• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    তিন দলের ৩৬ ওভারের ম্যাচ দিয়ে ক্রিকেটে ফিরছেন ডি ভিলিয়ার্সরা

    তিন দলের ৩৬ ওভারের ম্যাচ দিয়ে ক্রিকেটে ফিরছেন ডি ভিলিয়ার্সরা    

    ক্রিকেটে ফরম্যাটের অভাব নেই। টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি, টি-টেন থেকে নিয়ে হালের ১০০ বলের খেলা হান্ড্রেড পর্যন্ত দেখেছে বিশ্ব। আর এবার ক্রিকেটের অদ্ভুততম ফরম্যাট নিয়ে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩৬ ওভারের বিচিত্র এই ম্যাচে একসঙ্গে খেলবে তিন দল। ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রান করা দলই জয়ী বলে বিবেচিত হবে। আর বিচিত্র এই ম্যাচ দিয়েই আবারও ক্রিকেটে ফিরছেন এবি ডি ভিলিয়ার্সসহ দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা।

    করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ বিরতির পর আবারও ক্রিকেট মাঠে ফেরানোর জন্য কাজ শুরু করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট। আর সে লক্ষ্যে খেলোয়াড়দের জন্য অনুশীলনে ফেরানোর অংশ হিসেবেই এই প্রদর্শনী ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।


    কিংফিশার, হকস এবং ঈগলস নামের তিনটি দল এই টুর্নামেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। প্রতিটি দলে ৮ জন করে খেলোয়াড় থাকবেন। দল তিনটির নেতৃত্ব দেবেন ডি ভিলিয়ার্স, কুইন্টন ডি কক এবং কাগিসো রাবাদা। সেঞ্চুরিওনের সুপার স্পোর্ট পার্কে আগামী ২৭ জুন ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। ম্যাচে অংশগ্রহণের জন্য প্রোটিয়া খেলোয়াড়দের কোনও বাধ্যবাধকতা নেই, চাইলেই ম্যাচ থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিতে পারবেন তারা। পেসার ডেল স্টেইন এরই মধ্যে এই ম্যাচ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন।

    দক্ষিণ আফ্রিকার মোবাইল ডাটা কোম্পানি রেইনের সঙ্গে যুক্ত পল হ্যারিস, ধারাভাষ্যকার মার্ক নিকোলাস এবং দক্ষিণ আফ্রিকা রাগবি দলের সাবেক অধিনায়ক ফঁসোয়া পিয়েনারের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে থ্রি টিম ক্রিকেট (থ্রিটিসি) নামের এই ম্যাচ। এই ম্যাচ খেলতে খেলোয়াড়রা বেশ আগ্রহী বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালক গ্রায়েম স্মিথ, “আমাদের সবার প্রিয় খেলা ক্রিকেট থেকে আমরা অনেকদিন ধরে বেশ দূরে আছি। খেলোয়াড়রা মাঠে ফিরতে মুখিয়ে আছে, আর সেজন্যই এই সলিডারিটি কাপ নিয়ে বোর্ডও বেশ উচ্ছ্বসিত।”

    “এটা দারুণ একটি ফরম্যাট। আমরা থ্রি টিম ক্রিকেটের সঙ্গে এই প্রকল্পের অংশ হতে পেরে গর্বিত।”

     

    ৩৬ ওভারের ক্রিকেটের আদ্যোপান্ত

    • তিন দলের মাঝে ৩৬ ওভারের এই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি দলে ৮ জন করে খেলোয়াড় থাকবে। ৩৬ ওভারকে দুই ভাগে বিভক্ত করে ১৮ ওভার করে খেলা হবে।

    • প্রতিটি দলের ব্যাটিং ইনিংসের দৈর্ঘ্য হবে ১২ ওভার। যার মাঝে প্রতিপক্ষ দুই দলের বিপক্ষে ৬ ওভার করে ব্যাট করবে প্রতিটি দল।

    • প্রথমার্ধের শুরুতে কোন দল ব্যাট করবে সেটি নির্ধারণের জন্য ড্র অনুষ্ঠিত হবে। আর সেই ড্রয়ের পর একটি দল ব্যাট করবে, তারপর বোলিং করবে এবং এরপর ডাগআউটে যাবে।

    • প্রথমার্ধে সবচেয়ে বেশি রান করা দল দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতে ব্যাটিং করবে। প্রথমার্ধের রানের ভিত্তিতেই দ্বিতীয়ার্ধের ব্যাটিং অর্ডার নির্ধারিত হবে। আর যদি দলগুলোর রান সংখ্যা সমান হয়, সেক্ষেত্রে ব্যাটিং অর্ডার উল্টোভাবে নির্ধারিত হবে।

    • একটি দলের সাত উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও অষ্টম ব্যাটসম্যান ব্যাটিং চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। তবে শুধু জোড় সংখ্যক রান নিতে পারবেন সেই ব্যাটসম্যান।

    • যদি প্রথমার্ধে একটি দলের সাত উইকেট পড়ে যায়, তাহলে সেই দল আর সেই অর্ধে ব্যাটিং করতে পারবে না। 

    • প্রতিটি বোলিং দল ১২ ওভারের ইনিংসের জন্য নতুন বল পাবে।

    • একজন বোলার সর্বোচ্চ ৩ ওভার বোলিং করতে পারবেন। প্রতিপক্ষের সপ্তম উইকেট পড়ে যাওয়ার কারণে যদি কোন ওভার অসম্পূর্ণ থেকে যায়, সেক্ষেত্রে ওভারের বাকি বলগুলোকে ডট বল হিসেবে ধরে ওভার সম্পূর্ণ হয়েছে বলে মনে করা হবে।

    • সবচেয়ে বেশি রান করা দল পাবে স্বর্ণ, রানের দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল পাবে রৌপ্য আর তৃতীয় স্থানে থাকা দল পাবে ব্রোঞ্জ।

    • যদি দুটি দলের রান সমান হয়, তাহলে সুপার ওভারের মাধ্যমে জয়ী নির্ধারণ করা হবে। আর তিন দলের রানই যদি সমান হয়, সেক্ষেত্রে তিন দলকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। আর দ্বিতীয় স্থানে যদি দুই দলের রান একই সমান হয়, সেক্ষেত্রে রৌপ্য ভাগাভাগি করে নেবে দুই দল।

    • থ্রি টিম ক্রিকেটের একটি ৯০ ওভারের সংস্করণও রয়েছে।

     

    ৩ টি দল

    কিংফিশার

    কাগিসো রাবাদা (অধিনায়ক), রিজা হেনড্রিকস, জানেমান মালান, ফাফ ডু প্লেসি, এনরিক ক্লাসেন, ক্রিস মরিস, গ্লেন্টন স্টারমান, তাবরাইজ শামসি

    হকস

    কুইন্টন ডি কক (অধিনায়ক), তেম্বা বাভুমা, জেজে স্মাটস, ডেভিড মিলার, ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস, লুথো সিপামলা, বিউরান হেনড্রিকস, এনরিক নর্টে

    ঈগলস

    এবি ডি ভিলিয়ার্স (অধিনায়ক), আইডেন মারক্রাম, রাসি ফন ডার ডুসেন, কাইল ভেরেইন, আন্দিল ফেলুকওয়ায়ো, সিসান্দা মাগালা, জুনিয়র দালা, লুঙ্গি এনগিদ