• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    আরও কাছাকাছি ইউনাইটেড-মরিনহো?

    আরও কাছাকাছি ইউনাইটেড-মরিনহো?    

    ক্লাব ফুটবলের কোচদের জন্য মৌসুমটা যে খুব একটা ভালো যাচ্ছে না তা বোধকরি বলাই বাহুল্য। গত বছরের শেষটা জুড়ে ম্যানেজার রদবদলের হিড়িকে ইউনাইটেড বস লুই ফন গালের চাকরি খোয়ানোটাও সময়ের ব্যাপার বলেই মনে করছিলেন অনেকে। কিন্তু অদ্যবধি ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ডাগ আউটে এই ডাচ কোচের বহাল তবিয়তে অবস্থান বলছে মৌসুম শেষের আগে তাঁর ব্যাপারে কঠিন কোনো সিদ্ধান্ত সম্ভবত নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। ফন গাল নিজে অবশ্য আরও লম্বা সময় রেড ডেভিলদের ‘ম্যানেজ’ করার দায়িত্বে থাকার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু পাল্টা এক আত্মবিশ্বাস তাঁর জন্য নতুন করে চিন্তার কারণ হতে পারে। চেলসি থেকে ‘বিতাড়িত হয়ে এই মুহূর্তে ‘বেকার’ বসে থাকা হোসে মরিনহোর ঘনিষ্ঠরা বলছেন চলতি মৌসুম শেষেই ওল্ড ট্রাফোর্ডে নতুন করে ক্যারিয়ার শুরুর ব্যাপারে এই পর্তুগীজ কোচের আত্মবিশ্বাসও ক্রমেই বাড়ছে।

     

     

    মৌসুম শেষে ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ যদি ফন গালকে ‘না’ বলেই দেয় তবে সেক্ষেত্রে তাঁর স্থলাভিষিক্ত কে হতে পারেন- এমন প্রশ্নে একাধিক পছন্দ আছে ক্লাবের উপর মহলে। মরিনহোর ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব পোষণকারীদের সংখ্যাটা বাড়লেও বিবেচনায় আছেন লিগ টেবিলে তিন নম্বরে থাকা টটেনহ্যামের কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনো-ও। ফন গালের সহকারী রায়ান গিগসকেই মূল কোচের দায়িত্ব দিতেও আগ্রহী কর্তামহলের কেউ কেউ।

     

    তবে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটিতে ‘হাই প্রোফাইল’ পেপ গার্দিওলার ভিড়ে যাওয়ার বিষয়টা নিশ্চিত হওয়ার পর এই কাতালান কোচের সমকক্ষ কারও খোঁজটা নতুন করে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে ইউনাইটেডের জন্য। আর সে বিবেচনায় ২০১৩-১৪ মৌসুমে ডেভিড ময়েসের ব্যর্থতার বিষয়টি মাথায় রেখে রায়ান গিগসের মতো ‘সর্বোচ্চ পর্যায়ে অপরীক্ষিত’ কারও হাতে মূল দায়িত্ব তুলে দিতে ইচ্ছুক নয় ক্লাব। ওদিকে টটেনহ্যামে সীমিত পুঁজিতে পচেত্তিনোর সাফল্য নজর কাড়লেও এই আর্জেন্টাইন এখনই গার্দিওলার সাথে পাল্লা দেবার মতো অভিজ্ঞতা অর্জন করে ওঠেন নি বলেই বিশ্বাস করে কর্তৃপক্ষ। এমন প্রেক্ষিতে একমাত্র ‘যোগ্য’ বিকল্প হিসেবে ইউনাইটেডের উপর মহলে মরিনহোর জনরপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে বলে দাবী ক্লাবসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর।

     

     

    চেলসি থেকে পদচ্যুত হওয়ার পরপরই মরিনহোর সাথে ইউনাইটেড প্রতিনিধিদের যোগাযোগ শুরু হয় বলে সে সময় গণমাধ্যমে জোর গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। সে যোগাযোগ এখনও অব্যাহত আছে এবং সেটা ক্রমেই ইতিবাচক মোড় নিচ্ছে বলে বলছেন উভয়পক্ষে সংশ্লিষ্টরা।

     

    কিন্তু এ সব কিছুই তো নির্ভর করছে প্রথমে ওল্ড ট্রাফোর্ড থেকে ফন গালের আনুষ্ঠানিক বিদায়ের উপর। যদি কর্তৃপক্ষ এই ডাচ কোচকে চুক্তিতে নির্ধারিত ২০১৭ সাল পর্যন্ত থাকার সুযোগ দেয় সেক্ষেত্রে এসব জল্পনার পুরোটাই মূল্যহীন হয়ে যাবে। অবশ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মৌসুম শেষে নতুন কাউকে খুঁজে না নিলে পরবর্তীতে মৌসুমের মাঝপথে প্রয়োজনে যোগ্য কাউকে খুঁজে পাওয়াটা কঠিন হবে- এই বিবেচনাতেই হয়তো ফন গালকে ছেড়ে দেবে ইউনাইটেড। আর এমন তত্ত্বই হালে পানি দিচ্ছে ইউনাইটেড-মরিনহো রসায়নের ব্যাপারে আশাবাদীদেরকে, এমনকি হয়তো স্বয়ং মরিনহোকেও!