পরিবার-বিচ্ছিন্ন থেকে মাঠে ফেরার পরিকল্পনা স্টোকসদের
জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং পাকিস্তানের সঙ্গে হোম সিরিজ খেলার সম্ভাবনা রয়েছে ইংল্যান্ডের। আর সেই দুই সিরিজে খেলার জন্য ইংলিশ ক্রিকেটারদের নিয়মিত করোনা পরীক্ষা সহ আরও বিভিন্ন নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
এজিস বোল এবং ওল্ড ট্রাফোর্ডে ৮ জুলাই থেকে সেই দুই দেশের বিপক্ষে টানা ৬ টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ড। আর সম্ভব হলে সে সময় আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে একটি ওয়ানডে সিরিজ আয়োজনের বিষয়েও ভাবছে ইসিবি। পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই সিরিজের জন্য ইংল্যান্ডের ৩০ জন খেলোয়াড়কে বেছে নেওয়া হবে। স্কোয়াড ঘোষণার পর পরবর্তী ৯ সপ্তাহ খেলোয়াড়দের পরিবারের থেকে আলাদা হয়ে দলের সাথে অবস্থান করতে হবে। তবে সিরিজ চলাকালে যদি ইংল্যান্ডের সার্বিক করোনা পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হয় তা হলে খেলোয়াড়ের পরিবারের সঙ্গে থাকার অনুমতি দেওয়া হতে পারে।
যদিও সেই দুই সিরিজ আয়োজন এবং নিয়মাবলি নিয়ে এখনও সরকারি সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে ইসিবি, তবুও সিরিজ আয়োজনের জন্য দুটি স্টেডিয়াম এবং মাঠ সংশ্লিষ্ট হোটেল, সফরকারীদের অনুশীলনের ব্যবস্থাসহ পারিপার্শ্বিক বিষয়গুলো নির্ধারণ করে নিজেদের তৈরি রাখছে।
দুই সিরিজের জন্য ২৩ জুন ক্রিকেটারদের এজিস বোলে রিপোর্ট করতে হবে বোলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর সেখান থেকে আগস্টের শেষ পর্যন্ত খেলোয়াড়দের একসাথে থাকতে হবে। শুরুতে ক্রিকেটারদের করোনা পরীক্ষার পর দুই সপ্তাহ খেলোয়াড়রা ছোট দলে বিভক্ত হয়ে অনুশীলন করবেন এবং নিজেদের মাঝে ম্যাচও খেলবেন। একসাথে অবস্থানকালে প্রতিদিন খেলোয়াড়দের তাপমাত্রা মাপা হবে, খেলার ধরনের কারণে সামাজিক দূরত্ব পালন কঠিন হলেও যথাসম্ভব সামাজিক দূরত্ব মানার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে খেলোয়াড়দের।
এই গ্রীষ্মে কোনও সিরিজ আয়োজন করতে না পারলে প্রায় ৩৮০ মিলিয়ন পাউন্ডের ক্ষতি হতে পারে বোলে আগেই জানিয়েছিল ইসিবি। আর সেই ক্ষতি কমিয়ে আনতেই সিরিজ আয়োজনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা