• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    ভারতে শিগগির ক্রিকেট ফেরার সম্ভাবনা দেখছেন না দ্রাবিড়

    ভারতে শিগগির ক্রিকেট ফেরার সম্ভাবনা দেখছেন না দ্রাবিড়    

    ভারতে এখনও ক্রিকেট মাঠে ফেরানোর মতো অবস্থা তৈরি হয়নি। আপাতত করোনা পরিস্থিতি ভালো হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই বলে মনে করেন দেশটির সাবেক অধিনায়ক এবং জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির (এনসিএ) প্রধান রাহুল দ্রাবিড়। পরিস্থিতির উন্নতি হতে দেরি হলে দেশটির ঘরোয়া মৌসুমের দৈর্ঘ্য কমিয়ে দেওয়ার পক্ষে তিনি।

    দ্য উইক নামের এক ভারতীয় ম্যাগাজিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ভারতে ক্রিকেট আবারও মাঠে নামানোর ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি করার বিপক্ষে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করেছেন দ্রাবিড়, “এখনও খেলা শুরু করার মতো অবস্থা তৈরি হয়নি। আমাদের আরও ধৈর্যশীল হতে হবে এবং অপেক্ষা করতে হবে। প্রত্যেক মাসে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে হবে। সবকিছু নিয়ে ভাবতে হবে। সাধারণত আগস্ট-সেপ্টেম্বরের দিকে ঘরোয়া মৌসুম শুরু হয়। এবার যদি সেটা পিছিয়ে অক্টোবরের দিকে চলে যায়, তাহলে মৌসুমের দৈর্ঘ্য কমিয়ে দেওয়া যায় কিনা সেটি ভেবে দেখতে হবে।”


    বর্তমানে ভারতে করোনা পরিস্থিতির কারণে এনসিএ-র ক্রিকেট সূচিতেও বারবার পরিবর্তন আনতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দ্রাবিড়, “এখন সবকিছুই অনিশ্চিত। পরিস্থিতির উন্নতি হলেও সরকার এবং চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের নির্দেশনা অনুযায়ী কতটুকু ক্রিকেট আয়োজন করা সম্ভব সেটাও নিশ্চিত নয়। এনসিএ-তে এপ্রিল-জুন সময়টি সাধারণত খুব ব্যস্ততায় কাটে। এই সময়টিতে জোনাল, অনূর্ধ্ব-১৬,১৯ এবং ২৩-এর ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। এসব নিয়ে আমাদের এখন বারবার নতুন করে পরিকল্পনা তৈরি করতে হচ্ছে। আশা করি, এই বছরে আমরা অন্তত কিছু ক্রিকেট দেখতে পাব।”

    সরকার কড়াকড়ি শিথিল করলে বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত এনসিএ-তে প্রথমে স্থানীয় ক্রিকেটারদের অনুশীলনের সুযোগ করে দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন দ্রাবিড়, “এনসিএ শুরুতে শুধু স্থানীয় ক্রিকেটারদের জন্য খুলতে পারে। অন্য জায়গা থেকে যারা আসবে তাদের প্রথমে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।”

    ‘বায়ো-সিকিউর’ পরিবেশে আগামী ৮ জুলাই থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩ টেস্টের সিরিজে মাঠে নামছে ইংল্যান্ড। তবে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে ‘বায়ো-সিকিউর’ পরিবেশ তৈরি করা সহজ হবে না বলেই মত দ্রাবিড়ের, “আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটা সম্ভব। ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ থেকে আমরা অনেক কিছু জানতে পারব। এটাতেও যথেষ্ট চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে এটার (বায়ো-সিকিউর পরিবেশ) প্রয়োগ সহজ হবে না। অবস্থার উন্নতি হলে হয়ত আমরা কিছু ক্যাম্প আয়োজন করতে পারব। আর পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে বয়সভিত্তিক দলগুলোর মৌসুম পুরো বাতিল হয়ে যেতে পারে। কয়েক মাস ক্রিকেট খেলা না হলে তেমন আহামরি কিছু হবে না, এখন আমাদের সবার সুরক্ষিত থাকাটা জরুরী।”