আবারও পিছিয়ে যেতে পারে বুন্দেসলিগা?
ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোর মাঝে প্রথম ফেরার কথা বুন্দেসলিগার। ১৬ মে জার্মান ফুটবলের অসব বিভাগে খেলা আবারও শুরু করার প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরে। এর মাঝেই গতকাল শনিবার ক্লাবে দুটি নতুন করোনাভাইরাস কেস পাওয়া গেছে জানিয়ে পুরো স্কোয়াডকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়েছে বুন্দেসলিগা টু-র ক্লাব ডায়নামো ড্রেসডেন। বুন্দেসলিগার ফেরার পথে তাই নতুন ঝামেলা হিসেবে দেখা হচ্ছে এই ঘটনাটিকে।
লিগ শুরুর মাত্র সাত দিন বাকি থাকা অবস্থায় পুরো স্কোয়াড কোয়ারেন্টিনে যাওয়ায় ঠিক সময়ে লিগ শুরু হলে মৌসুমের বাকি ৯ ম্যাচের ৩-৪ টি ম্যাচ মিস করতে হবে ক্লাবটিকে। তবে এই ঘটনার পর জার্মান ফুটবল ফেডারেশন (ডিএফএল) লিগ শুরুর বিষয় নিয়ে নতুন কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি। বরং আগামী সপ্তাহের শুরুতে পূর্ব নির্ধারিত সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে ড্রেসডেনে করোনা শনাক্তের পর গত শনিবার জার্মান প্রচারমাধ্যম জেডডিএফের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ডিএফএল প্রধান নির্বাহী ক্রিশ্চিয়ান সেইফের্ট আগের অবস্থানের কথাই জানিয়েছেন নিজেদের, “(ড্রেসডেন) খেলোয়াড়দের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। তবে আমাদের লক্ষ্যে কোনও পরিবর্তন আসছে না, শুধু সেটা কীভাবে সম্পন্ন করা হবে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। আমাদের মূল লক্ষ্য মৌসুম শেষ করা। আর এমন ঘটনা ঘটতে পারে, এটা অনুমিতই ছিল।”
“বুন্দেসলিগা টু-র বাকি ৮১ টি ম্যাচের মাঝে আপাতত মোটে ২ টি ম্যাচ শঙ্কার মুখে পড়েছে। আমরা দ্বিতীয় বিভাগের বাকি ক্লাবগুলোর সঙ্গে মিলে এই বিষয়টি পর্যালোচনা করব।”
ডায়নামো ড্রেসডেন ক্লাবে প্রথম দফায় করোনা পরীক্ষার পর একজন খেলোয়াড় করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ দিয়েছিল ক্লাবটি। তবে তৃতীয় দফায় গত শুক্রবার ক্লাবের ৪২ জন খেলোয়াড় এবং স্টাফকে আবারও করোনা পরীক্ষা করা হলে এবার দুজন খেলোয়াড়ের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত ৮ এপ্রিল থেকে ছোট দলে বিভক্ত হয়ে অনুশীলন করতে থাকা ড্রেসডেন গত বৃহস্পতিবার থেকে স্বাভাবিক অনুশীলন করেছিল। ডিএফএলের মেডিক্যাল পুরোপুরি মেনে চলার পরও নতুন সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ক্লাবটি।