নিলামে উঠছে এবার মোনেম মুন্নার জার্সি
বাংলাদেশের জার্সিতে মোনেম মুন্নার সবচেয়ে স্মরণীয় মুহুর্তের জার্সিটাই নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার পরিবার। ১৯৮৯ সালে প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপে লাল দলের হয়ে এই জার্সি পরেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন মোনেম মুন্না।ওই টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়ও ছিলেন তিনি। ২৫ বছর পর দেশ যখন সঙ্কটে, তখন তার স্ত্রী মুন্নার জার্সি নিলামে উঠিয়ে অর্থ তুলে সহযোগিতা করতে চাইছেন অসহায়দের।
"আজ মুন্না বেঁচে থাকলে হয়তো অসহায়দের জন্য অনেক কিছু করতো। এখন সে নেই। তারপরও আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি তার শিরোপা জয়ী জার্সিটি নিলামে তুলবো। এতে করে যদি কিছু লোকের উপকার হয়।"- মুন্নার 'নাম্বার টু' জার্সি নিলামে ওঠানোর কারণ জানিয়েছেন তার স্ত্রী সুরভি মোনেম।
করোনাভাইরাসে নিম্ন আয়ের মানুষরা পড়েছেন আর্থিক সঙ্কটে। এই দুর্যোগ মোকাবেলায় এরই মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে তহবিল সংগ্রহ করছেন অনেক খেলোয়াড়রা। সাকিব আল হাসান যেমন নিজের বিশ্বকাপ খেলা ব্যাটও নিলামে উঠিয়ে সে অর্থ দান করছেন। সুরভি অবশ্য এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহযোগিতা চাইছেন, "আসলে এই নিলামের ওঠানোর প্রক্রিয়াটা আমি সেভাবে জানি না। কেউ যদি এগিয়ে আসে, তাহলে ভালো হয়। আমাদের কাছে ২৫ বছর ধরে স্মৃতিবিজরিত সেই জার্সিটি আছে। এখন সেটা সবার জন্য উন্মুক্ত করতে চাই। যদি বিক্রি হয়, তাহলে অসহায়দের জন্য কিছু করা যাবে। এছাড়া তো আমি কিছু করতে পারব না।"
মোনেম মুন্নার স্ত্রীর মতো সাবেক স্ট্রাইকার ও উত্তরা বারিধারার কোচ আলফাজ আহমেদও নিজের জার্সি নিলামে ওঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ১৯৯৯ সালে নেপালের দশরথ স্টেডিয়ামে এই জার্সি গায়েই ফাইনাল ম্যাচে গোল করেছিলেন আলফাজ। নেপালকে হারিয়ে সেবার এসএ গেমসে নিজেদের প্রথম সোনা জিতেছিল বাংলাদেশ ফুটবল দল। প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে আলফাজ সাহায্য করতে চান নিজ এলাকার মিরপুরের অসহায় লোকদের, "দেখুন আমার এলাকায় এমন অনেক লোক আছে সাহায্য চাইতে সংকোচ বোধ করেন। আমার পরিকল্পনা হচ্ছে জার্সিটি বিক্রি করে এইসব লোকদের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া।"
এর আগে সাবেক রেফারি তৈয়ব হাসানও তার পরিচালনা করা সাফ ফাইনাল ম্যাচের জার্সিটি নিলামে ওঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।