• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৫
  • " />

     

    সোফিয়া গার্ডেন,কার্ডিফ; পূর্ববর্তী অসিবধ

    সোফিয়া গার্ডেন,কার্ডিফ; পূর্ববর্তী অসিবধ    

    কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন স্টেডিয়ামটার কথা উঠলেই সবার আগে কোন ব্যাপারটা মাথায় আসে আপনার? বেশিরভাগ বাঙ্গালির হৃদয়ে যে ছবিটা ভেসে ওঠে, হয়তো আপনিও তার ব্যতিক্রম নন। স্মৃতির ভেলায় চড়ে আপনিও হয়তো ফিরে যান ২০০৫-এর জুনে। নতুন করে রোমাঞ্চিত হন অস্ট্রেলিয়ার সাথে বাংলাদেশের প্রথম বিজয়ের মুহূর্ত, আশরাফুলের সেই অবিস্মরণীয় সেঞ্চুরির কথা মনে করে। হয়তো ভাবছেন, বিশ্বকাপের কাউন্টডাউনে ঐ ম্যাচ এলো কি করে। আমাদের আজকের বিষয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও দুটো ব্যাপার ঐ ম্যাচের সাথে মিলে যায় বলেই সেটার অবতারণা। এক-সোফিয়া গার্ডেন, কার্ডিফ। দুই-প্রায় একক নৈপুণ্যে অসিবধ।

     

    ‘ওডিআই ক্রিকেট গ্রাউন্ড’ হিসেবে সোফিয়া গার্ডেনের অভিষেক ছিল সেদিন। ১৯৯৯-বিশ্বকাপের গ্রুপ_‘বি’-এর ৪র্থ ম্যাচ। বাংলাদেশ ও স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে উক্ত মঞ্চে পা রাখে যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। অসি অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহর সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণিত করে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২১৪ রানে প্রথমে ব্যাট করা অস্ট্রেলিয়াকে বেঁধে রাখেন কিউই বোলাররা।

     

     

    তবে সময়টা ছিল এমন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রান তাড়া করাটা সব দলের জন্যই ছিল বেশ শক্ত। ম্যাকগ্রা, ফ্লেমিং, শেন লি, ওয়ার্নের সমন্বয়ে গড়া অসি বোলিং লাইন তখন মামুলি সংগ্রহ ‘ডিফেন্ড’ করেও জিতে গেছে অনেক ম্যাচ। ঐ ম্যাচটাও হয়তো সে পথেই যেত, যদিনা বাঁধা হয়ে দাঁড়াতেন ৩১ বছর বয়সী ইংলিশ বংশোদ্ভূত ব্যাটসম্যান রজার টোজ।

     

    দলীয় ৪৭ রানের মাথায় অধিনায়ক স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের বিদায়ের পর উইকেটে আসেন তিনি। উইকেট সংখ্যা তখন তিন, যা কিনা পরবর্তী ওভারেই চারে পরিণত হয়। নতুন ব্যাটসম্যান অলরাউন্ডার ক্রিস কেয়ার্নসকে নিয়ে বন্ধুর পথযাত্রা শুরু হয় টোজের।

     

    রজার গ্রাহাম টোজ খুব ভালোভাবেই জানতেন কোন পরিস্থিতিতে কি ধরনের ক্রীড়াকৌশল অবলম্বন করতে হয়। ৪৯ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর তাঁর প্রথম দায়িত্ব ছিল উইকেট ধরে রেখে দলকে একটা সুবিধাজনক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া। কেয়ার্নসের সুযোগ্য সহায়তায় সম্পন্ন হল সে প্রক্রিয়া। তারপর একটা পর্যায়ে এসে দলের প্রয়োজনে দ্রুত রান তোলার কাজটাও শুরু করলেন মুন্সিয়ানার সাথেই। এ পর্যায়ে অসি বোলারদের রীতিমত নাকানি-চোবানি খাওয়ালেন টোজ। ৯৯ বলে করা ৮০ রানের ইনিংসটিতে চারের মার ছিল ১০টি।

     

    দলীয় ১৯৭ রানে ১৪৮ রানের জুটি ভেঙ্গে কেয়ার্নস(৬০) আউট হয়ে গেলেও জয়সূচক রানটি আসে ম্যাচসেরা টোজের ব্যাট থেকেই।