• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    ভারত-চীন সংকটের পর স্পন্সরদের সাথে চুক্তি পুনর্বিবেচনা করবে আইপিএল

    ভারত-চীন সংকটের পর স্পন্সরদের সাথে চুক্তি পুনর্বিবেচনা করবে আইপিএল    

    ভারত আর চীনের মাঝে লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েই চলছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সীমান্ত বিরোধের জেরে দুই দেশের সেনারা মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। তবে ১৫ এবং ১৬ জুন একচোট লড়াইও হয়ে গেছে এশিয়ার দুই প্রভাবশালী প্রতিবেশীর মাঝে। সেই লড়াইয়ে ভারতের ২০ সেনাসদস্য প্রাণ হারিয়েছেন, চীনের পক্ষেও হতাহত হয়েছেন অনেকে। গত ৫০ বছরে দুই প্রতিবেশীর মাঝে এটিই সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ঘটনা। আর এই ঘটনার আঁচ পড়ছে আইপিএলের ওপরও। মূলত সীমান্ত সংঘাতের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতীয়রা চীনা পণ্য এবং সেবা বর্জনের ডাক দিচ্ছেন জোরেশোরে। চীনের মোবাইল সেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভোর সঙ্গে আইপিএলের স্পন্সরশিপ চুক্তি বাতিলেরও দাবী উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। আর সেই প্রেক্ষিতে আইপিএল কর্তৃপক্ষ আগামী সপ্তাহে স্পন্সরশিপ চুক্তিগুলো পুনঃমূল্যায়নের জন্য সভা করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।

     


    শুক্রবার আইপিএলের অফিসিয়াল টুইটার থেকে পুনঃমূল্যায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। যদিও এর ঠিক একদিন আগেই বিসিসিআইয়ের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমাল ‘আবেগী’ হয়ে ভিভোর সঙ্গে চুক্তি বাতিলের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছিলেন, “আপনি যখন আবেগী হয়ে কথা বলবেন, তখন সেটিতে নিশ্চিতভাবেই যুক্তি থাকবে না। একটি চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে ভারতের উপকার হচ্ছে নাকি চীনের সেটা আপনাকে বুঝতে হবে।”

    “চীনের কোম্পানি ভারতে ব্যবসা করছে, সেই ব্যবসা থেকে আয়ের একটি অংশ বিসিসিআইকে স্পন্সরশিপ চুক্তির অংশ হিসেবে দিয়ে যাচ্ছে। বিসিসিআই সেই অর্থের ৪২ শতাংশ সরকারকে কর হিসেবে দিচ্ছে। এর মাধ্যমে ভারতের উপকার হচ্ছে, চীনের নয়।”

    ২০১৭ সাল থেকে পরবর্তী ৫ বছরের জন্য আইপিএলের মূল স্পন্সরশিপ স্বত্ব কিনে নিয়েছে চীনের মোবাইল সেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো। চুক্তির অংশ হিসেবে বিসিসিআইকে বছরে ৪৯০ কোটি টাকা দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া ২০১৮-২২ সাল পর্যন্ত আইপিএলে অফিসিয়াল আম্পায়ার পার্টনার হিসেবে রয়েছে মোবাইল ওয়ালেট কোম্পানি পেটিএম। আর পেটিএমে অন্যতম বড় বিনিয়োগকারী হচ্ছে চীনের আলিবাবা গ্রুপ। তাই স্পন্সরশিপ চুক্তিগুলো নিয়ে বেশ ভেবেচিন্তেই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে বিসিসিআইকে।