ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত তামিম
করোনা ভাইরাসের শুরু থেকেই অসহায় দুস্থদের পাশে নানা ভাবে এসে দাঁড়িয়েছেন তামিম ইকবাল। তবে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক আরেকটি দারুণ সম্মান পেলেন। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তামিম। বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে জাতিসংঘের কোনো অঙ্গসংঠনের শুভেচ্ছাদূত নির্বাচিত হলেন তামিম। এর আগে সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি বিন মুর্তজা ইউনিসেফের হয়ে এই সম্মান পেয়েছিলেন।
এই সম্মান পাওয়ার পর তামিম এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘“আমি জাতিসংঘের সংস্থা ডব্লিউএফপি-র জাতীয় গুডউইল অ্যামবাসাডর হিসেবে নিযুক্ত হতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। এই সংস্থাটি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বকে ক্ষুধামুক্ত করার জন্য কাজ করে চলেছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় মাত্রায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, তবুও দারিদ্র্যের হার এখনও প্রকট, বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলগুলোতে। চলমান কোভিড-১৯ মহামারী অনেকের জীবনকেই আরও বেশী সংকটময় করে তুলেছে। আমি সাধ্যমত চেষ্টা করার আশা রাখি যাতে ডব্লিউএফপি ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াই করে সহযোগিতা প্রয়োজন এমন সব পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারে।'
বাংলাদেশে ডব্লিউএফপির কান্ট্রি ডিরেক্টর ও ডিরেক্টর রিচার্ড রাগানও তামিমকে পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত, “তামিম একজন সফল ক্রিকেটার যে দেশে এবং বিদেশে অনেকের কাছেই সমানভাবে প্রিয়। জনপ্রিয়তা ও নাগালের পাশাপাশি তামিমের রয়েছে কর্মক্ষেত্রে অবিশ্বাস্য রকমের নৈতিকতা, মানুষের প্রতি সমবেদনা ও জনহিতকর কাজের স্পৃহা। ডব্লিউএফপি পরিবারে তাকে পেয়ে আমরা ভীষণভাবে উচ্ছ্বসিত।”
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি নামে যারা বহুল পরিচিত) ১৯৭৪ সাল থেকেই বাংলাদেশে কাজ করে আসছে। এ পর্যন্ত ১৫৫ মিলিয়ন অরক্ষিত ও খাদ্য নিরাপত্তাহীন মানুষকে সহযোগিতা প্রদান করেছে। ২০১৯ সালে ডব্লিউএফপি বাংলাদেশে ১.৭ মিলিয়ন মানুষকে সহযোগিতা প্রদান করেছে। তামিম খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাবেন কিভাবে ডব্লিউএফপি সরকারের সহযোগিতায় ক্ষুধাশুন্যতা অর্জনের জন্য কাজ করে চলেছে। সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনগণের কাছে তুলে ধরবেন বাংলাদেশে ডব্লিউএফপি-র বিভিন্ন কর্মকাণ্ড যা দেশব্যাপী ৬৪ টি জেলায় স্কুলে খাদ্যপ্রদান, পুষ্টি ও জীবিকার পাশাপাশি কক্সবাজারে শরণার্থীদের নিয়ে অনেক ধরনের কাজ করে থাকে।