ফাঁকা মাঠে পুরোনো আবেগ খুঁজে পাচ্ছেন না কিমিচরা
যে মাঠে হাজার মানুষের সমর্থনে কখনও বা বিপক্ষে ফুটবল খেলতেন, সেই গ্যালারিই এখন খা খা করে। ফুটবলের নতুন রূপই এখন এমন। সেই নতুন রুপের সঙ্গে ইউরোপে সবার আগে পরিচয় ঘটেছে জার্মান ফুটবলের। এরই মধ্যে বুন্দেসলিগায় ৪ রাউন্ড ম্যাচও হয়ে গেছে। বায়ার্ন মিউনিখও শিরোপার পথে হাঁটছে। কিন্তু ফাঁকা মাঠে শিরোপা উদযাপন হবে কেমন? ফাঁকা মাঠে খেলতেই বা লাগে কেমন? বায়ার্ন মিউনিখের জশুয়া কিমিচ বলছেন ফাঁকা মাঠের ফুটবলে তাদের আবেগ আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না আগের মতো। আর নতুন সব গৎবাঁধা নিয়মের সঙ্গে তাল মেলানো শিখতেই সময় কেটে যাচ্ছে অনেকটা।
“সাধারণ অবস্থায় অ্যাড্রানালিন রাশ থাকে অনেক। ৮০ হাজার দর্শকের সামনে খেলতে চিন্তাও হয়। অনেক সময় ওই সমর্থনই আমাদেরই এগিয়ে নিয়ে যায়। আবার ভুল-ভ্রান্তি গুলোও অনেক বড় মনে হয়। আবার গোল করলে এরপর আনন্দও বেশি হয়। কিন্তু এখন অবস্থা ভিন্ন।”
“এখন আমার মনে হয় আবেগ অনেকটাই কম। সমর্থকেরা যখন তাড়া দেয় তখন রেফারির সঙ্গে আমরা এক সুরে কথা বলি, এখন সুর অনেকটাই নরম। আগে অনেক উত্তেজিত হয়ে কথা বলতাম। তারাও বেশ জোর গলায় শাসাতো। এখন আমরাও আস্তে ধীরে কথা বলি। পজিটিভ দিক আসলে একটাই, এখন শুধুমাত্র খেলায় অনেক বেশি মনোযোগ দেওয়া যায়। এই যা।” - গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন কিমিচ।
২৫ বছর বয়সী কিমিখ চান বুন্দেসলিগাকে রোল মডেল হিসেবে দাঁড় করাতে। তার মতে সামাজিক দূরত্বের সব নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলাই সবার লক্ষ্য হওয়া উচিত, “আমাদের প্রতি তিন-চার দিন পর পর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে, প্রতি ম্যাচের আগে হচ্ছে। এটা নিরাপদই মনে হয় আমার। আমরা বাকিদের জন্য রোল মডেল। ফুটবলের ফেরা নিয়ে সবাই যে খুশি হয়েছে তাও কিন্তু নয়। তবে যে পদ্ধতিতে আবার শুরু হয়েছে সেটা সঠিকই মনে হয় আমার কাছে।”
“ড্রেসিংরুমে আমরা এক-দুই মিটার দূরত্ব বজায় রাখছি। মাস্ক পরতে হচ্ছে, খেলা শেষে আবার ড্রেসিংরুমে শাওয়ার নিচ্ছি না। সেটার জন্য ঘরে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করছি।”
কিমিখ বলছেন নতুন এই ধারার সঙ্গে ফুটবলাররাও ধীরে ধীরে মানিয়ে নিচ্ছেন। এর ভেতরও তাই ভালো কিছু খুঁজছেন জার্মান ফুটবলার, “একটা দিক ভালো যে এখন মাঠে খেলোয়াড়দের সঙ্গে প্রচুর আলাপ করা যাচ্ছে। এমনিতে তো একে অন্যকে শুনতেই পেতাম না। গলা ফাঁটিয়ে আর চিৎকার করতে হচ্ছে না। কোচও কিছু বললে সেটা মাঠ থেকে স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে। তবে খেলার সময় মনে হয় প্রীতি বা অনুর্ধ্ব-১৭ এর কোনো ম্যাচ খেলছি।”