীর বেতনের ২০ ভাগ কর্তনেরও ঘোষণা দিয়েছে তারা। এদিকে বেতন কমানোর এই ঘোষণার ফলে ক্রিকেটারদের ওপর কী প্রভাব পড়তে পারে তা নিয়ে এরই মধ্যে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসেছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারস অ্যাসোসিয়েশন।
এছাড়াও একই বিবৃতিতে আগামী অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সময়মত অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তবে টুর্নামেন্টটি ফাঁকা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে কিনা সে বিষয়ে তখনকার অবস্থা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।