রেকর্ডগড়া চুক্তির পর খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধার মান বাড়াতে চান জেমি ডে
জেমি ডের সঙ্গে বাফুফের নতুন চুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটাই বাকি ছিল কেবল। মঙ্গলবার এসেছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, আগামী আরও দুই বছরের জন্য ইংলিশ কোচের দায়িত্বেই থাকছে বাংলাদেশ দল। বাফুফের সঙ্গে জেমি ডের নতুন চুক্তির মেয়াদ শুরু হচ্ছে আগস্টের মাঝামাঝি সময় থেকে। আর সব ঠিকঠাক থাকলে ২০২২ পর্যন্ত বাংলাদেশের দায়িত্বে থাকছেন জেমি ডে।
গত মে মাসে ডের সঙ্গে বাফুফের পুরনো চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছিল। মাঠে ফুটবল না থাকায় আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন হয়নি এতোদিন। নতুন চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে লম্বা সময় ধরে কোচের দায়িত্ব পালন করার রেকর্ড গড়বেন তিনি। সেটা নিয়ে উচ্ছ্বাস আছে, তবে ডে প্যাভিলিয়নকে জানিয়েছেন নতুন মেয়াদে একটি বড় পরিবর্তনও আনতে চান তিনি, "এতোদিন ধরে বাংলাদেশের কোচ থাকব ভেবে ভালো লাগছে। তবে এই দফায় একটি পরিবর্তন করতে চাই। খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে।"
"সুযোগ সুবিধা বলতে বুঝাতে চাইছি প্রায় সবকিছুই। যেখানে আমরা অনুশীলন করি সেটির মান বাড়াতে হবে। একটি জিমের কথা আগেও বলেছি। জাতীয় দলের জন্য একটি জিম দরকার। আর আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য যাতায়াত ব্যবস্থারও উন্নতি দরকার।"
জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের নিয়মিত অনুশীলনের জন্য একটি জিমের হাহাকার অনেকদিন ধরেই। এর আগে বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে ওমান যাওয়ার পথে যান্ত্রিক গোলোযোগের কারণে বিমান দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে যায় বাংলাদেশ। নতুন মেয়াদে এই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে চাইছেন বাংলাদেশ কোচ।
আগস্টে দলের দায়িত্ব নিয়ে দ্রুতই মাঠে ফিরতে হবে ডে কে। অক্টোবর ও নভেম্বরে বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ বাছাইপর্বের শেষ ৪ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। আফগানিস্তান, কাতার, ভারত ও বাংলাদেশের বিপক্ষে এই দুই মাসে বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করছে কঠিন ৪টি ম্যাচ। বৈশ্বিক মহামারিতে জানুয়ারির পর আর আর বাংলাদেশের কোচের ডাগআউটে দাঁড়ানোর সুযোগ হয়নি ডের। তাই এখন মাঠে ফেরাটাই তার কাছে আসল, "ফুটবল ফিরছে এটা আনন্দের খবর, আর আবার আমার খেলোয়াড়দের সঙ্গে দেখা হবে সেটাও স্বস্তির। নতুন সময়ে উন্নতির ধারটা চালিয়ে যেতে হবে। সামনেই ৪টি কঠিন ম্যাচ অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য।"
২০১৮ সালে বাংলাদেশের কোচ হয়ে আসার পর জেমি ডের অধীনে বাংলাদেশের সাফল্যের পাল্লাটাই ভারী। জেমি ডের অধীনে এশিয়ান গেমস ফুটবলে দ্বিতীয় পর্বে উঠে নতুন ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ। পরের বছর বিশ্বকাপ প্রাক বাছাইয়ে লাওসকে টপকে মূল পর্বে জায়গা করে নেয় লাল-সবুজরা।