লকডাউনে বাংলাদেশী তরুণদের জন্য ওয়েস্ট হাম কোচের ৬ চ্যালেঞ্জ
ইংলিশ ক্লাব ওয়েস্ট হাম একাডেমির কোচ তিনি। প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড় তৈরির আঁতুড়ঘর সামলান। তরুণ ফুটবলারদের নাড়ি-নক্ষত্র তাই ভালোভাবেই জানা বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত কোচ লিটন জামানের। ওয়েস্ট হাম একাডেমি বন্ধ রয়েছে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে। নিজের ছাত্ররাও নানান মানসিক ঝামেলায় ভুগছেন। লিটন জানেন, বাংলাদেশেও এমন বহু কিশোর-কিশোরী রয়েছে যাদের কাছে ফুটবলই ছিল একমাত্র বিনোদন। ইংল্যান্ড থেকেই তাই এই তরুণদের জন্য ঘরে বসে কিছু অনুশীলন করার জন্য কিছু ভিডিও পাঠিয়েছেন লিটন।
লিটন ওয়েস্ট হামের একাডেমিতে কাজ করছেন ২০১৪ থেকে। করোনাভাইরাসের কারণে সব কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ছাত্রদের সঙ্গে লিটনের কথা হচ্ছে ওয়াটসঅ্যাপে। তরুণদের ওপর যে মানসিক চাপ যাচ্ছে, সেটা তাই বুঝতে পারেন তিনিও। বাংলাদেশেও আত্মীয়-স্বজন আছে, আর ফুটবলের কাজেই বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন কিছুদিন আগে।
লিটন জামান, ওপর থেকে সবার ডানে
এই অবস্থায় দেশের কথা মনে পড়ছে বলেই এমন নিজের জায়গা থেকে কিছু করার চেষ্টা তার, “আমি কিছুদিন আগে বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরী আর কোচদের সঙ্গে কাজ করে গিয়েছি। তারা মানুষ হিসেবে দারুণ। আমি বাংলাদেশে সবমিলিয়ে বেশ অনেকবারই বেড়াতে গিয়েছিল। সিলেটে আমার বাড়ি। এমন কঠিন সময়ে বাংলাদেশের কথা মনে না পড়ে পারে না। বাংলাদেশের ছেলে মেয়েরাও যাতে এই সময়ে শক্ত থাকতে পারে সে কারণেই এমন কিছু টেকনিক অনুশীলন করে নিজেদের ঝালিয়ে রাখাতে পারে।”- প্যাভিলিয়নকে জানিয়েছেন ওয়েস্ট হামের এই কোচ।
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ইংল্যান্ডে কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত আছেন লিটন। কাজ করছেন ইংলিশ এফএর কোচিং মেন্টর হিসেবেও। এর আগে খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন ইংল্যান্ডের নন প্রফেশনাল লিগেও। বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত যে গুটিকয়েক খেলোয়াড় এফএ কাপে অংশ নিয়েছেন, লিটন তাদের একজন। ইউয়েফার এ লাইসেন্সধারী কোচ সুযোগ পেলে কাজ করতে চান বাংলাদেশেও, “বাংলাদেশে আমার বাড়ি। যেখানেই থাকি জাতীয় দলের ম্যাচের খেলার খবর রাখি নিয়মিত। সেরকম সুযোগ আসলে আমি অবশ্যই ভেবে দেখব। সত্যি বলতে, আমার পরিকল্পনাও আছে বাংলাদেশে কাজ করার।”
ওয়েস্ট হামে কাজ করার সময়ই বাংলাদেশ ডিফেন্ডার তপু বর্মণের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল লিটনের, “তপুকে যুবদল থেকে পেশাদার ফুটবলার হিসেবে জাতীয় দলে খেলতে দেখাটা দারুণ। ও যখন ইংল্যান্ডে এসেছিল তখন আমার সঙ্গে ওর পরিচয়। আমরা এক সঙ্গে কাজও করেছি। এখনও ওর সঙ্গে নিয়মিত কথা হয়।”
লিটন সবশেষ বাংলাদেশে এসেছিলেন গত বছর অক্টোবরে। এফএর সঙ্গে বাফুফের কোলাবরেশন ট্রেনিংয়ে চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেটের ফুটবল প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন লিটন। এর ভেতর একদিন সময় কাটিয়েছিলেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শিশুদের সঙ্গে ফুটবল খেলে ও কোচিং করিয়ে।