'আইসোলেশন ক্যাম্পে' অনুশীলন করবেন কোহলিরা?
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বেশ হিমশিম খাচ্ছে ভারত। দেশটিতে গত ২৫ মার্চ থেকে লকডাউন চলছে। তবে এর মাঝেই ক্রিকেট কীভাবে দ্রুততার সঙ্গে মাঠে ফেরানো যায় সেটি নিয়ে বিভিন্ন খসড়া পরিকল্পনা তৈরি করছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। সরকার ঘোষিত ‘সেফ জোনে’ ত‘আইসোলেশন ক্যাম্প’ বানিয়ে অনুশীলন শুরু করা যায় কিনা সেটাও ভেবে দেখছে বিসিসিআই।
বিশেষভাবে যেসব জায়গায় করোনার প্রকোপ নেই একেবারেই সেসব জায়গাগুলোকে সেফ জোন হিসেবে উল্লেখ করছে ভারত। আর তেমনই একটি সেফ জোনে ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফদের নিয়ে একটি ক্যাম্প আয়োজন করার লক্ষ্যেই এখন কাজ করছে বিসিসিআই। তবে সেই ক্যাম্পে যাওয়ার আগে অবশ্যই ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফসহ সবাইকে সব ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
ভারতীয় দৈনিক টাইমস অফ ইন্ডিয়া-র তথ্য অনুযায়ী, বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে এই ধরনের ক্যাম্প আয়োজনের সব সুবিধা রয়েছে। তবে বেঙ্গালুরু শহর যে প্রদেশে অবস্থিত সেই কর্ণাটকে এরই মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। তাই সেখানে ক্যাম্প আয়োজন করা আদৌ সম্ভব হবে কিনা তা অনিশ্চিত। ক্যাম্প আয়োজনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে জানিয়ে বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা ক্রিকবাজকে বলেছেন, “যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয় বিসিসিআইয়ের অগ্রাধিকার পাবে। বেঙ্গালুরু কতটা সেটা নিয়ে ভাবছি আমরা, লজিস্টিকসের বিষয়ও রয়েছে। যদি বেঙ্গালুরুতে আয়োজন করা সম্ভব না হয়, তাহলে আমরা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সেফ জোনগুলোর দিকে নজর দেব। ক্যাম্প হবে সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন।"
"এছাড়া অনুশীলন শুরুর জন্য আরেকটি উপায় নিয়েও আলোচনা হচ্ছে, আর তা হচ্ছে সিনিয়র খেলোয়াড়দের জন্য তাদের নিকটস্থ স্থানীয় স্টেডিয়াম খুলে দেওয়া, যাতে তারা সেখানে অনুশীলন করতে পারেন।”
তবে ১৮ মে-র আগে এই ক্যাম্পের বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারবে না বিসিসিআই। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ১৮ মে দেশটিতে লকডাউন কিছুটা শিথিল করার ঘোষণা দিতে পারেন, তবে সেই ঘোষণার দিকেই এখন তাকিয়ে আছে বিসিসিআই। বিসিসিআইয়ের কর্মকর্তাও সাক্ষাৎকারে সেই কথাই উল্লেখ করেছেন, “খেলোয়াড়, টিম ম্যানেজমেন্ট এবং ক্রিকেট অপারেশনস বিভাগের মাঝে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। তবে যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বিসিসিআই এখন সরকারী নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছে।”