'ধোনি, কোহলিরা যুবরাজের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে'
ভারতের সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলির কাছ থেকে দলে থাকার সময়টায় যথেষ্ট সাহায্য পাননি বলে কয়েকদিন আগে এক ইনস্টাগ্রামে লাইভে অভিযোগ করেছিলেন যুবরাজ সিং। ধোনি এবং কোহলির তুলনায় বরং সৌরভ গাঙ্গুলির কাছ থেকে সব বিষয়ে বেশি সহায়তা পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। এবার যুবরাজের বাবা সাবেক ক্রিকেটার যোগরাজ সিং আরও এক ধাপ এগিয়ে ধোনি এবং কোহলির বিরুদ্ধে যুবরাজের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতারই অভিযোগ করেছেন।
ভারতীয় টিভি চ্যানেল নিউজ ২৪-র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এই বোমা ফাটিয়েছেন যোগরাজ সিং, “শুধু ধোনি এবং কোহলিই নয়, নির্বাচকরাও তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আমার সাথে কিছুদিন আগে রবির (রবি শাস্ত্রী) দেখা হয়েছিল। সে আমার সাথে ছবি তুলতে চেয়েছিল। আমি তাকে বলেছি বড় খেলোয়াড়দের বিদায় যাতে তাদের পারফরম্যান্সের হিসেবে দেওয়া হয়।”
“ধোনি, কোহলি, রোহিতরা যখন অবসর নেবে, তখন তাদের সাড়ম্বরে বিদায় দেওয়া উচিৎ, যেহেতু তারা দেশের ক্রিকেটে অনেক অবদান রেখেছে। তবে অনেকেই যুবরাজের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, এটা অনেক কষ্টদায়ক।”
যুবরাজের বাবা এরপর নির্বাচক প্যানেলের দিকেও অভিযোগের তীর ছুড়েছেন। বিশেষভাবে নির্বাচক শরনদীপ সিং বারবার যুবরাজকে দল থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি, “ভারতীয় নির্বাচক শরনদীপ সিং, সে বিভিন্ন বৈঠকে অংশ নিয়ে যুবরাজকে দল থেকে বাদ দিতে অনুরোধ করত। এমন লোকদের গুরুত্বপূর্ণ সব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যারা ক্রিকেটের কিছুই জানে না। তাদের থেকে এর চেয়ে বেশি আর কী আশা করেন? তারা চিন্তায় থাকত, যদি যুবরাজ ভালো খেলা শুরু করে, তাহলে তখন কী হবে।”
এমনকি ২০১১ বিশ্বকাপের সময় যুবরাজকে বাদ দিয়ে সুরেশ রায়নাকে স্কোয়াডভুক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিল বলেও সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যোগরাজ সিং, “এটা তো নতুন খবর নয়। তবে এটার সত্যতা সম্পর্কে আমি নিশ্চিত নই। সে সময় কোনো একটি বৈঠকে নাকি বলা হয়েছিল, ভারতীয় দলে সুরেশ রায়না আছে, তাই যুবরাজের দরকার নেই। তবে এটা আমি বলছি না। এটা যুবরাজ বলেছিল, এছাড়া আরও অনেক ক্রিকেটারও তখন এটা বলেছিল।”