৫ গোলে ১০ পয়েন্টের লিড পেল বায়ার্ন মিউনিখ
ফুলটাইম
বায়ার্ন মিউনিখ ৫-০ ডুসেলডর্ফ
বায়ার্ন মিউনিখ যেভাবে দাপট দেখিয়ে একের পর এক জয় তুলে নিচ্ছে তাতে বুন্দেসলিগার ভাগ্যটা অনুমিত হয়ে পড়ছে আরও। চলতি মৌসুমে এই নিয়ে অষ্টমবারের মতো প্রতিপক্ষের জালে ৫ বার বল পাঠিয়েছে বায়ার্ন। তাতে টানা অষ্টম শিরোপার আরেকটু কাছে গিয়েছে তারা। লিগের ৫ ম্যাচ বাকি থাকতে বায়ার্নের পয়েন্ট এখন ৬৭। ১০ পয়েন্টে পিছিয়ে দুইয়ে থাকা বরুশিয়া ডর্টমুন্ড খেলেছে এক ম্যাচ কম। এখানে থেকে শিরোপা হাতছাড়া করতে হলে বায়ার্নকে নাটকীয়ভাবেই ব্যর্থ হতে হবে।
অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় বায়ার্নের বড় জয়ের দিনে রবার্ট লেভানডফস্কি সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন। লিগে এবার তার গোল সংখ্যা ২৮। ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন তিনিই। অবশ্য লেভানডফস্কি গোলের খাতায় নাম লেখানোর আগেই ম্যাচটা নিজেদের করে নিয়েছিল বায়ার্ন। আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে লেভানডফস্কির গোল এখন ৪৩। গোলের হিসেবে এটিই যুগ্মভাবে লেভানডফস্কির ক্যারিয়ারের সেরা মৌসুম। ২০১৬-১৭ মৌসুমে ৪৩ গোল করে থেমেছিলেন তিনি। এবার অবশ্য সংখ্যাটা বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকছে।
রেলিগেশন চক্রে ঘুরপাক খেতে থাকা ডুসলডর্ফ শুরুতেই টের পেয়েছিল এই দিনে আর কোনো রূপকথা লেখা হবে না তাদের। ম্যাচের শুরুতেই আত্মঘাতী গোল করে বায়ার্নের কাজটা সহজ করে দেন ম্যাথিয়াস ইউর্গেনসন। বেঞ্জামিন পাভারের প্রচেষ্টা সে দফায় বাইরে দিয়েই যাচ্ছিল। ইউর্গেনসনের গায়ে লেগে বল ঢুকে যায় বায়ার্নের কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায়।
পাভার অবশ্য গোলবঞ্চিত থাকেননি। কিছুক্ষণ বাদেই কর্নার থেকে হেডে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেছেন তিনি। আর বিরতির আগে গোল করে লেভানডফস্কি পূরণ করেছেন একটি চক্র। বুন্দেসলিগার সবগুলো ক্লাবের বিপক্ষে গোল করা হয়ে গেছে তার। এতোদিন এই ডুসেলডর্ফ নামটাই বাদ ছিল লেভানডফস্কির গোলের খাতায়।
প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধেও ঝড়ো শুরু করে বায়ার্ন। লেভানডফস্কি শুরুতেই দারুণ এক ফ্লিকে গোল পেয়ে যান। এর খানিক বাদে ম্যাচের সেরা গোলটি করেন আলফোন্সো ডেভিস। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে দারুণ খেলেছিলেন তরুণ ডিফেন্ডার। ডুসেলডর্ফের বিপক্ষে দারুণ গোল করে এদিনও আলো কেড়েছেন ১৯ বছর বয়সী। বক্সের ঠিক বাইরে থেকে বল নিয়ে দ্রুত ঢুকে পড়েছিলেন ডেভিস। এরপর দুইজনকে কাটিয়ে করেছেন ম্যাচের পঞ্চম গোল।
বুন্দেসলিগা ফেরার পর এই নিয়ে বায়ার্ন ম্যাচ খেলল ৪টি। এর ভেতর প্রতিপক্ষকে তারা দিয়েছে মোট ১৩ গোল, আর নিজেরা হজম করেছে মাত্র ২টি।