ধোনিও যখন 'ভয়' পান
ঠান্ডা মাথার অধিনায়ক হিসেবে ক্রিকেটে মহেন্দ্র সিং ধোনির নাম আসে আগেভাগেই। শান্ত-শিষ্ট স্বভাবে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে সম্ভাব্য সব শিরোপা জিতিয়েছেন। তবে মাঠে খুব কঠিন সময়েও মাথা ঠান্ডা রেখে পরিকল্পনা নির্ণয় করা ধোনিও মাঠে নামার আগে অত্যধিক চাপ এবং ভয়ের সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন।
সম্প্রতি ক্রীড়া ক্ষেত্রে খেলোয়াড়রা যাতে নিজেদের সেরা মানসিক অবস্থানে থেকে দারুণ সব অর্জন নিজেদের করে নিতে পারেন সেজন্য এমফোর নামে এক মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিজের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলেছেন ধোনি, “ভারতে আমরা মনস্তাত্ত্বিক বিষয়গুলোকে নিয়ে এখনও খুব একটা ভাবি না, মানসিক যেকোনো সমস্যাকেই আমরা মানসিক রোগ বলে চালিয়ে দিই।”
করোনার ফলে লকডাউন শুরুর আগেই বিভিন্ন খেলার সঙ্গে যুক্ত কোচদের নিয়ে প্রকল্পটির বিষয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অংশ নেন ধোনি। সেখানেই খেলার মাঠে নামার আগে তার নিজের মানসিক অবস্থানের কথা তুলে ধরে ধোনি প্রশ্ন করেন, “এই বিষয়টি নিয়ে আমরা কেউই কথা বলি না। আমি যখন ব্যাট করতে নেমে প্রথম ৫-১০ বল মোকাবিলা করি, আমার হার্টরেট তখন দুশ্চিন্তায়, ভয়ে অনেক বেড়ে যায়। সবার ক্ষেত্রেই এমনটা হয়, কিন্তু আমরা কেউ এই বিষয়টি কাটিয়ে ওঠার উপায় জানতে চেয়েছি?”
“এটা খুবই ছোট সমস্যা, কিন্তু এই সমস্যার কারণে পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়তে পারে। তাই এ ধরনের সমস্যা হলে কোচের সঙ্গে কথা বলাটা জরুরী। এতে করে কোচ-খেলোয়াড়ের মাঝেও দারুণ সম্পর্ক গড়ে উঠবে।”
এরপর প্রতিটি দলে মেন্টাল কন্ডিশনিং কোচের গুরুত্ব তুলে ধরে ধোনি বলেন, “শুধু ১৫ দিনের জন্য মেন্টাল কন্ডিশনিং কোচ এনে লাভ নেই। কারণ ১৫ দিন শুধু অভিজ্ঞতা ভাগাভাগিতেই কেটে যায়। মেন্টাল কন্ডিশনিং কোচ সবসময় দলের সঙ্গে থাকলেই কেবল সে খেলোয়াড়ের সমস্যার মূল খুঁজে পাবে, আর সেই অনুযায়ী সমাধান দিতে পারবে। আমি মনে করি শুধু খেলাতেই নয়, মানুষের জীবনে মানসিক স্বাস্থ্য এবং মানসিক স্বচ্ছতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।”