আইপিএল আয়োজন করতে চায় আরব আমিরাত
শ্রীলঙ্কার পর এবার সংযুক্ত আরব আমিরাতও আইপিএলের এবারের আসর আয়োজন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। করোনাভাইরাসের কারণে যদি ভারতে আইপিএল আয়োজন করা সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে সম্ভাব্য ভেন্যুর তালিকায় তাই আরব আমিরাতের নামও যুক্ত হল এবার। আইপিএল আয়োজনের পূর্ব অভিজ্ঞতাও রয়েছে আরব আমিরাতের। ২০১৪ সালে ভারতে জাতীয় নির্বাচনের সময় আইপিএলের ২০ টি ম্যাচ আয়োজন করেছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
তবে বিভিন্ন দেশের আইপিএল আয়োজনের প্রস্তাব এখনই ভেবে দেখা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিসিসিআইয়ের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমাল, “আরব আমিরাত আইপিএল আয়োজন করতে আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে এখন আন্তর্জাতিক ভ্রমণ একেবারেই অসম্ভব, তাই এই বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আসেনি।”
বিসিসিআই আইপিএলের নতুন সূচি প্রণয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে, অবস্থার উন্নতি হলেই যাতে আইপিএল আয়োজনের ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় সেজন্য। এছাড়াও কিছু স্টেডিয়ামকে সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে তথা নিরাপদ বানিয়ে সেগুলোতে ম্যাচ আয়োজন করা যায় কিনা তাও ভেবে দেখছে সংস্থাটি। তবে বর্তমানে ভারতে করোনার হটস্পটের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়াতে এই পরিকল্পনা নিয়ে এখনই আশার বাণী শোনাচ্ছে না বিসিসিআই। অবশ্য এখনই আইপিএল বিদেশে আয়োজনের সিদ্ধান্তে আসছে না বিসিসিআই, ধুমালের বক্তব্যে তেমনটাই উঠে এসেছে, “খেলোয়াড় এবং অংশগ্রহণকারী প্রতিটি ব্যক্তির স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তাকে আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি। আর বর্তমানে সারা বিশ্বেই ভ্রমণ প্রায় থেমে গেছে, এমন অবস্থায় এই বিষয়ে (বিদেশে আইপিএল আয়োজন) সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।”
অতীতে আইপিএল আয়োজন করে বেশ লাভবান হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আরব আমিরাত। আইপিএল আয়োজন করে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের টার্নওভার বেড়ে গিয়ে পৌঁছেছিল ১১.৪ মিলিয়ন ডলারে। আর ২০১৪ সালে আরব আমিরাত আইপিএল আয়োজন করে আর্থিক দিক দিয়ে খুব বেশি মুনাফা না করলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল দেশটি। তাই আইপিএল আয়োজনে এবার আগে থেকেই নিজেদের আগ্রহের বিষয়ে বিসিসিআইকে জানিয়ে রাখল দেশটি।
আইপিএলের এবারের আসর শুরু হওয়ার কথা ছিল গত ২৯ মার্চ। তবে করোনাভাইরাসের কারণে শুরুতে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করা হয় আইপিএল। তবে ভারতে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় ১৫ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গেছে এবারের আসর।