• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    বর্ণবাদবিরোধী প্রতিবাদে 'বিবেচনাবোধ' খাটাবে আইসিসি

    বর্ণবাদবিরোধী প্রতিবাদে 'বিবেচনাবোধ' খাটাবে আইসিসি    

    কদিন আগে ফিফা বুন্দেসলিগাকে পরামর্শ দিয়েছিল, বর্ণবাদবিরোধী প্রতিবাদে আইন না খাটিয়ে বিবেচনাবোধ কাজে লাগাতে। কাছাকাছি রকমের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে আইসিসিও। কোনো ক্রিকেটার যদি বর্ণবাদবিরোধী প্রতিবাদ করে তাহলে সেটার জন্য তারা নমনীয় হতে পারে এমন আভাস দিয়েছে। ফিফার মতোই তারা প্রতিটা আলাদ আলদা ঘটনার জন্য ‘বিবেচনাবোধ’ কাজে লাগাবে বলেই জানিয়েছে।

     

    জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর বর্ণবাদবিরোধী প্রতিবাদে উত্তাল গোটা বিশ্ব। ক্রিকেটেও লেগেছে সেই হাওয়া। মাঠে খেলা না থাকায় সরাসরি কেউ প্রতিবাদ করতে না পারলেও মাঠের বাইরে প্রতিবাদ থেমে নেই। স্যামি তো আইপিএল সতীর্থদের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করেছেন, গেইলরাও সুর মিলিয়েছেন সেটির সঙ্গে। সামনে ইংল্যান্ড আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট শুরু হবে জুলাইতে, সেখানেও প্রতিবাদ দেখা যেতে পারে বলে আঁচ করা হচ্ছে। তবে আইসিসি এ বিষয়ে অতটা কঠোর হবে না, এমন আভাস দিয়েছে।

    এমনিতে রাজনৈতিক, ধর্মীয় বা গোত্রভিত্তিক আন্দোলনে আইসিসির নিষেধাজ্ঞা আছে। ২০১৪ সালে মঈন আলী ‘সেভ গাজা’ লিখে ফিলিস্তিনের পক্ষে রিস্টব্যান্ড পরলেও আইসিসির ম্যাচ রফারি ডেভিড বুন সেটা অনুমোদন দেননি। যদিও মানবিকতার জন্য তখন আলীর পক্ষে ছিল ইসিবি। ২০১৯ বিশ্বকাপের সময় নিজের গ্লাভসে ধোনির সামরিক বাহিনীকে সম্মান জানানো ড্যাগারের ছবির জন্যও আলোচনা হয়। সেসময়ও ধোনির আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন জানিয়ে তা অনুমোদন করেনি আইসিসি।

    তবে এবার আইসিসি বলেছে, বর্ণবাদবিরোধী যে কোনো প্রতিবাদের পক্ষে আছে তারা। আইসিসি সব সময় সমতাকে উদ্বুদ্ধ করে। তবে মাঠে যদি বর্ণবাদবিরধো আচরণ হয় তাহলে তা ‘বিবেচনাবোধ’ খাটিয়ে পরীক্ষা করে দেখবে আইসিসি। প্রতিটা আলাদা আলাদা ঘটনা যাচাই করেই সিদ্ধান্ত নেবে তারা। এমনিতে কাউকে শ্রদ্ধা করতে কালো ব্যাজ পরা বা দাতব্য কাজের জন্য মাঠের উদ্যোগের অনুমতি অতীতে অনেকবারই দিয়েছে আইসিসি।