রোনালদোর পেনাল্টি মিসের পর ১০ জনের মিলানকে টপকে ফাইনালে জুভেন্টাস
ফুলটাইম
জুভেন্টাস ০-০ এসি মিলান
ফেব্রুয়ারিতে প্রথম লেগে দুই দল যখন মুখোমুখি হয়েছিল, করোনাভাইরাস তখনও অপরিচিত ছিল ইতালির জন্য। এরপরের গল্পটা ইতালির জন্য করুণ। আরও পরের গল্পটা ইতালির ঘুরে দাঁড়ানোর। মাঝে পেরিয়ে গেছে পঁচানব্বই দিন। ইতালিতেও ফিরেছে ফুটবল। ফেরার জন্য জুভেন্টাস-মিলানের চেয়ে ভালো ফিক্সচার হয়ত হতে পারত না। তবে নতুন কিছু হয়নি আর ম্যাচে, ফেব্রুয়ারির ফলটাই ভাগ্য নির্ধারণ করে দিয়েছে কোপা ইতালিয়ার টাইয়ে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো সে ম্যাচে পেনাল্টি থেকে গোল করে জুভেন্টাসকে সমতায় ফিরিয়েছিলেন। প্রথম লেগের ৪ মাস পর দ্বিতীয় লেগেও পেনাল্টি থেকে গোল করার সুযোগ ছিল রোনালদোর। কিন্তু এবার করলেন স্বভাব বিরুদ্ধ এক পেনাল্টি মিস। তাতে অবশ্য দিনশেষে ক্ষতি হয়নি জুভেন্টাসের। প্রথম লেগে ১-১ গোলে ড্র-টাই কোপা ইতালিয়ার ফাইনালে নিয়ে গেছে জুভেন্টাসকে।
তুরিনের ফাঁকা মাঠ শুরুতে কতোখানি নাটকীয়তা দেখেছে তা অবশ্য ম্যাড়মেড়ে এই স্কোরলাইন দেখে আন্দাজ করার উপায় নেই। তবে খেলার ভাগ্যটা বোধ হয় নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল একেবারে শুরু দিকেই। মিলানের সিক্স ইয়ার্ড বক্সের ভেতর রোনালদো বল নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই বল গিয়ে লাগে আন্দ্রেয়া কন্তির হাতে। ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পরে রেফারি নিজেও মাঠের বাইরে গিয়ে দেখেছেন হাইলাইটস। এরপর সিদ্ধান্ত দিয়েছেন পেনাল্টির। রোনালদোর নেওয়া নিচু কিক আর ফাঁকি দিতে পারেনি বারপোস্টকে। তাই আর গোলও পাওয়া হয়নি রোনালদোর।
এই নিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বারে মতো জুভেন্টাসের জার্সিতে পেনাল্টিতে গোল পেলেন না রোনালদো। ২০১৯ এর শুরুর দিকে একবার পেনাল্টি মিস করেছিলেন, এর প্রায় দেড় বছর পর সেই বিরল মুহুর্তের স্বাদটাই আরেকবার সঙ্গী হয়েছে পর্তুগিজের।
তবে ওই আক্রমণ থেকে দানিলোর বুকে লাথি মেরে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় আন্তে রেবিচকে। আর এসব ঘটেছে মাত্র ৫ সেকেন্ডের ব্যবধানে। ১০ জনের দল নিয়ে রক্ষণে দৃঢ়তা দেখালেও বাকি সময়ে আক্রমণভাগে মোটেই সুবিধা করতে পারেনি রোসোনেরিরা। নিষেধাজ্ঞার কারণে এই ম্যাচে ছিলেন না ইব্রাহিমোভিচ। রেবিচও লাল কার্ড দেখার পর স্ট্রাইকার ছাড়াই বেশিরভাগটা সময় খেলেছে মিলান।
জুভেন্টাসের একাদশে ছিলেন পাউলো দিবালা ও ব্লেইস মাতুইদি দুইজনই। এই দুইজনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে বাজে সময় পেছনে ফেলে আসার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে দুইজনের খেলাতেই।
মাউরিসিও সারির দলও অবশ্য আক্রমণে খুব বেশি ধারালো ছিল না। ৩ মাসেরও বেশি সময় পর মাঠে নামা ফুটবলাররাও দ্বিতীয়ার্ধে বেশিরভাগ সময় গা খাটিয়েছেন স্বাভাবিকের চেয়ে কম। ৫ বদলির নতুন নিয়ম কাজে লাগিয়েছে দুইদলই। মিলান কোটা পূরণ করলেও, জুভেন্টাস বদলি করিয়েছে ৪টি। অবশ্য বিয়াঙ্কোনেরিদের খেলাতেও সমর্থকদের মন ভরার তেমন উপকরণ ছিল না। ১৭ তারিখ থেকে আবার শুরু হবে সিরি আ। ২৩ তারিখ নিজেদের প্রথম ম্যাচে বোলোনিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে প্রস্তুতিটা কেবল ভালোভাবেই সারতে পেরেছে জুভেন্টাস।
রোমের ফাইনালে জুভেন্টাসের প্রতিপক্ষ নির্ধারণ হবে আগামীকাল। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে শনিবার রাতে মুখোমুখি হবে নাপোলি ও ইন্টার মিলান।