মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন লা লিগার ফুটবলাররা
করোনাভাইরাসের প্রকোপ একটু কমেছে স্পেনে, স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জীবনযাত্রা। জুনে লিগ শুরু হতে পারে,। তার আগে ছয় সপ্তাহের জন্য খেলোয়াড় এবং স্টাফদের পরিবার থেকে আলাদা হয়ে হোটেলে অবস্থান করে বাকি ম্যাচগুলো খেলতে হতে পারে, এরকম একটা প্রস্তাব এসেছে। এই বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত ঘোষণা না এলেও লিগ কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনার মাঝে এটি রয়েছে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। এমন অবস্থায় খেলোয়াড়দের পরিবার থেকে পৃথক করে খেলানোর বিষয়টি কতটা সঠিক হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। স্প্যানিশ প্লেয়ারস ইউনিয়নের মহাসচিব ডিয়েগো রিভাসের মতে, এমনটা করা হলে খেলোয়াড়দের মানসিক স্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়বে।
ইএসপিএনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে নিজের মতামত দিতে গিয়ে রিভাস বলেন, “চিকিৎসকরা আমাদের এই বিষয়টি বারবার বলছেন। ৫০ দিনের লকডাউনের পর খেলোয়াড়দের বাইরে যেতে না দিয়ে আবারও বন্দী অবস্থায় রাখলে বিষয়টি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর সাব্যস্ত হতে পারে। খেলার জন্য মানসিকভাবে ভালো অবস্থানে থাকা গুরুত্বপূর্ণ। বন্দী অবস্থায় থেকে খেললে নড়বড়ে মানসিক অবস্থার কারণে তাদের পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়তে পারে, এর ফলে চোটে পড়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে।”
লা লিগায় অনুশীলনের সময়ও খেলোয়াড়দের ক্যাম্প ত্যাগ না করতে দেওয়ার বিষয়েরও সমালোচনা করেছেন রিভাস। এক্ষেত্রে বুন্দেসলিগার উদাহরণ টেনেছেন তিনি, জার্মান লিগে খেলোয়াড়রা শুধু অনুশীলনের প্রথম ৭ দিন ক্যাম্পে থেকেছেন, “বুন্দেসলিগার কথাই ধরুন না, সেখানে ৭ দিনের বেশি খেলোয়াড়দের অনুশীলন ক্যাম্পে থাকতে হয়নি। তারা এখন একসাথে বাইরে খেতেও যেতে পারছেন। আর লা লিগায় অনুশীলনের শুরু থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত রুম থেকেই বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।”
লা লিগা কর্তৃপক্ষ এবং স্প্যানিশ ন্যাশনাল স্পোর্টস কাউন্সিল প্রণীত অনুশীলন সম্পর্কিত প্রটোকল অনুযায়ী, আগামী ১৮ মে থেকে গ্রুপ সেশন শুরুর সময় থেকে খেলোয়াড়দের অনুশীলন ক্যাম্পেই থাকতে হবে।লা লিগার সব ক্লাবে খেলোয়াড়দের করোনাভাইরাস পরীক্ষার পর অনুশীলন শুরু হয়ে গেছে। শুরুতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে, এরপর ছোট দলে বিভক্ত হয়ে এবং সব শেষে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় অনুশীলন করবে দলগুলো।