• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    মরিনহোর কাছে হ্যাজার্ডের ক্ষমা প্রার্থনা

    মরিনহোর কাছে হ্যাজার্ডের ক্ষমা প্রার্থনা    

    বরখাস্ত হওয়ার আগ মুহূর্তে অভিযোগ করে বসেছিলেন যে তাঁর সাথে ‘বেঈমানি’ করছে চেলসির খেলোয়াড়রা। মরিনহোর সেই পরোক্ষ অভিযোগের আঙুল ছিল ব্লুদের অন্যতম বড় তারকা এডেন হ্যাজার্ডের দিকেও। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ থেকে পর্তুগীজ কোচের বিদায়ের বেশ কিছুদিন পর সে ব্যাপারে মুখ খুলে হ্যাজার্ড বলছেন, মরিনহোর চাকরিচ্যুতির জন্য নিজের বাজে ফর্মকেও দায়ী জ্ঞান করে সাবেক গুরুর কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন তিনি।

     

     

    ২৫ বছর বয়সী বেলজিয়ান মিডফিল্ডার গত মৌসুমে চেলসির শিরোপা জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে হয়ে গিয়েছিলেন প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা খেলোয়াড়। অথচ চলতি মৌসুমে এখনও পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগে তাঁর পা থেকে কোনো গোল পায় নি বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। অবশ্য হ্যাজার্ড একাই নন, চেলসির জার্সিতে পুরো মাঠ জুড়েই এক বছর আগের সেই ক্ষুরধার ফুটবলটা বড় নির্জীব বনে গেছে। খেলোয়াড়দের ব্যর্থতাকে ‘ইচ্ছাকৃত’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন মরিনহো।

     

    সরাসরি সে অভিযোগ স্বীকার না করলেও হ্যাজার্ড বলছেন ফর্মহীনতার জন্য তিনি ‘স্পেশাল ওয়ান’-এর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, “তাঁর পদচ্যুতির খবর পাওয়ার পরপরই আমি তাঁকে বার্তা পাঠিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছিলাম। আগের মৌসুমে আমরা একসাথে সব সাফল্য উদযাপন করলাম, অথচ বছর না ঘুরতেই কি অবস্থা। এ জন্য আমি নিজেকে কিছুটা হলেও দায়ী মনে করি। কেননা, আগের বছর আমি সেরা খেলোয়াড় ছিলাম, স্বাভাবিকভাবেই আমাকে নিয়ে প্রত্যাশা বেশী ছিল...কিন্তু দৃশ্যত আমি সেটা পূরণ করতে পারি নি।”

     

     

    মরিনহোর তাঁকে পাল্টা জবাবও দিয়েছিলেন বলে জানাচ্ছেন হ্যাজার্ড, “আমি দুঃখপ্রকাশ করে বার্তা দেয়ার পর সে প্রত্যুত্তরে আমাকে ভবিষ্যতের জন্য শুভ কামনা জানায়।”

     

    কেন চ্যাম্পিয়ন একটা দল বছর না ঘুরতেই এভাবে ভেঙে পড়লো জানেন না হ্যাজার্ড, “আমি আসলে এটা ব্যাখ্যা করতে পারবো না। যদিও অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে কিন্তু আমরা আমাদের মতো করে নিয়মিত ম্যাচ জিততে পারছি না। কেউই আসলে সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারবে না ঠিক কি কারণে চেলসির আজকে এই অবস্থা।”