ক্রিকেট আয়োজন থেকে বিধি-নিষেধ উঠিয়ে নিল ভারত
ভারতে লকডাউন শিথিল হয়নি, বরং আরও দুই সপ্তাহের জন্য বর্ধিত হয়েছে। তবে খেলাধুলার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে দেশটির সরকার। ক্রীড়া ইভেন্ট আয়োজনে তাই সরকারের তরফ থেকে আর কোনও প্রতিবন্ধকতা নেই। তবে যেকোনো ধরনের ক্রীড়া ইভেন্ট দর্শকদের ছাড়াই আয়োজন করতে হবে, কারণ খেলার উপর থেকে বিধি-নিষেধ তুলে নিলেও জনসমাগমের উপর নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল রয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিসিসিআই। তবে একইসাথে এখনই কোনও সিরিজ বা টুর্নামেন্ট আয়োজনের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
কারণ হিসেবে ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক বিমান যোগাযোগ স্বাভাবিক না হওয়ার বিষয়টিকে সামনে এনেছে বিসিসিআই। আইপিএলে দেশী-বিদেশী খেলোয়াড়দের ভ্রমণ সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাই আইপিএল আয়োজনের অনুমতি পাওয়ার পরও কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না ভারতীয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। বিসিসিআইয়ের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমাল বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানিয়েছেন, “বিমান যোগাযোগ এবং মানুষের চলাচল ৩১ মে-র আগে স্বাভাবিক হচ্ছে না। তাই বিসিসিআই চুক্তিভুক্ত খেলোয়াড়দের স্কিল নিয়ে কাজ করার জন্য যে অনুশীলন ক্যাম্প আয়োজন করতে চাচ্ছিল, সেটা নিয়েও আপাতত ৩১ মে পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত আসছে না। খেলোয়াড় এবং স্টাফদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এখন বোর্ডের মূল লক্ষ্য, তাই বিষয়গুলো নিয়ে তড়িঘড়ি কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।”
তবে কেন্দ্রীয়ভাবে ক্রীড়া ইভেন্ট আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হলে সংশ্লিষ্টদের মতে, ভারতে ক্রিকেট ফিরতে আরও বেশ খানিকটা সময় লাগবে। কারণ মহারাষ্ট্র, কর্ণাটকসহ ভারতের বেশ কিছু প্রদেশ এখন সম্পূর্ণ লকডাউনে রয়েছে। তাই খেলোয়াড়দের নিজ নিজ প্রদেশে অনুশীলনের নির্দেশ দেওয়ার চিন্তা করলেও সেটি নিয়েও এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না বিসিসিআই। বিষয়টি নিয়ে ধুমাল খোলাখুলিভাবে বিসিসিআইয়ের কার্য প্রক্রিয়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “বিসিসিআই প্রাদেশিক পর্যায়ে বিধি-নিষেধের বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখছে। সেগুলো পর্যবেক্ষণের পরই স্কিল ভিত্তিক অনুশীলনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”